৩৬ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত- ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি
সব
অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে আলোচিত ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান
কেনার চুক্তি গতকাল সোমবার সই হয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের
ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে ৬০ হাজার কোটি রুপির এ চুক্তি হলো। খবর টাইমস অব
ইন্ডিয়া ও এনডিটিভির।
আজ মঙ্গলবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। এ উপলক্ষে তিন দিনের সফরে গত রোববার তিনি ভারতের চণ্ডীগড়ে অবতরণ করেন। তবে ভারতের মাটিতে পা রেখেই ওলাঁদ বলেছিলেন, রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তির আগে আরও আলোচনা প্রয়োজন। এতে করে গুঞ্জন শুরু হয়, চুক্তি শিগগিরই হচ্ছে না।
বিমানবাহিনীর আধুনিকায়নে ভারত ফ্রান্সের কাছ থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনতে চায়। ২০১২ সালে এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তিও হয়। কিন্তু পরে তা আর বিশেষ এগোয়নি। গত বছরের এপ্রিলে মোদির ফ্রান্স সফরে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এরপর ওলাঁদের এই সফর ঘিরে প্রত্যাশা তৈরি হয় যে, এ দফাতেই ভারতের প্রত্যাশিত যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হয়ে যাবে।
চণ্ডীগড় থেকে গতকাল দিল্লিতে পৌঁছান ফরাসি প্রেসিডেন্ট। এরপর দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে তাঁকে স্বাগত জানান মোদি। সেখানে দুই নেতার বৈঠকের পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন, দুই দেশ রাফাল যুদ্ধবিমান-সংক্রান্ত আন্তরাষ্ট্রীয় চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার আর্থিক মূল্য ৬০ হাজার কোটি রুপি। ওলাঁদ বলেন, কিছু আর্থিক বিষয় এখনো রয়ে গেছে। সেগুলো দুই দিনের মধ্যেই ঠিক করা হবে। কিন্তু এরই মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এর বাইরে দুই দেশ আরও ১৩টি চুক্তি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে রেলওয়ে ইঞ্জিন, মহাকাশ প্রযুক্তি, স্মার্ট শহর এবং সৌর ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুক্তি।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা: এমন এক সময়ে এই সফর, যখন জঙ্গিবাদ ফ্রান্স ও ভারত উভয়কেই সজোরে নাড়া দিয়েছে। প্যারিসের গত ১৩ নভেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় ১৩০ জনের প্রাণহানি ঘটে। আর ওলাঁদ যেদিন ভারতে পা রাখলেন, ঠিক সেদিনই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ভয়াবহ সেই হামলায় অংশ নেওয়া জঙ্গিদের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এদিকে পাঞ্জাবের পাঠানকোটে বিমানঘাঁটিতে গত ২ জানুয়ারির সন্ত্রাসী হামলার ক্ষত এখনো শুকাতে পারেনি ভারত। এরই মধ্যে আবার ভারত প্রজাতন্ত্র দিবসে আইএস জঙ্গিদের হামলার কথিত পরিকল্পনা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুই নেতাই গতকাল কড়া বার্তা দিলেন।
হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকের পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্যারিস থেকে পাঠানকোট—সবগুলোই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসবাদ মানবতার বিরুদ্ধে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
এদিকে এএফপির খবরে বলা হয়, আইএসের ভিডিও প্রকাশের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্টও একই ধরনের বার্তা দেন। গত রোববার ছাড়া ওই ভিডিওতে নভেম্বরের প্যারিস হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন নয় আইএস জঙ্গিকে দেখানো হয়। এতে ফ্রান্সসহ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আইএসবিরোধী জোটভুক্ত দেশগুলোকে হুমকিও দেওয়া হয়।
ওলাঁদ সাংবাদিকদের বলেন, এই ভিডিও ফ্রান্সকে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘কোনো কিছুই আমাদের রোধ করতে পারবে না। কোনো হুমকিই ফ্রান্সের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইকে টলাতে পারবে না।’
আজ মঙ্গলবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। এ উপলক্ষে তিন দিনের সফরে গত রোববার তিনি ভারতের চণ্ডীগড়ে অবতরণ করেন। তবে ভারতের মাটিতে পা রেখেই ওলাঁদ বলেছিলেন, রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তির আগে আরও আলোচনা প্রয়োজন। এতে করে গুঞ্জন শুরু হয়, চুক্তি শিগগিরই হচ্ছে না।
বিমানবাহিনীর আধুনিকায়নে ভারত ফ্রান্সের কাছ থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনতে চায়। ২০১২ সালে এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তিও হয়। কিন্তু পরে তা আর বিশেষ এগোয়নি। গত বছরের এপ্রিলে মোদির ফ্রান্স সফরে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এরপর ওলাঁদের এই সফর ঘিরে প্রত্যাশা তৈরি হয় যে, এ দফাতেই ভারতের প্রত্যাশিত যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হয়ে যাবে।
চণ্ডীগড় থেকে গতকাল দিল্লিতে পৌঁছান ফরাসি প্রেসিডেন্ট। এরপর দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে তাঁকে স্বাগত জানান মোদি। সেখানে দুই নেতার বৈঠকের পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন, দুই দেশ রাফাল যুদ্ধবিমান-সংক্রান্ত আন্তরাষ্ট্রীয় চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার আর্থিক মূল্য ৬০ হাজার কোটি রুপি। ওলাঁদ বলেন, কিছু আর্থিক বিষয় এখনো রয়ে গেছে। সেগুলো দুই দিনের মধ্যেই ঠিক করা হবে। কিন্তু এরই মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এর বাইরে দুই দেশ আরও ১৩টি চুক্তি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে রেলওয়ে ইঞ্জিন, মহাকাশ প্রযুক্তি, স্মার্ট শহর এবং সৌর ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুক্তি।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা: এমন এক সময়ে এই সফর, যখন জঙ্গিবাদ ফ্রান্স ও ভারত উভয়কেই সজোরে নাড়া দিয়েছে। প্যারিসের গত ১৩ নভেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় ১৩০ জনের প্রাণহানি ঘটে। আর ওলাঁদ যেদিন ভারতে পা রাখলেন, ঠিক সেদিনই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ভয়াবহ সেই হামলায় অংশ নেওয়া জঙ্গিদের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এদিকে পাঞ্জাবের পাঠানকোটে বিমানঘাঁটিতে গত ২ জানুয়ারির সন্ত্রাসী হামলার ক্ষত এখনো শুকাতে পারেনি ভারত। এরই মধ্যে আবার ভারত প্রজাতন্ত্র দিবসে আইএস জঙ্গিদের হামলার কথিত পরিকল্পনা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুই নেতাই গতকাল কড়া বার্তা দিলেন।
হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকের পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্যারিস থেকে পাঠানকোট—সবগুলোই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসবাদ মানবতার বিরুদ্ধে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
এদিকে এএফপির খবরে বলা হয়, আইএসের ভিডিও প্রকাশের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্টও একই ধরনের বার্তা দেন। গত রোববার ছাড়া ওই ভিডিওতে নভেম্বরের প্যারিস হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন নয় আইএস জঙ্গিকে দেখানো হয়। এতে ফ্রান্সসহ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আইএসবিরোধী জোটভুক্ত দেশগুলোকে হুমকিও দেওয়া হয়।
ওলাঁদ সাংবাদিকদের বলেন, এই ভিডিও ফ্রান্সকে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘কোনো কিছুই আমাদের রোধ করতে পারবে না। কোনো হুমকিই ফ্রান্সের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইকে টলাতে পারবে না।’
No comments