অতিথি না করায় অধ্যক্ষকে ইউপি চেয়ারম্যানের জুতাপেটা
রাজশাহীর
তানোরে শিক্ষার্থী বরণ, বিদায় ও স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান
অতিথি না করায় কলেজ অধ্যক্ষ ইমারত আলীকে জুতাপেটা করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী
লীগের নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার
সরনজাই ডিগ্রি কলেজ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কলেজের শিক্ষক ও
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,
দুপুর ১২টায় উপজেলার সরনজাই ডিগ্রি কলেজে ওই আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট
একরামুল হক। এ সময় সরনজাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান
আব্দুল মালেক তার লোকজন নিয়ে সভাস্থলে হামলা করেন। এ সময় তারা প্যান্ডেলের
চেয়ার ভাংচুর করে এবং কলেজ অধ্যক্ষ ইমারত আলীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে
থাকেন। কলেজ অধ্যক্ষ ইমারত আলী এর প্রতিবাদ জানালে আলোচনা মঞ্চ থেকে
শার্টের কলার ধরে তাকে নামিয়ে এনে চড়থাপ্পড় মেরে মাটিতে ফেলে দেয়া হয়।
এরপর
জুতা দিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক নিজে অধ্যক্ষকে পেটান। এ সময় সঙ্গে
থাকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাদাৎ হোসেনসহ চেয়ারম্যানের
লোকজন মঞ্চ ভাংচুরসহ আধা ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। পরে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে
গেলে চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে সটকে পড়েন। এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ ইমারত আলী
জানান, অ্যাডভোকেট একরামুল হক সম্মানিত মানুষ। এ কারণে এমপি তাকে কলেজের
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করেছেন। তার নির্দেশে সভা ও সেমিনারে অতিথি
আমন্ত্রণ করে থাকেন তিনি। অধ্যক্ষ বলেন, 'চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক
উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে অনুষ্ঠানে হামলা ও তাকে মারধর করেছেন।' বিষয়টি নিয়ে
এমপির সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান ইমারত আলী। এ বিষয়ে
সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, 'আমি ইউনিয়ন আওয়ামী
লীগের সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান। এ কারণে পুরো ইউনিয়নবাসী আমাকে
সম্মান করেন। শুধু এই অধ্যক্ষ আমাকে এড়িয়ে চলেন।' তিনি বলেন, 'অধ্যক্ষের
চলাফেরায় অনেক দোষ রয়েছে। এজন্য তাকে উচিৎ শিক্ষা দেয়া হয়েছে।'
No comments