রোনাল্ডো সমকামী? নতুন জল্পনায় ফুটছে ফুটবল বিশ্ব
এত
দিন তাঁর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে একাধিক মহিলার। প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে
পরের পর সুন্দরী নিয়ে ছড়িয়েছে জল্পনা। তবে এ বার তাঁকে— ক্রিশ্চিয়ানো
রোনাল্ডোকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি উঠল। দাবি— রিয়াল মাদ্রিদ মহাতারকার
সঙ্গে নাকি সমকামী সম্পর্ক রয়েছে তাঁর মরক্কান কিক বক্সার বন্ধুর। নাম বদর
হরি।
স্প্যানিশ মিডিয়ার আরও দাবি, এই কিক বক্সারের সঙ্গে দেখা করতে প্রায়ই মরক্কো যান সিআর সেভেন। সুপারমডেল মহিলা বান্ধবীদের সঙ্গে ‘ডেটিং’ করতে পর্তুগিজ মহাতারকার ‘প্রতিভা’ নিয়ে জল্পনা কম নেই। তার মধ্যে হঠাৎ এই দাবি ওঠায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।
ফরাসি টিভিতে একটি অনুষ্ঠানে এই নিয়ে আলোচনার পর থেকেই জল্পনাটি আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে ফুটবলমহলে। সেই অনুষ্ঠানে নাকি এক ফুটবল বিশেষজ্ঞ হঠাৎ বলেন, ‘‘মাঠের বাইরে ফুটবলাররা যা করেন তার একটা প্রভাব মাঠে পড়ে বলেই মনে হয়। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকেই ধরা যাক। এক বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতে সপ্তাহে তিন-চার বার মরক্কো উড়ে যাওয়ার প্রভাব হয়তো ওঁর পারফরম্যান্সে রয়েছে।’’
শোনা যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদও নাকি রোনাল্ডোর ব্যক্তিগত জেটে ‘ঘন ঘন’ মরক্কো যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। মাস দেড়েক আগে রোনাল্ডোর সঙ্গে হরি দুটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। তার প্রথমটায় দু’জন পুল সেশনে। যা পোস্ট করে হরি লেখেন, ‘‘পুল সাইডে ঠান্ডা হচ্ছি রোনাল্ডো ভাইয়ের সঙ্গে। আমার সুন্দর দেশটায় তোমাকে স্বাগত জানানোটা সব সময়ই দারুণ ব্যাপার।’’ তবে বেশি হইচই হচ্ছে দ্বিতীয় ছবিটা নিয়ে। যে ছবিতে রোনাল্ডোকে কোলে তুলে নিয়েছেন হরি। আর লিখেছেন, ‘‘জাস্ট ম্যারেড। হাহাহাহাহা। দুঃসময়ে তোমার পাশে থাকতে সব সময় আছি ভাই।’’
কিক বক্সার হরির জীবনের কাহিনি আবার রূপকথার মতো। সব ছেড়ে উদ্বাস্তু হিসেবে অন্য দেশে আসার পর কিক বক্সিংয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে আসার জীবন সফর। তাঁর এক কন্যাও আছে। মরক্কোতেই থাকেন। আর সে দেশে তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। তাঁর ওয়েবসাইট অনুযায়ী হরির অন্যতম ‘ফেভারিট’ ঘড়ি, গাড়ি আর পুরুষদের ফ্যাশন।
হরিকে নিয়ে বিতর্কও নতুন নয়। মারপিট করার অভিযোগে একাধিক বার গ্রেফতার হয়েছেন। তিন বছর আগে হরিকে নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল কিংবদন্তি রুদ খুলিটের সঙ্গে তাঁর নাম জড়ানোয়। বলা হচ্ছিল, হরির জন্যই নাকি খুলিটকে ছেড়ে চলে যান তাঁর স্ত্রী। দাবি উঠেছিল খুলিটের ছত্রিশ বছরের স্ত্রী এস্টেলি নাকি হরির প্রেমে পড়েছেন। এস্টেলি আবার খুলিটের থেকে বয়সে একুশ বছরের ছোট। পরে একটি ডাচ সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এস্টেলি বলেছিলেন, ‘‘রুদের একটা কথা জানা উচিত। বদর আমাকে রুদের থেকে চুরি করেনি। রুদ নিজেই আমাকে সরিয়ে দিয়েছে।’’
পর্তুগিজ মহাতারকা বা বদর অবশ্য তাঁদের নিয়ে ছড়ানো জল্পনার প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি এখনও। তবে আগে রোনাল্ডো দাবি করেছিলেন তিনি সমকামী নন। বছর পাঁচেক আগে পর্তুগালে সমকামীদের বিয়েকে সমর্থন করা প্রসঙ্গে সিআর সেভেন বলেছিলেন, ‘‘এক জন পর্তুগিজ হিসেবে দেশে কী হচ্ছে সে ব্যাপারে ওয়াকিবহাল থাকার চেষ্টা করি। পরস্পরের ব্যক্তিগত ইচ্ছেকে সম্মান করা উচিত আমাদের। কারণ যাই হোক না কেন, সব নাগরিকের সমান অধিকার আর দায়িত্ব থাকা উচিত।’’
সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
স্প্যানিশ মিডিয়ার আরও দাবি, এই কিক বক্সারের সঙ্গে দেখা করতে প্রায়ই মরক্কো যান সিআর সেভেন। সুপারমডেল মহিলা বান্ধবীদের সঙ্গে ‘ডেটিং’ করতে পর্তুগিজ মহাতারকার ‘প্রতিভা’ নিয়ে জল্পনা কম নেই। তার মধ্যে হঠাৎ এই দাবি ওঠায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।
ফরাসি টিভিতে একটি অনুষ্ঠানে এই নিয়ে আলোচনার পর থেকেই জল্পনাটি আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে ফুটবলমহলে। সেই অনুষ্ঠানে নাকি এক ফুটবল বিশেষজ্ঞ হঠাৎ বলেন, ‘‘মাঠের বাইরে ফুটবলাররা যা করেন তার একটা প্রভাব মাঠে পড়ে বলেই মনে হয়। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকেই ধরা যাক। এক বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতে সপ্তাহে তিন-চার বার মরক্কো উড়ে যাওয়ার প্রভাব হয়তো ওঁর পারফরম্যান্সে রয়েছে।’’
শোনা যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদও নাকি রোনাল্ডোর ব্যক্তিগত জেটে ‘ঘন ঘন’ মরক্কো যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। মাস দেড়েক আগে রোনাল্ডোর সঙ্গে হরি দুটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। তার প্রথমটায় দু’জন পুল সেশনে। যা পোস্ট করে হরি লেখেন, ‘‘পুল সাইডে ঠান্ডা হচ্ছি রোনাল্ডো ভাইয়ের সঙ্গে। আমার সুন্দর দেশটায় তোমাকে স্বাগত জানানোটা সব সময়ই দারুণ ব্যাপার।’’ তবে বেশি হইচই হচ্ছে দ্বিতীয় ছবিটা নিয়ে। যে ছবিতে রোনাল্ডোকে কোলে তুলে নিয়েছেন হরি। আর লিখেছেন, ‘‘জাস্ট ম্যারেড। হাহাহাহাহা। দুঃসময়ে তোমার পাশে থাকতে সব সময় আছি ভাই।’’
কিক বক্সার হরির জীবনের কাহিনি আবার রূপকথার মতো। সব ছেড়ে উদ্বাস্তু হিসেবে অন্য দেশে আসার পর কিক বক্সিংয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে আসার জীবন সফর। তাঁর এক কন্যাও আছে। মরক্কোতেই থাকেন। আর সে দেশে তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। তাঁর ওয়েবসাইট অনুযায়ী হরির অন্যতম ‘ফেভারিট’ ঘড়ি, গাড়ি আর পুরুষদের ফ্যাশন।
হরিকে নিয়ে বিতর্কও নতুন নয়। মারপিট করার অভিযোগে একাধিক বার গ্রেফতার হয়েছেন। তিন বছর আগে হরিকে নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল কিংবদন্তি রুদ খুলিটের সঙ্গে তাঁর নাম জড়ানোয়। বলা হচ্ছিল, হরির জন্যই নাকি খুলিটকে ছেড়ে চলে যান তাঁর স্ত্রী। দাবি উঠেছিল খুলিটের ছত্রিশ বছরের স্ত্রী এস্টেলি নাকি হরির প্রেমে পড়েছেন। এস্টেলি আবার খুলিটের থেকে বয়সে একুশ বছরের ছোট। পরে একটি ডাচ সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এস্টেলি বলেছিলেন, ‘‘রুদের একটা কথা জানা উচিত। বদর আমাকে রুদের থেকে চুরি করেনি। রুদ নিজেই আমাকে সরিয়ে দিয়েছে।’’
পর্তুগিজ মহাতারকা বা বদর অবশ্য তাঁদের নিয়ে ছড়ানো জল্পনার প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি এখনও। তবে আগে রোনাল্ডো দাবি করেছিলেন তিনি সমকামী নন। বছর পাঁচেক আগে পর্তুগালে সমকামীদের বিয়েকে সমর্থন করা প্রসঙ্গে সিআর সেভেন বলেছিলেন, ‘‘এক জন পর্তুগিজ হিসেবে দেশে কী হচ্ছে সে ব্যাপারে ওয়াকিবহাল থাকার চেষ্টা করি। পরস্পরের ব্যক্তিগত ইচ্ছেকে সম্মান করা উচিত আমাদের। কারণ যাই হোক না কেন, সব নাগরিকের সমান অধিকার আর দায়িত্ব থাকা উচিত।’’
সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
No comments