উকিল পিতার অনৈতিক প্রস্তাব- গজারিয়ায় নব দম্পতির হৃদয়বিদারক পরিণতি
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গোসাইর চর
গ্রামে উকিল পিতার অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় স্বামীকে মেরে ফেলার
হুমকিতে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে নব দম্পতি। নিহত দম্পতির নাম জাহিদ হাসান
(২০) ও তার স্ত্রী ঊর্মি আক্তার (১৮)।
প্রতিবেশী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নাজির চর গ্রামের সানাউল্লাহ্ মিয়ার ছেলে জাহিদ হোসেনের সাথে গোসাইর চর গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে ঊর্মি আক্তারের প্রণয় ছিল। গত দুই মাস আগে পারিবারকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তবে ঊর্মির মা মালেকা বেগম ছাড়া উভয় পরিবারের বেশির ভাগ সদস্য মন থেকে এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। বিয়ের পর থেকেই উভয় পক্ষের আত্মীয়রা নব দম্পতিকে বিয়ে বিচ্ছেদের জন্য বিভিন্ন উপায়ে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। অন্যদিকে নিহত ঊর্মির সৎ খালু ও উকিল পিতা মিজানুর রহমান ঊর্মিকে বিরক্ত করতো, অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো।
ঘটনার আগের দিন রাতে ও পরদিন সকালে মিজানুর রহমান ও তার মেয়ের জামাই মহিউদ্দিন মিয়ার অব্যাহত চাপ ও হুমকির কারণে গত শনিবার সকালে ঊর্মির নানার বাড়িতে নব দ¤পতি বিষ জাতীয় পদার্থ পান করে। সকাল পৌনে দশটায় প্রতিবেশীদের সহয়তায় আসংখ্যাজনক অবস্থায় তাদের প্রথমে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে জাহিদ হাসান পরে ঊর্মি আক্তার মৃত্যু হয়।
নিহত ঊর্মির মা মালেকা বেগম জানান, তার সৎ বোনের স্বামী ও ঊর্মির উকিল পিতা মিজানুর রহমান ঊর্মিকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সে তাকে বিয়ে করারও প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ঊর্মি রাজি না হওয়ায় মিজানুর রহমান ও মহিউদ্দিন মিয়া দ¤পতিকে মারধর, চাপ, হুমকি দেয়। গত কয়েকদিন আগে মিজান ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা ঊর্মির স্বামী জাহিদকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ঊর্মিকে তালাক দিতে বলে, অন্যথায় তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ কারণেই উর্মি-জাহিদ বাধ্য হয়ে আত্মহত্যা করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে গজারিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: হেদায়েত উল ইসলাম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছে এখনো পর্যন্ত আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।
ঘটনার পর থেকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ও মহিউদ্দিন মিয়া পলাতক রয়েছে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স দুটি গোসাইর চর পৌছালে সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহতদের স্বজন ও প্রতিবেশীরা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিজান ও মহিউদ্দিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
প্রতিবেশী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নাজির চর গ্রামের সানাউল্লাহ্ মিয়ার ছেলে জাহিদ হোসেনের সাথে গোসাইর চর গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে ঊর্মি আক্তারের প্রণয় ছিল। গত দুই মাস আগে পারিবারকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তবে ঊর্মির মা মালেকা বেগম ছাড়া উভয় পরিবারের বেশির ভাগ সদস্য মন থেকে এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। বিয়ের পর থেকেই উভয় পক্ষের আত্মীয়রা নব দম্পতিকে বিয়ে বিচ্ছেদের জন্য বিভিন্ন উপায়ে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। অন্যদিকে নিহত ঊর্মির সৎ খালু ও উকিল পিতা মিজানুর রহমান ঊর্মিকে বিরক্ত করতো, অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো।
ঘটনার আগের দিন রাতে ও পরদিন সকালে মিজানুর রহমান ও তার মেয়ের জামাই মহিউদ্দিন মিয়ার অব্যাহত চাপ ও হুমকির কারণে গত শনিবার সকালে ঊর্মির নানার বাড়িতে নব দ¤পতি বিষ জাতীয় পদার্থ পান করে। সকাল পৌনে দশটায় প্রতিবেশীদের সহয়তায় আসংখ্যাজনক অবস্থায় তাদের প্রথমে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে জাহিদ হাসান পরে ঊর্মি আক্তার মৃত্যু হয়।
নিহত ঊর্মির মা মালেকা বেগম জানান, তার সৎ বোনের স্বামী ও ঊর্মির উকিল পিতা মিজানুর রহমান ঊর্মিকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সে তাকে বিয়ে করারও প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ঊর্মি রাজি না হওয়ায় মিজানুর রহমান ও মহিউদ্দিন মিয়া দ¤পতিকে মারধর, চাপ, হুমকি দেয়। গত কয়েকদিন আগে মিজান ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা ঊর্মির স্বামী জাহিদকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ঊর্মিকে তালাক দিতে বলে, অন্যথায় তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ কারণেই উর্মি-জাহিদ বাধ্য হয়ে আত্মহত্যা করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে গজারিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: হেদায়েত উল ইসলাম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছে এখনো পর্যন্ত আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।
ঘটনার পর থেকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ও মহিউদ্দিন মিয়া পলাতক রয়েছে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স দুটি গোসাইর চর পৌছালে সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহতদের স্বজন ও প্রতিবেশীরা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিজান ও মহিউদ্দিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
No comments