আবদুল হকের প্রযুক্তি জ্ঞান নিয়ে গোয়েন্দারাও বিস্মিত by রুদ্র মিজান
একের
পর এক হুমকি আসছিল দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফোনে। সাহিত্যিক-সাংবাদিক,
শিক্ষাবিদ, সরকারের মন্ত্রী, পুলিশ মহাপরিদর্শক থেকে শুরু করে কেউ বাদ
যাননি এই হুমকি থেকে। আতঙ্কে থানায় সাধারণ ডায়েরি থেকে শুরু করে
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা ও হুমকিদাতার গ্রেপ্তার চেয়েছিলেন তারা।
কিন্তু হন্যে হয়ে খুঁজেও হুমকিদাতার হদিস পাচ্ছিল না আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনী। অবাক করার বিষয় হলো যে ফোন নম্বর থেকে হুমকি দেয়া হয় সেই নম্বর
ব্যবহারীকারী নিজেই জানতেন না কীভাবে কী হলো। তবে মাসের পর মাস বিনা অপরাধে
কারাবরণ করতে হয়েছে তাদের। সর্বশেষ হুমকির নেপথ্যের নায়ককে গ্রেপ্তার করে
গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার
নাম আবদুল হক। ২রা ডিসেম্বর নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি
দিয়েছে আবদুল হক এবং তার সহযোগী আমিনুর রহমান।
২৪শে নভেম্বর আবদুল হককে গ্রেপ্তারের পর দু’দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মোট পাঁচদিনের জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তিনি। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তেমন শিক্ষিত না হলেও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে তার অনেক জ্ঞান। সিলেটের জকিগঞ্জের একটি মাদরাসায় কম্পিউটার প্রশিক্ষক হিসেবে চাকরিও করেছেন। যে কারণে তাকে আইনের আওতায় নিতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে। আদালতে জবানবন্দিতে আবদুল হক জানিয়েছেন, প্রযুক্তির প্রতি প্রবল কৌতূহল তার। বিভিন্ন সফওয়্যার ও অ্যাপস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন। এর মধ্যে একটি অ্যাপস পেয়ে যান। যা দিয়ে তার শত্রুদের শায়েস্তা করা সহজ হবে বলে ধারণা করেন। তার সঙ্গে বিরোধ ছিল এ রকম তিন ব্যক্তির মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করে হুমকির বার্তা প্রেরণ করেছেন জানিয়ে আবদুল হক। বলেন, প্রতিবেশী ফায়জুর রহমানের ও নোমান বিন আরমান যৌথভাবে মুক্তস্বর নামে একটি সাংস্কৃতিক ফোরাম গঠন করেন। এ ছাড়া আবদুল হক নিজে একজন ব্লগার। চন্দ্রবিন্দু, সামহোয়্যার, বিসর্গসহ বিভিন্ন ব্লগে লেখালেখি করতেন। সংগঠন নিয়ে ২০১০ সালে ফায়জুরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় তার। একপর্যায়ে ফায়জুরকে শায়েস্তা করার জন্য তার মোবাইলফোন নম্বর দিয়ে একটি অ্যাপসে অ্যাকাউন্ট খুলেন। ওই অ্যাপস থেকে কোড প্রেরণ করা হয় ফায়জুরের মোবাইল ফোনে। কোডটি সংগ্রহ করে দেন আবদুল হকের বন্ধু আমিনুর। জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুর জানিয়েছেন, চুক্তিনামা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার অজুহাতে পূর্বপরিচিত ফায়জুরের কাছে গিয়েছিলেন। ওই সময়ে আবদুল হকের পরামর্শ অনুসারে কৌশলে ফায়জুরের ফোনে আসা কোডটি তার ফোনে ফরওয়ার্ড করে দিয়েছিলেন আমিনুর। এভাবেই শুরু হয় হুমকি বার্তার প্রাথমিক মিশন। একইভাবে স্থানীয় শাহবাগ মাদরাসার সহকর্মী শিক্ষক সাদ ও ফায়জুরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সালেহ আহমদ ফোয়াদের নামে আইডি করেন। সম্পর্কের সুবাধে তাদের ফোন থেকে নিজেই কোড সংগ্রহ করেছিলেন আবদুল হক। পরবর্তীকালে এই তিন ব্যক্তির ফোন নম্বর থেকেই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষাবিদ প্রফেসর আনিসুজ্জামান, বিশিষ্ট সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, মুনতাসির মামুন ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানকে হুমকি দেয়া হয়। এর মধ্যে সিলেটের একজন সাহিত্যকর্মী সৈয়দ মবনুর নামে আইনমন্ত্রীকে ক্ষুদেবার্তা প্রেরণ করা হয়। প্রায় প্রতিটি বার্তাতেই প্রাণনাশের হুমকিসহ প্রতিক্রিয়াশীল বক্তব্য ছিল। মিজানুর রহমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে লিখেছে, ‘উই উইল স্টপ ইউর হার্টবিট ফরএভার।’
আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দিতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গাংপাড় গ্রামের ফায়জুর রহমান জানান, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে হুমকি দেয়ার অপরাধে ২০১৩ সালের জুন মাসে ফায়জুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইভাবে ২০১৪ সালের ৩০ই জুন আইনমন্ত্রীকে হুমকি দেয়ার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মোবাইলফোনটি পুলিশের কাছে জব্দ থাকলেও ফায়জুরের ওই ফোন থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হুমকি দেয়া অব্যাহত ছিল। এতেই টনক নড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। একইভাবে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দিতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সালেহ আহমদ ফুয়াদ আদালতকে জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের পূর্বে তিনি ও আবদুল হক সিলেটের জকিগঞ্জের শাহবাগ জামিয়া মাদানিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। একই বডিংয়ে থাকার কারণে তার মোবাইলফোনটি আবদুল হক প্রায়ই ব্যবহার করতেন। গত ১১ই নভেম্বর সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন তার ফোন থেকে প্রফেসর আনিসুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষক সাদ সংসদ সদস্য শেখ সেলিমকে হুমকির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন।
দেশের দেড় শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তির হুমকিদাতাকে খুঁজে বের করতে গোয়েন্দারা দীর্ঘদিন থেকেই তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। সূত্রমতে, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং হাসান আজিজুল হককে হুমকি দেয়ার পরপর ডিবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. যায়েদ শাহরিয়ার একটি টিম নিয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জে যান। ভুক্তভোগী ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে বেরিয়ে আসে আবদুল হকের নাম। পরবর্তীকালে গত ২৪শে নভেম্বর এআইজি মনিরুজ্জামান ও ডিবির ডিসি সাজ্জাদুর রহমানের নির্দেশনায় গ্রেপ্তার করা হয় আবদুল হককে। গ্রেপ্তারের আগে ছাতকে তার বোনের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন আবদুল হক। ২রা ডিসেম্বর ১৫৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়ার পর আবদুল হক ও আমিনুরকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। ডিবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. যায়েদ শাহরিয়ার জানান, হুমকির শিকার দেশের প্রায় সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হুমকি দিয়েছে আবদুল হক। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করতে বেগ পোহাতে হয়েছে। কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আবদুল হকের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি আরও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান যায়েদ শাহরিয়ার। আবদুল হকের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গাংপাড় গ্রামে। তার পিতার নাম খলিলুর রহমান। একই এলাকার নিজগাঁওয়ের তোফাজ্জল আলীর পুত্র তার সহযোগী আমিনুর রহমান।
২৪শে নভেম্বর আবদুল হককে গ্রেপ্তারের পর দু’দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মোট পাঁচদিনের জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তিনি। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তেমন শিক্ষিত না হলেও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে তার অনেক জ্ঞান। সিলেটের জকিগঞ্জের একটি মাদরাসায় কম্পিউটার প্রশিক্ষক হিসেবে চাকরিও করেছেন। যে কারণে তাকে আইনের আওতায় নিতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে। আদালতে জবানবন্দিতে আবদুল হক জানিয়েছেন, প্রযুক্তির প্রতি প্রবল কৌতূহল তার। বিভিন্ন সফওয়্যার ও অ্যাপস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেন। এর মধ্যে একটি অ্যাপস পেয়ে যান। যা দিয়ে তার শত্রুদের শায়েস্তা করা সহজ হবে বলে ধারণা করেন। তার সঙ্গে বিরোধ ছিল এ রকম তিন ব্যক্তির মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করে হুমকির বার্তা প্রেরণ করেছেন জানিয়ে আবদুল হক। বলেন, প্রতিবেশী ফায়জুর রহমানের ও নোমান বিন আরমান যৌথভাবে মুক্তস্বর নামে একটি সাংস্কৃতিক ফোরাম গঠন করেন। এ ছাড়া আবদুল হক নিজে একজন ব্লগার। চন্দ্রবিন্দু, সামহোয়্যার, বিসর্গসহ বিভিন্ন ব্লগে লেখালেখি করতেন। সংগঠন নিয়ে ২০১০ সালে ফায়জুরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় তার। একপর্যায়ে ফায়জুরকে শায়েস্তা করার জন্য তার মোবাইলফোন নম্বর দিয়ে একটি অ্যাপসে অ্যাকাউন্ট খুলেন। ওই অ্যাপস থেকে কোড প্রেরণ করা হয় ফায়জুরের মোবাইল ফোনে। কোডটি সংগ্রহ করে দেন আবদুল হকের বন্ধু আমিনুর। জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুর জানিয়েছেন, চুক্তিনামা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার অজুহাতে পূর্বপরিচিত ফায়জুরের কাছে গিয়েছিলেন। ওই সময়ে আবদুল হকের পরামর্শ অনুসারে কৌশলে ফায়জুরের ফোনে আসা কোডটি তার ফোনে ফরওয়ার্ড করে দিয়েছিলেন আমিনুর। এভাবেই শুরু হয় হুমকি বার্তার প্রাথমিক মিশন। একইভাবে স্থানীয় শাহবাগ মাদরাসার সহকর্মী শিক্ষক সাদ ও ফায়জুরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সালেহ আহমদ ফোয়াদের নামে আইডি করেন। সম্পর্কের সুবাধে তাদের ফোন থেকে নিজেই কোড সংগ্রহ করেছিলেন আবদুল হক। পরবর্তীকালে এই তিন ব্যক্তির ফোন নম্বর থেকেই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষাবিদ প্রফেসর আনিসুজ্জামান, বিশিষ্ট সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, মুনতাসির মামুন ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানকে হুমকি দেয়া হয়। এর মধ্যে সিলেটের একজন সাহিত্যকর্মী সৈয়দ মবনুর নামে আইনমন্ত্রীকে ক্ষুদেবার্তা প্রেরণ করা হয়। প্রায় প্রতিটি বার্তাতেই প্রাণনাশের হুমকিসহ প্রতিক্রিয়াশীল বক্তব্য ছিল। মিজানুর রহমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে লিখেছে, ‘উই উইল স্টপ ইউর হার্টবিট ফরএভার।’
আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দিতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গাংপাড় গ্রামের ফায়জুর রহমান জানান, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে হুমকি দেয়ার অপরাধে ২০১৩ সালের জুন মাসে ফায়জুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইভাবে ২০১৪ সালের ৩০ই জুন আইনমন্ত্রীকে হুমকি দেয়ার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মোবাইলফোনটি পুলিশের কাছে জব্দ থাকলেও ফায়জুরের ওই ফোন থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হুমকি দেয়া অব্যাহত ছিল। এতেই টনক নড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। একইভাবে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দিতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সালেহ আহমদ ফুয়াদ আদালতকে জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের পূর্বে তিনি ও আবদুল হক সিলেটের জকিগঞ্জের শাহবাগ জামিয়া মাদানিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। একই বডিংয়ে থাকার কারণে তার মোবাইলফোনটি আবদুল হক প্রায়ই ব্যবহার করতেন। গত ১১ই নভেম্বর সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন তার ফোন থেকে প্রফেসর আনিসুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষক সাদ সংসদ সদস্য শেখ সেলিমকে হুমকির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন।
দেশের দেড় শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তির হুমকিদাতাকে খুঁজে বের করতে গোয়েন্দারা দীর্ঘদিন থেকেই তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। সূত্রমতে, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং হাসান আজিজুল হককে হুমকি দেয়ার পরপর ডিবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. যায়েদ শাহরিয়ার একটি টিম নিয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জে যান। ভুক্তভোগী ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে বেরিয়ে আসে আবদুল হকের নাম। পরবর্তীকালে গত ২৪শে নভেম্বর এআইজি মনিরুজ্জামান ও ডিবির ডিসি সাজ্জাদুর রহমানের নির্দেশনায় গ্রেপ্তার করা হয় আবদুল হককে। গ্রেপ্তারের আগে ছাতকে তার বোনের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন আবদুল হক। ২রা ডিসেম্বর ১৫৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়ার পর আবদুল হক ও আমিনুরকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। ডিবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. যায়েদ শাহরিয়ার জানান, হুমকির শিকার দেশের প্রায় সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হুমকি দিয়েছে আবদুল হক। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করতে বেগ পোহাতে হয়েছে। কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আবদুল হকের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি আরও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান যায়েদ শাহরিয়ার। আবদুল হকের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গাংপাড় গ্রামে। তার পিতার নাম খলিলুর রহমান। একই এলাকার নিজগাঁওয়ের তোফাজ্জল আলীর পুত্র তার সহযোগী আমিনুর রহমান।
No comments