প্রধান বিচারপতির বক্তব্য লুফে নিয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা -আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেছেন, অবসরের পর বিচারপতিদের রায় লেখা অসাংবিধানিক বা বেআইনি
নয়। অবসরের পর রায় লেখা অসাংবিধানিক বলে প্রধান বিচারপতি যে মন্তব্য
করেছেন তা দুঃখজনক। এই বক্তব্য দিয়ে তিনি বিতর্ক তৈরি করেছেন।
ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁর বক্তব্য লুফে নিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুও একই কথা বলেছেন।
অবসরে যাওয়ার পর কোনো বিচারককে রায় লিখতে দেবেন না, বলে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি বলেন, ‘অবসরে যাওয়ার পর আমি কোনো পাবলিক ডকুমেন্টে হাত দিতে দেব না। অবসরে যাওয়ার পর বিচারকের রায় লেখার জন্য কেন ব্যক্তিগত ইন্টারেস্ট থাকবে? এটা কোর্ট দেখবে। এখানে একটা ভুল নীতি চলে আসছে। আমি এই ভুল করতে দেব না। আমাদের সংশোধন হতে হবে।’
সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের বিধি উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন অবসরের পর রায় লেখা অসাংবিধানিক ও বেআইনি। কিন্তু সংবিধানের কোথাও নেই যে অবসরের পর রায় লেখা যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টেও বিধিতে বলা আছে, রায় আদেশের অংশ উন্মুক্ত আদালতে দিতে হবে। যত দূর সম্ভব এজলাসে বসে দিতে হয়। কিন্তু কোনো বিচারপতি যদি মামলার চাপে সময় মতো না দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে তিনি অবসরের পরও দিতে পারেন। এটি বিশ্বব্যাপী রেওয়াজ। সুতরাং অবসরের পর রায় দেওয়া বেআইনি নয়।
আনিসুল হক বলেন, রায় দ্রুত লেখা প্রয়োজন। কারণ বিলম্বে রায়ের কারণে মামলার বাদী-বিবাদীরা ভোগান্তির শিকার হন। এ ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি নির্দেশনা দিতে পারেন যে ভবিষ্যতে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে মামলার রায় দিতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলো তাঁর বক্তব্য ষড়যন্ত্রকারীরা লুফে নিয়েছে। যারা পেট্রলবোমা মেরে মানুষ মেরেছে, তারা বলতে শুরু করেছে অতীতের সব রায় অবৈধ। যদিও প্রধান বিচারপতি বলেছে, তাঁর বক্তব্য অতীতের রায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। প্রধান বিচারপতি সম্ভবত রায় লেখার কাজে বিলম্বেও কারণে দুশ্চিন্তায় আছেন।
আবদুল মতিন খসরু বলেন, অবসরের পর মামলার রায় লেখার সুযোগ থাকাটা রেওয়াজ। তাঁর বক্তব্য বিতর্কেও সৃষ্টি করেছে। এভাবে কথা বলা তাঁর ঠিক হয়নি। একই কথা তিনি বারবার বলে যাচ্ছেন। তিনি যা ইচ্ছা তা বলতে পারেন না। তবে তাঁর বক্তব্য ভবিষ্যতের জন্য দিকনির্দেশনা হতে পারে। কারণ রায় লেখার ক্ষেত্রে একজন বিচারপতি দু–তিন মাস সময় নিতে পারেন। দেড় বছর, দুবছর, ১৩ বছর লাগাতে পারেন না।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুও একই কথা বলেছেন।
অবসরে যাওয়ার পর কোনো বিচারককে রায় লিখতে দেবেন না, বলে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি বলেন, ‘অবসরে যাওয়ার পর আমি কোনো পাবলিক ডকুমেন্টে হাত দিতে দেব না। অবসরে যাওয়ার পর বিচারকের রায় লেখার জন্য কেন ব্যক্তিগত ইন্টারেস্ট থাকবে? এটা কোর্ট দেখবে। এখানে একটা ভুল নীতি চলে আসছে। আমি এই ভুল করতে দেব না। আমাদের সংশোধন হতে হবে।’
সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের বিধি উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন অবসরের পর রায় লেখা অসাংবিধানিক ও বেআইনি। কিন্তু সংবিধানের কোথাও নেই যে অবসরের পর রায় লেখা যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টেও বিধিতে বলা আছে, রায় আদেশের অংশ উন্মুক্ত আদালতে দিতে হবে। যত দূর সম্ভব এজলাসে বসে দিতে হয়। কিন্তু কোনো বিচারপতি যদি মামলার চাপে সময় মতো না দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে তিনি অবসরের পরও দিতে পারেন। এটি বিশ্বব্যাপী রেওয়াজ। সুতরাং অবসরের পর রায় দেওয়া বেআইনি নয়।
আনিসুল হক বলেন, রায় দ্রুত লেখা প্রয়োজন। কারণ বিলম্বে রায়ের কারণে মামলার বাদী-বিবাদীরা ভোগান্তির শিকার হন। এ ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি নির্দেশনা দিতে পারেন যে ভবিষ্যতে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে মামলার রায় দিতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলো তাঁর বক্তব্য ষড়যন্ত্রকারীরা লুফে নিয়েছে। যারা পেট্রলবোমা মেরে মানুষ মেরেছে, তারা বলতে শুরু করেছে অতীতের সব রায় অবৈধ। যদিও প্রধান বিচারপতি বলেছে, তাঁর বক্তব্য অতীতের রায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। প্রধান বিচারপতি সম্ভবত রায় লেখার কাজে বিলম্বেও কারণে দুশ্চিন্তায় আছেন।
আবদুল মতিন খসরু বলেন, অবসরের পর মামলার রায় লেখার সুযোগ থাকাটা রেওয়াজ। তাঁর বক্তব্য বিতর্কেও সৃষ্টি করেছে। এভাবে কথা বলা তাঁর ঠিক হয়নি। একই কথা তিনি বারবার বলে যাচ্ছেন। তিনি যা ইচ্ছা তা বলতে পারেন না। তবে তাঁর বক্তব্য ভবিষ্যতের জন্য দিকনির্দেশনা হতে পারে। কারণ রায় লেখার ক্ষেত্রে একজন বিচারপতি দু–তিন মাস সময় নিতে পারেন। দেড় বছর, দুবছর, ১৩ বছর লাগাতে পারেন না।
No comments