গায়েবি ভোট, না ভোটের উৎসব? by সাজেদুল হক
একটা
সময় ছিল শক্তির মাধ্যমেই বিরোধ নিষ্পত্তি করতো মানুষ। আস্তে আস্তে সভ্যতার
বিকাশ ঘটে। ক্ষমতা বাড়তে থাকে ব্যালটের। মুক্ত মানুষ তাদের বিরোধ
নিষ্পত্তির মাধ্যম হিসেবে বেঁচে নেয় ব্যালটকে। যুদ্ধ-বিগ্রহের এ পৃথিবীতে
সবক্ষেত্রে তা সত্য নয়। এটা কবুল করতেই হবে।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম ইতিহাসের সঙ্গে ব্যালটের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। সত্তরের নির্বাচনেই আসলে এ জনপদের মানুষ নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। পরের পথ অবশ্য অনেক কঠিন ছিল। বহু মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা পেয়েছি রাষ্ট্র। বাংলাদেশ রাষ্ট্রে ব্যালটের ইতিহাস সবসময় একরকম ছিল না। কখনও কখনও মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছে। কখনও হয়েছে গায়েবি ভোট। কলঙ্কিত নির্বাচন এ দেশের মানুষ কম দেখেনি। এ নিয়ে অবশ্য যত কম কথা বলা যায় ততই মঙ্গল।
ফের দরজায় কড়া নাড়ছে ভোট। সাত বছর পর দেখা যেতে পারে নৌকা-ধানের শীষের লড়াই। এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই দেখেছে বাংলাদেশের জনগণ। তবে এবারই প্রথম স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মাঠে আওয়ামী লীগের প্রবল প্রতাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিরোধীরা দৃশ্যত কোণঠাসা। খুব কম বিরোধী প্রার্থীই আছেন মামলার বাইরে। একটি বড় অংশ রয়েছেন কারাগারে। বিএনপির সমর্থিত বেশ কয়েকজন বর্তমান মেয়র এ নির্বাচনে প্রার্থী হননি।
এ অবস্থাতেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জনগণ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারলে বিএনপি ৮০ ভাগ পৌরসভায় জয়লাভ করবে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির জয়ের সুযোগ নেই। তাই অপপ্রচার চালাচ্ছে। কারা জয়ী হবে তা ৩০শে ডিসেম্বর ভোটের পরেই বুঝা যাবে। কিন্তু এখন রাজনীতির ময়দানে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত প্রশ্ন হচ্ছে নির্বাচনটি কেমন হবে? কোন মডেলের হবে নির্বাচন। কিছু নমুনা অবশ্য এরই মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ৫০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার পথে রয়েছেন।
পৌর নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনীতিকে আরও অগ্নিপরীক্ষায় ফেলবে। আওয়ামী লীগের জন্য এ নির্বাচন চ্যালেঞ্জের। যদিও অনেক পর্যবেক্ষক তা মানতে রাজি নন। তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ গত সাত বছরে সব চ্যালেঞ্জ এত নিরঙ্কুশভাবে উতরে গেছে, পৌর নির্বাচন তাদের জন্য কোন চ্যালেঞ্জই হবে না। নিশ্চিতভাবেই এ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। তবে দলটি শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে টিকে থাকতে পারে কিনা তা নিয়ে অনেকের মনেই সংশয় রয়েছে। ক্রমশ জাতীয় পার্টির শক্তি হারিয়ে ফেলার উপলক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়েছে এ নির্বাচন। একসময় তৃণমূলে দলটির জনপ্রিয়তা থাকলেও এখন তা শূন্যের কোটায় এসে পৌঁছেছে। নিবন্ধন না থাকায় দলীয় প্রতীকে জামায়াতের এ নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে স্বতন্ত্র হিসেবে দলটির নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্নস্থানে প্রার্থী হয়েছেন। জামায়াতের অনেকে এ নির্বাচনকে নিজেদের নতুন শুরু হিসেবে নিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারাই জয়ী হোক না কেন তা বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে কোন পরিবর্তন আনবে না। তবে একদিনের বাদশারা তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করার সুযোগ পান কিনা তাই এখন দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম ইতিহাসের সঙ্গে ব্যালটের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। সত্তরের নির্বাচনেই আসলে এ জনপদের মানুষ নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। পরের পথ অবশ্য অনেক কঠিন ছিল। বহু মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা পেয়েছি রাষ্ট্র। বাংলাদেশ রাষ্ট্রে ব্যালটের ইতিহাস সবসময় একরকম ছিল না। কখনও কখনও মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছে। কখনও হয়েছে গায়েবি ভোট। কলঙ্কিত নির্বাচন এ দেশের মানুষ কম দেখেনি। এ নিয়ে অবশ্য যত কম কথা বলা যায় ততই মঙ্গল।
ফের দরজায় কড়া নাড়ছে ভোট। সাত বছর পর দেখা যেতে পারে নৌকা-ধানের শীষের লড়াই। এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই দেখেছে বাংলাদেশের জনগণ। তবে এবারই প্রথম স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মাঠে আওয়ামী লীগের প্রবল প্রতাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিরোধীরা দৃশ্যত কোণঠাসা। খুব কম বিরোধী প্রার্থীই আছেন মামলার বাইরে। একটি বড় অংশ রয়েছেন কারাগারে। বিএনপির সমর্থিত বেশ কয়েকজন বর্তমান মেয়র এ নির্বাচনে প্রার্থী হননি।
এ অবস্থাতেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জনগণ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারলে বিএনপি ৮০ ভাগ পৌরসভায় জয়লাভ করবে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির জয়ের সুযোগ নেই। তাই অপপ্রচার চালাচ্ছে। কারা জয়ী হবে তা ৩০শে ডিসেম্বর ভোটের পরেই বুঝা যাবে। কিন্তু এখন রাজনীতির ময়দানে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত প্রশ্ন হচ্ছে নির্বাচনটি কেমন হবে? কোন মডেলের হবে নির্বাচন। কিছু নমুনা অবশ্য এরই মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ৫০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার পথে রয়েছেন।
পৌর নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনীতিকে আরও অগ্নিপরীক্ষায় ফেলবে। আওয়ামী লীগের জন্য এ নির্বাচন চ্যালেঞ্জের। যদিও অনেক পর্যবেক্ষক তা মানতে রাজি নন। তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ গত সাত বছরে সব চ্যালেঞ্জ এত নিরঙ্কুশভাবে উতরে গেছে, পৌর নির্বাচন তাদের জন্য কোন চ্যালেঞ্জই হবে না। নিশ্চিতভাবেই এ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। তবে দলটি শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে টিকে থাকতে পারে কিনা তা নিয়ে অনেকের মনেই সংশয় রয়েছে। ক্রমশ জাতীয় পার্টির শক্তি হারিয়ে ফেলার উপলক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়েছে এ নির্বাচন। একসময় তৃণমূলে দলটির জনপ্রিয়তা থাকলেও এখন তা শূন্যের কোটায় এসে পৌঁছেছে। নিবন্ধন না থাকায় দলীয় প্রতীকে জামায়াতের এ নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে স্বতন্ত্র হিসেবে দলটির নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্নস্থানে প্রার্থী হয়েছেন। জামায়াতের অনেকে এ নির্বাচনকে নিজেদের নতুন শুরু হিসেবে নিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারাই জয়ী হোক না কেন তা বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে কোন পরিবর্তন আনবে না। তবে একদিনের বাদশারা তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করার সুযোগ পান কিনা তাই এখন দেখার বিষয়।
No comments