ভারতে গো বলয়ে ধর্মঘটে গোশতবিক্রেতারা
ভারতের
উত্তরপ্রদেশে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে শুরু করলে গোশত
বিক্রেতারা। রাজধানী লখনউসহ এলাহাবাদ ও রাজ্যের বিভিন্ন জেলার গোশত
বিক্রেতারাও প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। সামিল রাজ্যের মৎস্যবিক্রেতারাও।
তাদের অভিযোগ, অভিযোগ বেআইনি কসাইখানা বন্ধের নামে খামোকা গোশত বিক্রেতাদের
হেনস্থা করছে যোগী প্রশাসন। লখনউয়ের ‘বকরা গোশত ব্যাপার মণ্ডল’–এর
কর্মকর্তা মুবিন কুরেশি জানিয়েছেন, ‘আজ ধর্মঘট শুরু করেছি। সব দোকানপাট
বন্ধ থাকবে। মৎস্য ব্যবসায়ীরাও আমাদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। সরকারকেই পিছু
হটতে হবে। সরকার কসাইখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে
ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।’ দিল্লি থেকে এক ঘণ্টার দুরত্বে অবস্থিত নোয়ডা
বাজারেও যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সিদ্ধান্তের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বলে দাবি
সেখানকার ব্যবসায়ীদের। এক ব্যবসায়ীর দাবি, ‘উপযুক্ত নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও
জোর করে অনেক গোশতের দোকান বন্ধ করে দিচ্ছে প্রশাসন। দোকানের সামনে পর্দা
ঝোলাতে বাধ্য করা হচ্ছে।
নতুন করে লাইসেন্স তৈরি বা পুরনো লাইসেন্সের
পুনর্নবীকরণও করতে দেয়া হচ্ছে না।’ পুলিশ অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার
করেছে। গৌতম বুদ্ধ নগর থানার পুলিশ সুপার সুজাতা সিংয়ের মতে, ‘নথিপত্র
যাচাই করে দেখা পুলিশের দায়িত্ব। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় অনেক দোকানদার নিজে
থেকেই দোকান বন্ধ করে দিচ্ছেন।’ উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সিদ্ধার্থ নাথ সিং জানিয়েছেন, ‘বেআইনি কসাইখানাগুলোর বিরুদ্ধেও কড়া
পদক্ষেপ করছে সরকার। বৈধ কাগজপত্র থাকলে ভয় নেই। মুরগির গোশত এবং ডিমের
দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দেয়নি সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর ছড়িয়ে
মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’ বিধানসভা ভোটে জয়লাভের পর যোগী আদিত্যনাথকে
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করেছে বিজেপি। ক্ষমতায় এসেই রাজ্যের
একাধিক কসাইখানা বন্ধের ফরমান জারি করেছেন তিনি। তার যুক্তি, কসাইখানাগুলো
সম্পূর্ণ বেআইনি। যোগীর এই অভিযানের জেরে লখনউয়ের বিখ্যাত রেস্তোরাঁগুলি
প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। গরুর গোশতের পরিবর্তে মুরগি ও খাসির মাংস দিয়েই
কাবাব তৈরি করে কোনোমতে কাজ চালানো হচ্ছে।
No comments