ইরান চুক্তিতে মধ্যপ্রাচ্য নিরাপদ
ইরান-ছয়জাতির মধ্যে সমঝোতা চুক্তির ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের ঘুম হারাম। ওই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বলয় বৃদ্ধি করবে ও দেশটির পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের পথ প্রশস্ত করবে বলে দুশ্চিন্তার অথৈ সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে উপসাগরীয় সহযোগী সংস্থার সদস্য দেশসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্য মিত্ররা। কিন্তু, ভূ-রাজনৈতিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ সব মিত্রদের আশার বাণী দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। এ অঞ্চলে মিত্রদের চুক্তির ব্যাপারে উৎকণ্ঠা দূর করতে ৭ দিনের সফরে বের হয়েছেন কেরি। শনিবার মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামে শুকরের সঙ্গে কৌশলগত আলোচনা শেষ করেছেন। নসোমবার কাতারে উপসাগরীয় সহযোগী সংস্থা (জিসিসি) দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন তিনি। উপস্থিত বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার ও সৌদি আরবের প্রতিনিধিদের নানা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন তিনি। তাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিতে মধ্যপ্রাচ্য নিরাপদ। ইরান যাতে পরমাণু বোমা বানাতে না পারে এ লক্ষ্যেই চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে। সোমবার এএফপি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
এছাড়া, উপসাগরীয় মিত্রদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ ও সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল বিন আহমেদ আল-জুবেইরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতাসহ বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। ইরান বিষয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি। কেরি এ সফরের প্রধান উদ্দেশ্য ইরানের সঙ্গে চুক্তিটি বাস্তবায়নে মধ্যপ্রাচ্য মিত্রদের অনুসমর্থন লাভ। বৈঠকে সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেন সংকট এবং ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমঝোতাসহ আঞ্চলিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। দোহায় জিসিসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মূল বৈঠক শুরুর প্রাক্কালে এ জোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ বিন রাশেদ আয যিয়ানির নেতৃত্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল রোববার রাতে। ওই বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাবলীর ব্যাপারে তারা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এমন সময় পিজিসিসির বৈঠকে যোগ দিলেন যখন তিনি মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশ সফরেও ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তবে ইসরাইল ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের সাম্প্রতিক পরমাণু সমঝোতার বিরোধিতা করায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল সফরে যাবেন না বলে জানা গেছে। আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও কোনো কোনো আরব সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমেরিকা ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাছে ব্যাখ্যা তুলে ধরবেন।
সিরিয়া-ইয়েমেন সংকট দূর করবে পরমাণু চুক্তি : রুহানি
পশ্চিমাদের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা চুক্তি ইয়েমেন এবং সিরিয়া সংকট সমাধানের পথ ত্বরান্বিত করবে। দেশ দুটির সমস্যা রাজনৈতিক। এর সমাধানও করতে হবে রাজনৈতিকভাবে। এছাড়া এ চুক্তিকে ইরানের স্বার্থ নিশ্চিত করতে একটি তৃতীয় পন্থা বলেও মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। বিরোধী কট্টরপন্থীরা দাবি করছেন চুক্তিটির মাধ্যমে ইরানকে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে এবং জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণœ করা হয়েছে। এসব দাবির জবাবে শনিবার রুহানি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ১৪ জুলাইয়ের ভিয়েনা চুক্তিতে আমি আশাবাদী। এ চুক্তি ইরানের জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত করবে।
পশ্চিমাদের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা চুক্তি ইয়েমেন এবং সিরিয়া সংকট সমাধানের পথ ত্বরান্বিত করবে। দেশ দুটির সমস্যা রাজনৈতিক। এর সমাধানও করতে হবে রাজনৈতিকভাবে। এছাড়া এ চুক্তিকে ইরানের স্বার্থ নিশ্চিত করতে একটি তৃতীয় পন্থা বলেও মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। বিরোধী কট্টরপন্থীরা দাবি করছেন চুক্তিটির মাধ্যমে ইরানকে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে এবং জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণœ করা হয়েছে। এসব দাবির জবাবে শনিবার রুহানি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ১৪ জুলাইয়ের ভিয়েনা চুক্তিতে আমি আশাবাদী। এ চুক্তি ইরানের জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত করবে।
No comments