প্রথম আলো-এইচএসবিসি ভাষা প্রতিযোগ: বৃষ্টি উপেক্ষা করে উৎসব by আশীষ-উর-রহমান
পরিকল্পনা-প্রস্তুতি
যেমন ছিল, কাজের বেলায় ঠিক তেমন হলো না। তবে শেষাবধি যেমন হলো, তাতেও
আনন্দ-উৎসবের ঘাটতি ছিল না। পার্থক্য কেবল খোলা মাঠে, উদার আকাশের তলায়
উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠার বদলে ঘরের চার দেয়ালের ভেতর ছাদের সুরক্ষায় বসে কাটাতে
হলো দিনটি। বাগড়া দিয়েছিল শ্রাবণের অজস্র বারিধারা। গতকাল শুক্রবার
এইচএসবিসি-প্রথম আলো ভাষা প্রতিযোগের জাতীয় উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা বৃষ্টি
উপেক্ষা করেই সারা দেশ থেকে এসেছিল ঢাকায়।
উৎসবের কেন্দ্র ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ মাঠে আগের রাতেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির বিড়ম্বনায় সেসব তেমনই পড়ে রইল। নাম নিবন্ধন করে প্রতিযোগী ও তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকেরা চলে গেলেন মিলনায়তনে। পরিকল্পনা খানিকটা কাটছাঁট করে মিলনায়তন মঞ্চেই প্রথম আলো বন্ধুসভার বন্ধুদের সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে শুরু হলো ভাষা প্রতিযোগের একাদশ জাতীয় উৎসব। এবারে জাতীয় উৎসবে সেরাদের সেরা হয়েছে রাজধানীর ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির কারিন আশরাফ।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুন বললেন, প্রকৃতির বিরূপতা উপেক্ষা করে ছাত্রছাত্রীদের ভাষা প্রতিযোগে এই বিপুল অংশগ্রহণ মাতৃভাষার প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসারই প্রকাশ। ভাষা নিয়ে এ ধরনের আয়োজন এবং উৎসব কেন্দ্র হিসেবে তাঁর প্রতিষ্ঠানটিকে বেছে নেওয়ায় তিনি ধন্যবাদ জানান। প্রধান অতিথি ইমেরিটাস অধ্যাপক ও ভাষা প্রতিযোগ পর্ষদের আহ্বায়ক আনিসুজ্জামানও বললেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই উৎসাহ-উদ্দীপনা আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। এ দেশে ভাষার জন্য আমরা যা করেছি, তার তুলনা পাওয়া যায় না। সেই ভাষাকে শুদ্ধ করে জানতে ও চর্চা করতে হবে। নতুন প্রজন্ম যে উৎসাহের সঙ্গে প্রতিযোগে অংশ নিচ্ছে, তাতে মনে হয় বছরের পর বছর ধরে এই প্রতিযোগ সফলভাবে চলতে থাকবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে ছিলেন অধ্যাপক মাহাবুবুল হক, অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ফেরদৌস আরা বেগম ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ। উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতার পর মূল প্রতিযোগ শুরু। যাকে বলা হয়েছিল ‘পরীক্ষা পরীক্ষা খেলা’, তাতে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা ছুটল নির্ধারিত শ্রেণিকক্ষগুলোর দিকে।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে শুদ্ধ করে মাতৃভাষা চর্চায় আগ্রহ সৃষ্টিতে উৎসাহ দিতে প্রথম আলো-এইচএসবিসি ভাষা প্রতিযোগ শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। এবার ২০১৫ সালে ১১তম উৎসবে ঢাকাসহ দেশের মোট নয়টি অঞ্চলে প্রতিযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, হবিগঞ্জ, নড়াইল ও টাঙ্গাইল। আঞ্চলিক পর্যায়ে বিজয়ী ৫৮০ জনকে নিয়ে রাজধানীতে আয়োজন করা হয়েছিল এই জাতীয় উৎসব। দুর্যোগ সত্ত্বেও অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৫০৩ জন।
দেখতে দেখতেই পরীক্ষার সময়টুকু পেরিয়ে গেল। সন্ধ্যায় ঝাঁক ধরে নীড়ে ফেরা পাখির মতো কলরব করে প্রতিযোগীরা আবার ফিরল মিলনায়তনে। তারপর গানের সুর, জাদুর চমক, তারকার দ্যুতিতে জমকালো হয়ে উঠল পরিবেশ। এ পর্ব শুরু হয়েছিল প্রতিযোগীদের গান দিয়ে। শুধু পড়ালেখাতেই নয়, তারা যে পাঠ্যসূচির বাইরে সুকুমারকলার চর্চাতেও যথেষ্ট পারঙ্গম, তার প্রমাণ দিল গানে গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। হবিগঞ্জের নিশাত তাসমিনের গাওয়া লালনের গান ‘দেখ না মন ঝাকমারি এই দুনিয়া দারি’ শুনে মিলনায়তনের পিনপতন স্তব্ধতা। গানের শেষে সেই স্তব্ধতা ভাঙল বিপুল করতালিতে। রবীন্দ্রনাথের গান ‘আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদরদিনে’, ‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’, ‘আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ’, নজরুলের গান ‘পরদেশি মেঘ যাওরে ফিরে’, চলচ্চিত্রের গান ‘আমার সারা দেহ খেও গো মাটি’ গেয়ে শ্রোতাদের মন ভরিয়ে দিয়েছে টাঙ্গাইলের রোদসী, রাজশাহীর রিফা তাসফিয়া, দিনাজপুরের জয়ন্তিকা, পারমিতা দেব ও হবিগঞ্জের প্রত্যয় রায়।
এরপর মঞ্চে আসেন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান। তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র গেরিলাতে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। প্রতিযোগীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আর তাদের মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার সঙ্গে দায়বদ্ধতার জন্যও অনুপ্রেরণা দেন। তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিতে মঞ্চে এলেন ক্রিকেটার সাব্বির। তিনি সেলফিও তুললেন ওদের সঙ্গে।
গান আর আলাপচারিতার পর ছিল জাদুর চমক। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় জদুশিল্পী আলী রাজ তাঁর সাবলীল উপস্থাপনা আর গানের সুরের মূর্ছনার সঙ্গে একের পর এক চমক লাগানো জাদু দেখিয়ে পরিবেশটাই উচ্ছ্বসিত করে তোলেন।
দ্বিতীয় পর্বের শুরু হলো বৃষ্টির গানের সঙ্গে জলের গানের ঐকতান দিয়ে। ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর’ দিয়ে জলের গানের পরিবেশনা। এরপর ছিল ‘এমন যদি হতো’, ‘কাগজের নৌকা’, ‘বকুল ফুল বকুল ফুল’, সবশেষে ‘তুমি আমার পাশে বন্ধু হে’। এরপর অভিনয়শিল্পী অপি করিম এলেন মঞ্চে প্রতিযোগীদের সঙ্গে কথা বলতে। অনুরোধের পড়ে তাঁকেও গাইতে হলো। শোনালেন ‘ভুবনেশ্বর হে মোচন কর...’।
এবার প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণার পালা। তার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। এইচএসবিসির হেড অব লিগ্যাল ও রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স সাউলী কামাল খান বললেন, নতুন প্রজন্ম বিশ্বদরবারে মাতৃভাষার গৌরবকে তুলে ধরতে পারবে—এটাই সবার প্রত্যাশা। সে কারণেই তাদের উজ্জীবিত করতে এই আয়োজন।
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী প্রতিযোগীদের বলেন, ভাষার বিকৃতি ঠেকাতে হবে। দেশের ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান দুর্যোগ সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কষ্ট করে আসার জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা শুদ্ধ বাংলায় কথা বলব, বাংলায় স্বপ্ন দেখব।’ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে পুরস্কার বিতরণ পর্ব পরিচালনা করেন অধ্যাপক তারিক মনজুর। অতিথিদের সঙ্গে বিজয়ীদের পুরস্কারের সনদ, ক্রেস্ট আর উপহারের ব্যাগ নিয়ে ছবি তোলার পর্বও বাদ গেল না। বৃষ্টির কিন্তু অবসর নেই, সে ঝরেই যাচ্ছে। তাকে তোয়াক্কা না করেই ঘরের পথে যাত্রা শুরু হলো সবার।
উৎসবের কেন্দ্র ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ মাঠে আগের রাতেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির বিড়ম্বনায় সেসব তেমনই পড়ে রইল। নাম নিবন্ধন করে প্রতিযোগী ও তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকেরা চলে গেলেন মিলনায়তনে। পরিকল্পনা খানিকটা কাটছাঁট করে মিলনায়তন মঞ্চেই প্রথম আলো বন্ধুসভার বন্ধুদের সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে শুরু হলো ভাষা প্রতিযোগের একাদশ জাতীয় উৎসব। এবারে জাতীয় উৎসবে সেরাদের সেরা হয়েছে রাজধানীর ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির কারিন আশরাফ।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুন বললেন, প্রকৃতির বিরূপতা উপেক্ষা করে ছাত্রছাত্রীদের ভাষা প্রতিযোগে এই বিপুল অংশগ্রহণ মাতৃভাষার প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসারই প্রকাশ। ভাষা নিয়ে এ ধরনের আয়োজন এবং উৎসব কেন্দ্র হিসেবে তাঁর প্রতিষ্ঠানটিকে বেছে নেওয়ায় তিনি ধন্যবাদ জানান। প্রধান অতিথি ইমেরিটাস অধ্যাপক ও ভাষা প্রতিযোগ পর্ষদের আহ্বায়ক আনিসুজ্জামানও বললেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই উৎসাহ-উদ্দীপনা আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। এ দেশে ভাষার জন্য আমরা যা করেছি, তার তুলনা পাওয়া যায় না। সেই ভাষাকে শুদ্ধ করে জানতে ও চর্চা করতে হবে। নতুন প্রজন্ম যে উৎসাহের সঙ্গে প্রতিযোগে অংশ নিচ্ছে, তাতে মনে হয় বছরের পর বছর ধরে এই প্রতিযোগ সফলভাবে চলতে থাকবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে ছিলেন অধ্যাপক মাহাবুবুল হক, অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ফেরদৌস আরা বেগম ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ। উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতার পর মূল প্রতিযোগ শুরু। যাকে বলা হয়েছিল ‘পরীক্ষা পরীক্ষা খেলা’, তাতে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা ছুটল নির্ধারিত শ্রেণিকক্ষগুলোর দিকে।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে শুদ্ধ করে মাতৃভাষা চর্চায় আগ্রহ সৃষ্টিতে উৎসাহ দিতে প্রথম আলো-এইচএসবিসি ভাষা প্রতিযোগ শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। এবার ২০১৫ সালে ১১তম উৎসবে ঢাকাসহ দেশের মোট নয়টি অঞ্চলে প্রতিযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, হবিগঞ্জ, নড়াইল ও টাঙ্গাইল। আঞ্চলিক পর্যায়ে বিজয়ী ৫৮০ জনকে নিয়ে রাজধানীতে আয়োজন করা হয়েছিল এই জাতীয় উৎসব। দুর্যোগ সত্ত্বেও অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৫০৩ জন।
দেখতে দেখতেই পরীক্ষার সময়টুকু পেরিয়ে গেল। সন্ধ্যায় ঝাঁক ধরে নীড়ে ফেরা পাখির মতো কলরব করে প্রতিযোগীরা আবার ফিরল মিলনায়তনে। তারপর গানের সুর, জাদুর চমক, তারকার দ্যুতিতে জমকালো হয়ে উঠল পরিবেশ। এ পর্ব শুরু হয়েছিল প্রতিযোগীদের গান দিয়ে। শুধু পড়ালেখাতেই নয়, তারা যে পাঠ্যসূচির বাইরে সুকুমারকলার চর্চাতেও যথেষ্ট পারঙ্গম, তার প্রমাণ দিল গানে গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। হবিগঞ্জের নিশাত তাসমিনের গাওয়া লালনের গান ‘দেখ না মন ঝাকমারি এই দুনিয়া দারি’ শুনে মিলনায়তনের পিনপতন স্তব্ধতা। গানের শেষে সেই স্তব্ধতা ভাঙল বিপুল করতালিতে। রবীন্দ্রনাথের গান ‘আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদরদিনে’, ‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’, ‘আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ’, নজরুলের গান ‘পরদেশি মেঘ যাওরে ফিরে’, চলচ্চিত্রের গান ‘আমার সারা দেহ খেও গো মাটি’ গেয়ে শ্রোতাদের মন ভরিয়ে দিয়েছে টাঙ্গাইলের রোদসী, রাজশাহীর রিফা তাসফিয়া, দিনাজপুরের জয়ন্তিকা, পারমিতা দেব ও হবিগঞ্জের প্রত্যয় রায়।
এরপর মঞ্চে আসেন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান। তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র গেরিলাতে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। প্রতিযোগীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আর তাদের মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার সঙ্গে দায়বদ্ধতার জন্যও অনুপ্রেরণা দেন। তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিতে মঞ্চে এলেন ক্রিকেটার সাব্বির। তিনি সেলফিও তুললেন ওদের সঙ্গে।
গান আর আলাপচারিতার পর ছিল জাদুর চমক। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় জদুশিল্পী আলী রাজ তাঁর সাবলীল উপস্থাপনা আর গানের সুরের মূর্ছনার সঙ্গে একের পর এক চমক লাগানো জাদু দেখিয়ে পরিবেশটাই উচ্ছ্বসিত করে তোলেন।
দ্বিতীয় পর্বের শুরু হলো বৃষ্টির গানের সঙ্গে জলের গানের ঐকতান দিয়ে। ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর’ দিয়ে জলের গানের পরিবেশনা। এরপর ছিল ‘এমন যদি হতো’, ‘কাগজের নৌকা’, ‘বকুল ফুল বকুল ফুল’, সবশেষে ‘তুমি আমার পাশে বন্ধু হে’। এরপর অভিনয়শিল্পী অপি করিম এলেন মঞ্চে প্রতিযোগীদের সঙ্গে কথা বলতে। অনুরোধের পড়ে তাঁকেও গাইতে হলো। শোনালেন ‘ভুবনেশ্বর হে মোচন কর...’।
এবার প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণার পালা। তার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। এইচএসবিসির হেড অব লিগ্যাল ও রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স সাউলী কামাল খান বললেন, নতুন প্রজন্ম বিশ্বদরবারে মাতৃভাষার গৌরবকে তুলে ধরতে পারবে—এটাই সবার প্রত্যাশা। সে কারণেই তাদের উজ্জীবিত করতে এই আয়োজন।
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী প্রতিযোগীদের বলেন, ভাষার বিকৃতি ঠেকাতে হবে। দেশের ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান দুর্যোগ সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কষ্ট করে আসার জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা শুদ্ধ বাংলায় কথা বলব, বাংলায় স্বপ্ন দেখব।’ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে পুরস্কার বিতরণ পর্ব পরিচালনা করেন অধ্যাপক তারিক মনজুর। অতিথিদের সঙ্গে বিজয়ীদের পুরস্কারের সনদ, ক্রেস্ট আর উপহারের ব্যাগ নিয়ে ছবি তোলার পর্বও বাদ গেল না। বৃষ্টির কিন্তু অবসর নেই, সে ঝরেই যাচ্ছে। তাকে তোয়াক্কা না করেই ঘরের পথে যাত্রা শুরু হলো সবার।
No comments