‘নিজের বোনকে কি কেউ কখনও ধর্ষণ করতে পারে’?
চট্টগ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শাহ আলম নামে এক আসামিকে ছেড়ে দিয়ে ওই কিশোরীর আপন ভাইকেই ‘ধর্ষক’ বানানোর অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাংগুনিয়ার কিশোর তাসফিক উদ্দিন ওরফে ছবুর আক্তার বলেন, আমাকে থানায় রেখে ইলেকট্রিক শক দিয়েছে। মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। পুলিশ বলেছে আমি যেন আমার বোনকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করি। আমি বলেছি, নিজের বোনকে কি কেউ কখনও ধর্ষণ করতে পারে ? মারধরের পরও তারা আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিতে পারেনি। আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে আমার মায়ের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে। এসময় তাসফিক মা বাবা ও ধর্ষিতা বোনও উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, রাংগুনিয়া উপজেলার মিনাগাজীর টিলা এলাকার শাহ আলম তার প্রতিবেশি এক কিশোরীকে (১৩) ফুসলিয়ে একাধীকবার শারিরিক সর্ম্পক স্থাপন করেন। এতে ওই কিশোরী অন্ত:স্বত্তা হয়ে পড়লে শাহআলম তার মায়ের উপর চাপ তৈরি করে গর্ভপাত ঘটান। পরে ওই কিশোরীর মা গত ৭ই মে থানায় শাহআলমকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় পরের দিন রাতে শাহআলমকে পুলিশ আটক করলেও স্থানীয় এক নেতার সহযোগিতায় মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ ধর্ষিতার পরিবারের। পরে ৯ই মে ভিকটিম কিশোরীর বড় ভাই তাসফিক (১৪) তাকে দেখতে থানায় গেলে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে নিজের বোনকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তাকে আদালতে প্রেরণ করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তাসফিক তাকে ফাসানোর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে রাংগুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ, ওসি হুমায়ন কবির, এস আই মুজিব এবং শাহআলমের ভাগিনা সালাহউদ্দিন জড়িত বলে অভিযোগ করেন। গত ২৭শে মে এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা নূরনাহার বেগম বাদি হয়ে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ রাংগুনিয়ার ওসি এবং এস আই’র বিরুদ্ধে মামলা করেন। অবশ্য পরদিন আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। এদিকে তাসফিককে ফাসানোর ষড়যন্ত্রের খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হলে একটি রিট আবেদন করা হয়। রিটের প্রেক্ষিতে গত ২৫শে মে হাইকোর্ট শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে ওই কিশোরীর মায়ের মামলা নিতে পুলিশের অস্বীকার করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং শাহ আলমসহ আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে রুলও দেয়া হয়।
জানা গেছে, রাংগুনিয়া উপজেলার মিনাগাজীর টিলা এলাকার শাহ আলম তার প্রতিবেশি এক কিশোরীকে (১৩) ফুসলিয়ে একাধীকবার শারিরিক সর্ম্পক স্থাপন করেন। এতে ওই কিশোরী অন্ত:স্বত্তা হয়ে পড়লে শাহআলম তার মায়ের উপর চাপ তৈরি করে গর্ভপাত ঘটান। পরে ওই কিশোরীর মা গত ৭ই মে থানায় শাহআলমকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় পরের দিন রাতে শাহআলমকে পুলিশ আটক করলেও স্থানীয় এক নেতার সহযোগিতায় মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ ধর্ষিতার পরিবারের। পরে ৯ই মে ভিকটিম কিশোরীর বড় ভাই তাসফিক (১৪) তাকে দেখতে থানায় গেলে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে নিজের বোনকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তাকে আদালতে প্রেরণ করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তাসফিক তাকে ফাসানোর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে রাংগুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ, ওসি হুমায়ন কবির, এস আই মুজিব এবং শাহআলমের ভাগিনা সালাহউদ্দিন জড়িত বলে অভিযোগ করেন। গত ২৭শে মে এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা নূরনাহার বেগম বাদি হয়ে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ রাংগুনিয়ার ওসি এবং এস আই’র বিরুদ্ধে মামলা করেন। অবশ্য পরদিন আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। এদিকে তাসফিককে ফাসানোর ষড়যন্ত্রের খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হলে একটি রিট আবেদন করা হয়। রিটের প্রেক্ষিতে গত ২৫শে মে হাইকোর্ট শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে ওই কিশোরীর মায়ের মামলা নিতে পুলিশের অস্বীকার করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং শাহ আলমসহ আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে রুলও দেয়া হয়।
No comments