মুজাহিদের সকালের নাস্তায় জবের রুটি by আল আমিন
মানবতাবিরোধী অপরাধে সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহালের পর ঢাকা কেন্দ্রীয়
কারাগারেই আছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ।
১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থের একটি সেলে আছেন তিনি। সাবেক এই মন্ত্রী
এখন তৃতীয় শ্রেণীর কয়েদী।
সূত্র জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পশ্চিম দিকের ‘৮ সেল’ নামে একটি সেলের ৪ নম্বর কক্ষে রাখা হয়েছে মুজাহিদকে। ওই সেলে ৮ কক্ষ থাকায় সেটির নাম দেয়া হয়েছে ‘৮ সেল’। মৃত্যুদ- প্রাপ্ত আসামীরাই এই সেলে থাকেন। মুজাহিদ ছাড়াও সেখানে রয়েছেন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার। ওই সেলে কোন বেড, চেয়ার ও টেবিল নেই। নেই ফ্যানের ব্যবস্থা। প্রতিটি কক্ষের সঙ্গে রয়েছে এটাচ বাথরুম। কারও সঙ্গে দেখা ও কথা বলার সুযোগ নেই। তবে সেলের সামনে দুইটি বড় পানির ট্যাপ রয়েছে। সেখানে আসামীরা দুপুর বেলায় গোসল করেন। আসামীদের আত্মীয় ও আইনজীবীরা তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসলে কারা কতৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলাকালীন মুজাহিদ অধিকাংশ সময় ছিলেন নারায়নগঞ্জ জেলা কারাগারে। সুপ্রিম কোর্টের রায় হওয়ার পর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ওই সেলে রাখা হয়েছে। তিনি হার্ট ও বার্ধক্যজনিত রোগ ভুগছেন। তিনি ফজরের নামাজ পড়ে কোরআন পাঠ করেন। পরিবার থেকে বিভিন্ন বই তাকে দেয়া হয়েছে। সেগুলো তিনি পড়েন। এরপর কারাগারের পক্ষ থেকে সকালের নাস্তা হিসাবে দুইটি জবের পাতলা রুটি ও এক টুকরা ছোট গুড় সরবারাহ করা হয়। তিনি ওই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। বেলা ১২ টার সময় ওঠে তিনি গোসল করে দুপুরে নামাজ আদায় করেন। এরপর কারাগারের পক্ষ থেকে দুপুরের খাবার হিসাবে ভাত ও এক পিস মাছ অথবা এক পিস মাংস সরবারাহ করা হয়। তিনি গরুর মাংস না খাওয়ায় মুরগীর মাংস সরবারাহ করা হয়। ওই খাবার খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। পরে ঘুম থেকে ওঠে তিনি আছরের নামাজ আদায় করেন। আছরের নামাজের পরে তিনি একাকি সেলের মধ্যে বসে থাকেন। কখনও বই পড়েন। মাগরিবের নামাজের পড়ে তিনি কোরআন তেলাওয়াত করেন। এরপর এশার নামাজের পর তিনি রাতের খাবারের গ্রহণ করেন। রাতে সকালের মতো তাকে রুটি সরবারাহ করা হয়। এরপর তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। মুজাহিদ কথাবার্তা আগের চাইতে কমিয়ে দিয়েছেন। প্রয়োজন ছাড়া তেমন তিনি কোন কথা বলেন না। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী জানান, ‘৮ সেলে’ মুজাহিদকে রাখা হয়েছে। ফাঁসির আসামীদের রাখার ওই সেলে চারদিকে বাউন্ডারি আছে। কেউ প্রবেশ করতে পারে না।
সূত্র জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পশ্চিম দিকের ‘৮ সেল’ নামে একটি সেলের ৪ নম্বর কক্ষে রাখা হয়েছে মুজাহিদকে। ওই সেলে ৮ কক্ষ থাকায় সেটির নাম দেয়া হয়েছে ‘৮ সেল’। মৃত্যুদ- প্রাপ্ত আসামীরাই এই সেলে থাকেন। মুজাহিদ ছাড়াও সেখানে রয়েছেন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার। ওই সেলে কোন বেড, চেয়ার ও টেবিল নেই। নেই ফ্যানের ব্যবস্থা। প্রতিটি কক্ষের সঙ্গে রয়েছে এটাচ বাথরুম। কারও সঙ্গে দেখা ও কথা বলার সুযোগ নেই। তবে সেলের সামনে দুইটি বড় পানির ট্যাপ রয়েছে। সেখানে আসামীরা দুপুর বেলায় গোসল করেন। আসামীদের আত্মীয় ও আইনজীবীরা তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসলে কারা কতৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলাকালীন মুজাহিদ অধিকাংশ সময় ছিলেন নারায়নগঞ্জ জেলা কারাগারে। সুপ্রিম কোর্টের রায় হওয়ার পর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ওই সেলে রাখা হয়েছে। তিনি হার্ট ও বার্ধক্যজনিত রোগ ভুগছেন। তিনি ফজরের নামাজ পড়ে কোরআন পাঠ করেন। পরিবার থেকে বিভিন্ন বই তাকে দেয়া হয়েছে। সেগুলো তিনি পড়েন। এরপর কারাগারের পক্ষ থেকে সকালের নাস্তা হিসাবে দুইটি জবের পাতলা রুটি ও এক টুকরা ছোট গুড় সরবারাহ করা হয়। তিনি ওই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। বেলা ১২ টার সময় ওঠে তিনি গোসল করে দুপুরে নামাজ আদায় করেন। এরপর কারাগারের পক্ষ থেকে দুপুরের খাবার হিসাবে ভাত ও এক পিস মাছ অথবা এক পিস মাংস সরবারাহ করা হয়। তিনি গরুর মাংস না খাওয়ায় মুরগীর মাংস সরবারাহ করা হয়। ওই খাবার খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। পরে ঘুম থেকে ওঠে তিনি আছরের নামাজ আদায় করেন। আছরের নামাজের পরে তিনি একাকি সেলের মধ্যে বসে থাকেন। কখনও বই পড়েন। মাগরিবের নামাজের পড়ে তিনি কোরআন তেলাওয়াত করেন। এরপর এশার নামাজের পর তিনি রাতের খাবারের গ্রহণ করেন। রাতে সকালের মতো তাকে রুটি সরবারাহ করা হয়। এরপর তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। মুজাহিদ কথাবার্তা আগের চাইতে কমিয়ে দিয়েছেন। প্রয়োজন ছাড়া তেমন তিনি কোন কথা বলেন না। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী জানান, ‘৮ সেলে’ মুজাহিদকে রাখা হয়েছে। ফাঁসির আসামীদের রাখার ওই সেলে চারদিকে বাউন্ডারি আছে। কেউ প্রবেশ করতে পারে না।
No comments