ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি পেল চার হাজার শিক্ষার্থী- দৃষ্টিহীনতা জয় করে লিপি আইনজীবী হতে চায়
ডাচ–বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে অন্য অতিথিদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিবি কুলসুম লিপির হাতে বৃত্তির টাকা তুলে দেন l ছবি: প্রথম আলো |
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিবি কুলসুম লিপি। দিনমজুর বাবার সংসারে হাজারো প্রতিকূলতা জয় করে এখন উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছে ঢাকার বদরুননেসা কলেজে। পরিবারের ইচ্ছা, পড়ালেখা করে মেয়ে ডাক্তার হবে। কিন্তু লিপির স্বপ্ন আইনজীবী হওয়ার।
বেসরকারি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি নিতে গতকাল শনিবার রাজধানীর মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে এসেছিল লিপির মতো আরও চার হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী। কৃতী শিক্ষার্থী হিসেবে সবার সামনে লিপি তুলে ধরে তাঁর সংগ্রামের কাহিনি।
লিপি বলে, ‘আমার মতো আমার তিন ভাই-বোনও অন্ধ। অন্ধত্বকে তাই একসময় জীবনের অভিশাপ মনে হতো। বাবা চাননি লেখাপড়া করি, কিন্তু আমার স্বপ্ন বড় আইনজীবী হওয়ার। এখানে আসতে পেরে এবং সবার সামনে কথা বলতে পেরে কী যে আনন্দ লাগছে!’
এমন অনেক কৃতী শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণে সাহস জোগাচ্ছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তির অর্থ। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত এমনই ৪ হাজার ২৫ জন শিক্ষার্থীকে গতকাল বৃত্তির টাকা দিয়েছে ব্যাংকটি। ২০১৫ সালের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে এ বৃত্তি দেওয়া হয়।
রাজধানীর মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিশেষ অতিথি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়া পিয়ের লাঘামে তিনজন করে শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তিপত্র তুলে দেন। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজ ও বৃত্তিপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষার্থী।
অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী হলেও আমার আত্মা সব সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিচরণ করেছে। এ জন্য শিক্ষা বিষয়ে যখন-তখন যত ধরনের উপদেশ দেওয়া দরকার, সেটি দিয়েছি। শিক্ষার উন্নয়নে আমার চেয়ে বেশি অত্যাচার শিক্ষামন্ত্রীকে মনে হয় আর কেউ করেনি।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সুবিধাবঞ্চিত ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোয় ডাচ্-বাংলা ব্যাংককে ধন্যবাদ। এমন সমাজ ও মানব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড আরও বিস্তৃত হোক। বৃত্তিপ্রাপ্তরা প্রকৃত শিক্ষায় আলোকিত হয়ে দেশ গঠনে নিজেদের উৎসর্গ করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কানাডার রাষ্ট্রদূত পিয়ের লাঘামে বলেন, বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, নারীর ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য নির্মূলের লক্ষ্য অর্জনে নারী শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিক্ষাবৃত্তির এই উদ্যোগ দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা এবং পাঠ্য উপকরণ ও পোশাক-পরিচ্ছদের জন্য বছরে সাড়ে তিন হাজার টাকা দেওয়া হবে। এ নিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন স্তরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছে ১৮ হাজার ৭৪৮ জন শিক্ষার্থী।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ বলেন, দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে শুরু থেকেই ডাচ্-বাংলা ব্যাংক শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে আসছে। ব্যাংকের মোট শিক্ষাবৃত্তির ৯০ শতাংশ দেওয়া হয় গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের, যার ৫০ শতাংশ আবার নারী শিক্ষার্থী।
বেসরকারি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি নিতে গতকাল শনিবার রাজধানীর মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে এসেছিল লিপির মতো আরও চার হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী। কৃতী শিক্ষার্থী হিসেবে সবার সামনে লিপি তুলে ধরে তাঁর সংগ্রামের কাহিনি।
লিপি বলে, ‘আমার মতো আমার তিন ভাই-বোনও অন্ধ। অন্ধত্বকে তাই একসময় জীবনের অভিশাপ মনে হতো। বাবা চাননি লেখাপড়া করি, কিন্তু আমার স্বপ্ন বড় আইনজীবী হওয়ার। এখানে আসতে পেরে এবং সবার সামনে কথা বলতে পেরে কী যে আনন্দ লাগছে!’
এমন অনেক কৃতী শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণে সাহস জোগাচ্ছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তির অর্থ। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত এমনই ৪ হাজার ২৫ জন শিক্ষার্থীকে গতকাল বৃত্তির টাকা দিয়েছে ব্যাংকটি। ২০১৫ সালের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে এ বৃত্তি দেওয়া হয়।
রাজধানীর মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিশেষ অতিথি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়া পিয়ের লাঘামে তিনজন করে শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তিপত্র তুলে দেন। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজ ও বৃত্তিপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষার্থী।
অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী হলেও আমার আত্মা সব সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিচরণ করেছে। এ জন্য শিক্ষা বিষয়ে যখন-তখন যত ধরনের উপদেশ দেওয়া দরকার, সেটি দিয়েছি। শিক্ষার উন্নয়নে আমার চেয়ে বেশি অত্যাচার শিক্ষামন্ত্রীকে মনে হয় আর কেউ করেনি।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সুবিধাবঞ্চিত ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোয় ডাচ্-বাংলা ব্যাংককে ধন্যবাদ। এমন সমাজ ও মানব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড আরও বিস্তৃত হোক। বৃত্তিপ্রাপ্তরা প্রকৃত শিক্ষায় আলোকিত হয়ে দেশ গঠনে নিজেদের উৎসর্গ করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কানাডার রাষ্ট্রদূত পিয়ের লাঘামে বলেন, বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, নারীর ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য নির্মূলের লক্ষ্য অর্জনে নারী শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিক্ষাবৃত্তির এই উদ্যোগ দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা এবং পাঠ্য উপকরণ ও পোশাক-পরিচ্ছদের জন্য বছরে সাড়ে তিন হাজার টাকা দেওয়া হবে। এ নিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন স্তরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছে ১৮ হাজার ৭৪৮ জন শিক্ষার্থী।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ বলেন, দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে শুরু থেকেই ডাচ্-বাংলা ব্যাংক শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে আসছে। ব্যাংকের মোট শিক্ষাবৃত্তির ৯০ শতাংশ দেওয়া হয় গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের, যার ৫০ শতাংশ আবার নারী শিক্ষার্থী।
No comments