গণতন্ত্রে ফেরার উৎসব: মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন আজ
মিয়ানমারে
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সাধারণ নির্বাচনে আজ রোববার ভোট নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে
কর্তৃপক্ষ গতকাল শনিবার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। গত ২৫ বছরের
মধ্যে এটাই হবে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন।
প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন শুক্রবার বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল যা–ই হোক না কেন, সরকার ও সেনাবাহিনী মেনে নেবে। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতার পালাবদল নিশ্চিত করতে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এ নির্বাচনে বড় সাফল্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু এনএলডি বিজয়ী হলেও সু চি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। কারণ, কারও সন্তান বিদেশি নাগরিক হলে মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ নেই। তবে সু চি গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, এনএলডি সরকার গঠন করলে ক্ষমতার রাশ তাঁর হাতেই থাকবে।
সু চির দল জয়ী হলে নতুন সরকারের প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনাও শুরু হয়েছে। এ পদে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচিত আইনপ্রণেতা হওয়া জরুরি নয়। এনএলডির শীর্ষস্থানীয় নেতা উইন তিন বলেন, দল ক্ষমতায় এলে সু চির অবস্থান ভারতীয় রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নেতা সোনিয়া গান্ধীর মতো হতে পারে। এনএলডি এমন কাউকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য বাছাই করবে, যিনি সু চির প্রতি বিশ্বস্ত থাকবেন। ভারতে মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালে সোনিয়া দলীয় শীর্ষপদে থেকেই সরকারের ওপর অনানুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছিলেন।
মিয়ানমারে প্রায় ৫০ বছর সামরিক জান্তা ক্ষমতায় ছিল। ২০১১ সালে সেনা-সমর্থিত বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় এসে বেশ কিছু সংস্কারকাজ শুরু করে। তবে দেশটির বর্তমান সংবিধান সেনাশাসকদেরই তৈরি। তাঁরা দেশটির পার্লামেন্ট ও সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার সব সুযোগ রেখেছেন। আজকের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলেও তা পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশ আসনের প্রতিনিধি চূড়ান্ত করবে। বাকি ২৫ শতাংশ আসন অনির্বাচিত সেনা কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। তাই যে দলই ক্ষমতায় আসুক, সেনাবাহিনীর আধিপত্য কমার সুযোগ কম। বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের রাজনৈতিক দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) এবারের নির্বাচনে জোরালো প্রচার কার্যক্রম চালায়নি। তাই দলটি গণমানুষের কাছাকাছি না গিয়েই ভিন্ন উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায় বহু বছর ধরেই নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এবারের নির্বাচন তাদের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারের পার্লামেন্টে চারজন মুসলিম আইনপ্রণেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে তাঁরা কেউই অংশ নিচ্ছেন না। সরকারি দল বা বিরোধী দল এনএলডি—কেউই কোনো মুসলিম প্রার্থী দেয়নি। রোহিঙ্গা নেতাদের অভিযোগ, দুই দলই পার্লামেন্টে মুসলিমদের উপস্থিতি চায় না।
২০১০ সালের নির্বাচনে রোহিঙ্গারা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু এ বছর অস্থায়ী পরিচয়পত্রধারী প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা ভোট দিতে পারবেন না। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না।
প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন শুক্রবার বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল যা–ই হোক না কেন, সরকার ও সেনাবাহিনী মেনে নেবে। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতার পালাবদল নিশ্চিত করতে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এ নির্বাচনে বড় সাফল্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু এনএলডি বিজয়ী হলেও সু চি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। কারণ, কারও সন্তান বিদেশি নাগরিক হলে মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ নেই। তবে সু চি গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, এনএলডি সরকার গঠন করলে ক্ষমতার রাশ তাঁর হাতেই থাকবে।
সু চির দল জয়ী হলে নতুন সরকারের প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনাও শুরু হয়েছে। এ পদে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচিত আইনপ্রণেতা হওয়া জরুরি নয়। এনএলডির শীর্ষস্থানীয় নেতা উইন তিন বলেন, দল ক্ষমতায় এলে সু চির অবস্থান ভারতীয় রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নেতা সোনিয়া গান্ধীর মতো হতে পারে। এনএলডি এমন কাউকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য বাছাই করবে, যিনি সু চির প্রতি বিশ্বস্ত থাকবেন। ভারতে মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালে সোনিয়া দলীয় শীর্ষপদে থেকেই সরকারের ওপর অনানুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছিলেন।
মিয়ানমারে প্রায় ৫০ বছর সামরিক জান্তা ক্ষমতায় ছিল। ২০১১ সালে সেনা-সমর্থিত বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় এসে বেশ কিছু সংস্কারকাজ শুরু করে। তবে দেশটির বর্তমান সংবিধান সেনাশাসকদেরই তৈরি। তাঁরা দেশটির পার্লামেন্ট ও সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার সব সুযোগ রেখেছেন। আজকের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলেও তা পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশ আসনের প্রতিনিধি চূড়ান্ত করবে। বাকি ২৫ শতাংশ আসন অনির্বাচিত সেনা কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। তাই যে দলই ক্ষমতায় আসুক, সেনাবাহিনীর আধিপত্য কমার সুযোগ কম। বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের রাজনৈতিক দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) এবারের নির্বাচনে জোরালো প্রচার কার্যক্রম চালায়নি। তাই দলটি গণমানুষের কাছাকাছি না গিয়েই ভিন্ন উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায় বহু বছর ধরেই নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এবারের নির্বাচন তাদের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারের পার্লামেন্টে চারজন মুসলিম আইনপ্রণেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে তাঁরা কেউই অংশ নিচ্ছেন না। সরকারি দল বা বিরোধী দল এনএলডি—কেউই কোনো মুসলিম প্রার্থী দেয়নি। রোহিঙ্গা নেতাদের অভিযোগ, দুই দলই পার্লামেন্টে মুসলিমদের উপস্থিতি চায় না।
২০১০ সালের নির্বাচনে রোহিঙ্গারা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু এ বছর অস্থায়ী পরিচয়পত্রধারী প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা ভোট দিতে পারবেন না। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না।
No comments