বাংলাদেশি জাহাজে নজরদারি করতে চায় ভারত!
বাংলাদেশ
থেকে ভারতে যাওয়া এবং সুন্দরবনের পাশ (ভারতীয় অংশ) দিয়ে যাওয়া পণ্যবাহী
জাহাজগুলোর গতিবিধি নজরদারির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর এক
কর্মকর্তা। ২০০৮ সালে ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার (২৬/১১) মতো
ঘটনা ঠেকাতে হলে এ কাজটি করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের ন্যাভাল অফিসার ইনচার্জ কমোডর রবি আহলুওয়ালিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আজ শুক্রবার ভারতের ‘দ্য হিন্দু’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
২০০৮ সালের মুম্বাইতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৬৬ জন নিহত হয়। লস্কর-ই-তৈয়্যবার ১০ অস্ত্রধারী পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢুকে ওই হামলা চালায়। ওই ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে আজমল কাসাব নামে একজন ধরা পড়েন। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাঁকে আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
রবি আহলুওয়ালিয়া বলেন, আবারও মুম্বাই হামলার মতো ঘটনা ঠেকাতে কড়া নজরদারি কাঠামো গড়ে তোলা দরকার। সাম্প্রতিক রিভার সি ভেসেল (আরএসভি) চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জাহাজ চলাচল করছে। তবে ওই সব জাহাজে কোনো ট্রান্সপোন্ডার (তথ্য আদান-প্রদানের জন্য এক ধরনের ওয়ারলেস ব্যবস্থা) থাকে না। বাংলাদেশি জাহাজে এ ধরনের নজরদারিমূলক ব্যবস্থা রাখার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী কি না— সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আহলুওয়ালিয়া বলেন, নৌ স্বার্থ সুরক্ষার জন্য এ ব্যবস্থা থাকা উচিত।
ভারতীয় নৌবাহিনীর এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জাহাজে ট্রান্সপোন্ডার বসানো একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। ইতিমধ্যে জাহাজে এটি বসানোর দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। কাজেই এটি অবশ্যই হবে। নৌ স্বার্থ সুরক্ষার জন্য জাহাজে ট্রান্সপোন্ডার থাকতেই হবে। অন্যথায় মুম্বাই হামলার মতো আরও ঘটনা ঘটতে পারে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জাহাজগুলো হেমনগর চেকপয়েন্ট দিয়ে ভারতে ঢোকে। এসব জাহাজ পরে কলকাতার হুগলিতে যায়।
গত রোববার একটি জাহাজ থেকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের চর সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন রবি আহলুওয়ালিয়া বলেন, একটি যুদ্ধজাহাজের দূর বা বাইরে থেকে দেখা ছবির সবকিছু প্রকাশ করা হয় না। এর ভেতরে অনেক কিছু থাকতে পারে।
ইরশাদ আনসারি নামে কলকাতা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া চর চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার পরই ওই ভারতীয় নৌ-কর্মকর্তা ভারতে ঢোকা বাংলাদেশের জাহাজগুলোতে নজরদারির কথা বললেন।
পশ্চিমবঙ্গের ন্যাভাল অফিসার ইনচার্জ কমোডর রবি আহলুওয়ালিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আজ শুক্রবার ভারতের ‘দ্য হিন্দু’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
২০০৮ সালের মুম্বাইতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৬৬ জন নিহত হয়। লস্কর-ই-তৈয়্যবার ১০ অস্ত্রধারী পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢুকে ওই হামলা চালায়। ওই ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে আজমল কাসাব নামে একজন ধরা পড়েন। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাঁকে আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
রবি আহলুওয়ালিয়া বলেন, আবারও মুম্বাই হামলার মতো ঘটনা ঠেকাতে কড়া নজরদারি কাঠামো গড়ে তোলা দরকার। সাম্প্রতিক রিভার সি ভেসেল (আরএসভি) চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জাহাজ চলাচল করছে। তবে ওই সব জাহাজে কোনো ট্রান্সপোন্ডার (তথ্য আদান-প্রদানের জন্য এক ধরনের ওয়ারলেস ব্যবস্থা) থাকে না। বাংলাদেশি জাহাজে এ ধরনের নজরদারিমূলক ব্যবস্থা রাখার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী কি না— সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আহলুওয়ালিয়া বলেন, নৌ স্বার্থ সুরক্ষার জন্য এ ব্যবস্থা থাকা উচিত।
ভারতীয় নৌবাহিনীর এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জাহাজে ট্রান্সপোন্ডার বসানো একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। ইতিমধ্যে জাহাজে এটি বসানোর দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। কাজেই এটি অবশ্যই হবে। নৌ স্বার্থ সুরক্ষার জন্য জাহাজে ট্রান্সপোন্ডার থাকতেই হবে। অন্যথায় মুম্বাই হামলার মতো আরও ঘটনা ঘটতে পারে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জাহাজগুলো হেমনগর চেকপয়েন্ট দিয়ে ভারতে ঢোকে। এসব জাহাজ পরে কলকাতার হুগলিতে যায়।
গত রোববার একটি জাহাজ থেকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের চর সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন রবি আহলুওয়ালিয়া বলেন, একটি যুদ্ধজাহাজের দূর বা বাইরে থেকে দেখা ছবির সবকিছু প্রকাশ করা হয় না। এর ভেতরে অনেক কিছু থাকতে পারে।
ইরশাদ আনসারি নামে কলকাতা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া চর চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার পরই ওই ভারতীয় নৌ-কর্মকর্তা ভারতে ঢোকা বাংলাদেশের জাহাজগুলোতে নজরদারির কথা বললেন।
No comments