ভেসে আসল গোঙানির শব্দ, অতঃপর...
ট্যাঙ্ক থেকে বের করে আনার পর গোসল করিয়ে ও আগুনের তাপ দিয়ে মিনা বেগমকে (৬০) সুস্থ করেন স্থানীয় লোকজন। এরপর গায়ে মোড়ানোর জন্য দেওয়া হয় চাদর। ছবি: প্রথম আলো |
পরিত্যক্ত শৌচাগারের ট্যাঙ্ক। ঢাকনাও অর্ধেক ভাঙা। ভেতর থেকে ভেসে আসছে গোঙানির শব্দ। ভয়ে কাছে যাচ্ছেন না আশপাশের কেউ।
ঘটনাটা রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজার এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের। আজ শুক্রবার সকালেও ঘটল একই ঘটনা। পরে ভয় কাটিয়ে ভেতরে উঁকি দিলেন দু-একজন। দেখলেন, গোঙানির শব্দটা মানুষেরই। জবুথবু অবস্থায় এক বৃদ্ধা। তড়িঘড়ি করে তাঁকে বের করে আনা হলো ট্যাঙ্ক থেকে। খবর পেয়ে ছুটে গেলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিকও।
বৃদ্ধা জানালেন, তাঁর নাম মিনা বেগম (৬০)। খিদে পাওয়ায় খাবার চাওয়ার অপরাধে কয়েকজন লোক তাঁকে ওই ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়ে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে ওই ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে গোঙানির শব্দ ভেসে আসছিল। পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া কয়েকজন শব্দটা শুনে আঁতকে ওঠেন। তাঁরা পাশের বাড়ির কয়েকজনকে বিষয়টি জানান। ওই বাড়ির লোকজন ট্যাঙ্কের কাছে গিয়ে গোঙানির শব্দ শুনতে পান। এরপর পাশের একটি বাড়ির বাইরের লাইট জ্বালিয়ে উঁকি দিয়ে দেখা যায়, ট্যাঙ্কের ভেতরে মানুষের মতোই কিছু একটা! এতে সবাই আরও ভয় পেয়ে যান। ফলে ট্যাঙ্কের ধারেকাছে আর কেউ যাওয়ার সাহস দেখাননি। আজ সকালেও ট্যাঙ্ক থেকে গোঙানির শব্দ আসছিল। এবার স্থানীয় কয়েকজন গিয়ে ট্যাঙ্কের বাকি অর্ধেক ঢাকনাও ভেঙে ফেলেন। এরপর দেখেন, ট্যাঙ্কের ভেতরে একটি লোহার দণ্ড ধরে গোঙাচ্ছেন একজন বৃদ্ধা। সবাই তাঁকে সেখান থেকে বের করে আনেন। এরপর তাঁকে গোসল করান। ঠান্ডায় কাঁপছিলেন বলে তাঁর শরীরে আগুনের তাপও দেন তাঁরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ওই বৃদ্ধা সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর বাড়ি খুলনা শহর এলাকায়। তাঁর মেয়ে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় থাকেন। মেয়ের সঙ্গে দেখা করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু গোয়ালন্দ বাজার আসার পর খিদে পাওয়ায় তিনি কয়েকজনের কাছে খাবার চান। এতে তাঁরা তাঁকে (বৃদ্ধাকে) ওই ট্যাঙ্কের ভেতরে ফেলে দেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ওই বৃদ্ধাকে একটি রিকশায় উঠিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শাহজালাল প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটা তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
ঘটনাটা রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজার এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের। আজ শুক্রবার সকালেও ঘটল একই ঘটনা। পরে ভয় কাটিয়ে ভেতরে উঁকি দিলেন দু-একজন। দেখলেন, গোঙানির শব্দটা মানুষেরই। জবুথবু অবস্থায় এক বৃদ্ধা। তড়িঘড়ি করে তাঁকে বের করে আনা হলো ট্যাঙ্ক থেকে। খবর পেয়ে ছুটে গেলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিকও।
বৃদ্ধা জানালেন, তাঁর নাম মিনা বেগম (৬০)। খিদে পাওয়ায় খাবার চাওয়ার অপরাধে কয়েকজন লোক তাঁকে ওই ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়ে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে ওই ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে গোঙানির শব্দ ভেসে আসছিল। পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া কয়েকজন শব্দটা শুনে আঁতকে ওঠেন। তাঁরা পাশের বাড়ির কয়েকজনকে বিষয়টি জানান। ওই বাড়ির লোকজন ট্যাঙ্কের কাছে গিয়ে গোঙানির শব্দ শুনতে পান। এরপর পাশের একটি বাড়ির বাইরের লাইট জ্বালিয়ে উঁকি দিয়ে দেখা যায়, ট্যাঙ্কের ভেতরে মানুষের মতোই কিছু একটা! এতে সবাই আরও ভয় পেয়ে যান। ফলে ট্যাঙ্কের ধারেকাছে আর কেউ যাওয়ার সাহস দেখাননি। আজ সকালেও ট্যাঙ্ক থেকে গোঙানির শব্দ আসছিল। এবার স্থানীয় কয়েকজন গিয়ে ট্যাঙ্কের বাকি অর্ধেক ঢাকনাও ভেঙে ফেলেন। এরপর দেখেন, ট্যাঙ্কের ভেতরে একটি লোহার দণ্ড ধরে গোঙাচ্ছেন একজন বৃদ্ধা। সবাই তাঁকে সেখান থেকে বের করে আনেন। এরপর তাঁকে গোসল করান। ঠান্ডায় কাঁপছিলেন বলে তাঁর শরীরে আগুনের তাপও দেন তাঁরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ওই বৃদ্ধা সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর বাড়ি খুলনা শহর এলাকায়। তাঁর মেয়ে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় থাকেন। মেয়ের সঙ্গে দেখা করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু গোয়ালন্দ বাজার আসার পর খিদে পাওয়ায় তিনি কয়েকজনের কাছে খাবার চান। এতে তাঁরা তাঁকে (বৃদ্ধাকে) ওই ট্যাঙ্কের ভেতরে ফেলে দেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ওই বৃদ্ধাকে একটি রিকশায় উঠিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শাহজালাল প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটা তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
No comments