প্রথম নারী প্রধান নির্বাহী পেল হংকং
চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ের নতুন নেতা ক্যারি লাম সেখানকার রাজনৈতিক বিভক্তি দূর করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ভোটে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী নির্বাচিত হয়েছেন। ক্যারি লামই হংকংয়ের প্রথম নারী প্রধান নির্বাহী। সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ক্যারি লাম চীনের পছন্দের হলেও অঞ্চলটির গণতন্ত্রপন্থীরা তাঁর নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁদের আশঙ্কা, হংকং এই প্রশাসনের অধীনে স্বাধীনতা হারাবে। ঔপনিবেশিক শাসক যুক্তরাজ্য ১৯৯৭ সালে হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তর করার পর থেকে অঞ্চলটি আধা স্বায়ত্তশাসিত। তবে তার ২০ বছর পর স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, বেইজিংয়ের কর্তৃপক্ষ ওই হস্তান্তর চুক্তি অমান্য করছে। এতে হংকংয়ের নিজস্ব জীবনধারা সুরক্ষার অঙ্গীকার ছিল।
হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী নির্বাচনে জনগণের সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা নেই। চীনপন্থী ১ হাজার ২০০ জনের একটি কমিটি এই ভোটাভুটি সম্পন্ন করে থাকে। কমিটি সব সময়ই বেইজিংয়ের পছন্দের কাউকে হংকংয়ের প্রধান পদে দেখতে চায়। এ কারণে অবাধ নির্বাচনের দাবিতে ২০১৪ সালে হংকংয়ে গণ-আন্দোলন হয়েছিল। সমালোচকেরা বলছেন, ক্যারি লামের নেতৃত্বে বিভক্তি বাড়বে। তবে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, হংকংকে ঐক্যবদ্ধ করবেন। রোববারের নির্বাচনে বিজয়ের পর ৫৯ বছর বয়সী এই নারী বলেছেন, তিনি হংকংয়ের ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি বহাল রাখবেন। সেখানকার মৌলিক মূল্যবোধগুলোর সুরক্ষা দেবেন। এসবের মধ্যে রয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও স্বাধীন বিচার বিভাগ। চীনের কর্তৃপক্ষ হংকংয়ের ক্ষমতার রাশ ক্রমশ টেনে ধরছে—এ মর্মে জনমনে উদ্বেগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে লাম বলেন, হংকংয়ের সরকার ও চীনের কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনো ব্যবধান নেই। বেইজিং বরাবরই হংকংয়ের মর্যাদা ও স্বাধীনতার সুরক্ষা দিতে চায়।
No comments