উদ্বেগে যৌনকর্মীরা
ভারতের
কর্ণাটকে জন্মবিরতিকরণ ব্যবস্থায় কনডম নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে
সেখানকার রামানগরম, উদুপি, হাসান জেলা ও দোড্ডাবাল্লাপুর তালুকে এ
উদ্বেগটা বেশি। সেখানে জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে প্রতি ১২ থেকে
৩০ মিনিট সময়ের মধ্যে একজন যৌনকর্মী একটিমাত্র কনডম পাবেন। বলা হচ্ছে,
একজন যৌনকর্মী যদি এই হারে কনডম পান তাহলে এইডস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে
যাবে। কারণ, হাতের কাছে কনডম না পেয়ে সে অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে
তুলবে। এ খবর দিয়েছে ভারতের একটি ইংরেজি পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ। এতে বলা
হয়, প্রতি মাসে কর্নাটক রাজ্য সরকার যৌনকর্মী ও সংখ্যালঘুদের বিনামূল্যে ২৬
থেকে ৩০ লাখ কনডম বিনামূল্যে দিয়ে থাকে। কিন্তু এখন ডিসেম্বরের জন্য মজুদ
আছে মাত্র ৬.৯ লাখ কনডম। ফলে কনডমের অপর্যাপ্ততা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে সবাই
উদ্বিগ্ন হলেও প্রকল্প পরিচালক এসজি রবীন্দ্র তা অস্বীকার করেছেন। তিনি
বলেছেন, আমরা অচিরেই আরো সরবরাহ পাবো। ফলে কোনো সমস্যাই থাকবে না। কর্নাটকে
অতি উচ্চমাত্রায় এইচআইভি পজেটিভ ব্যক্তির সংখ্যা অনেক বেশি। এ রাজ্যে আছেন
৮৭ হাজার যৌনকর্মী। তাদেরকে এ কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে কনডম সরবরাহ
দেয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন এনজিও ও মানবাধিকার কর্মীদের
মতে, কনডমের এই অপর্যাপ্ততায় প্রচণ্ড ঝুঁকিতে পড়বে বিভিন্ন গ্রুপের মানুষ।
বিশেষ করে অভিবাসী, ট্রাকচালক, ট্রান্সশিপমেন্ট পয়েন্টগুলোর মানুষ।
কর্নাটক সেক্স ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও যৌনকর্মী ভারতী
বলেছেন, রামানগরম, ব্যাঙ্গালুরু রুরাল ও উদুপি এলাকার মতো বিভিন্ন জেলায়
টার্গেট করে অনেক নারী যৌনকর্মীদের বিনামূল্যে কনডম দেয়া বন্ধ করে দেয়া
হয়েছে। হাজার হাজার যৌনকর্মী বিনামূল্যে কনডম পাওয়ার জন্য লড়াই করছে। যেসব
যৌনকর্মী এইডস প্রতিরোধী কর্মকাণ্ডে শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন
তাদেরও রয়েছে সরবরাহে ঘাটতি। এর ফলে গত ১০ বছর যৌন রোগের বিরুদ্ধে যে
অগ্রগতি হয়েছে তা নষ্ট হবে।
No comments