সোনালি দিন ফেরেনি, লোকসান বরং বাড়ছে by ইফতেখার মাহমুদ
সোনালি
দিন ফিরিয়ে আনার সরকারি উদ্যোগ এখন পাট খাতের জন্য গলার ফাঁসে পরিণত
হয়েছে। ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে পাঁচটি বন্ধ পাটকল চালু এবং ৩৫ হাজার
স্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে এখন বিপদে পড়েছে সরকারি পাটকলগুলোর পরিচালন
সংস্থা বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি)। তাদের ২২ হাজার শ্রমিক
প্রয়োজনের অতিরিক্ত। তাঁদের পেছনে বছরে ব্যয় হচ্ছে আড়াই শ কোটি টাকা। এর
পাশাপাশি পাটের ভরা মৌসুমে টাকা বরাদ্দ না পাওয়ায় বিজেএমসির প্রতিবছর ক্ষতি
হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা।
এসব সংকটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারের মন্দা যোগ হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিজেএমসির লোকসানের অঙ্ক ৪৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে; যা আগের যেকোনো বছরের তুলনায় লোকসানের রেকর্ড। এর আগের দুই বছর মিলিয়ে লোকসান ছিল ৩২৬ কোটি টাকা।
সরকারি পাটকলগুলোর লোকসানের কারণ চিহ্নিত করে বিজেএমসি বস্ত্র ও পাট এবং অর্থ মন্ত্রণালয়কে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনটিতে এসব তথ্যের উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাট কেনার জন্য সরকারের কাছে বিজেএমসি মার্চ-এপ্রিলে ৫০০ কোটি টাকা চেয়েছিল। সরকার থেকে ১৬ জুন ওই টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই টাকা ছাড় হতে জুলাই মাস পার হয়ে যাবে। অথচ পাট কেনার জন্য জুন-জুলাই (আসলে জুলাই–আগস্ট) হচ্ছে ভরা মৌসুম। সরকারি অর্থ না পাওয়ায় পাট কিনতে হবে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে। এতে বিজেএমসিকে বাড়তি ৭০ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে।
ইতিমধ্যেই বিজেএমসির আওতাধীন পাটকলগুলোর চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুই মাসের বেতন ও ৬৭ হাজার শ্রমিকের বেতন ও মজুরিও বকেয়া পড়েছে। আরও বকেয়া পড়েছে অবসরে যাওয়া ৫ হাজার ৭০০ জন শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তার অবসর ভাতা ও গ্র্যাচুইটির ৩৫০ কোটি টাকা।
প্রতিদিনই স্ত্রীর ক্যানসারের চিকিৎসা, মেয়ের বিয়ে ও নিজের মুমূর্ষু অবস্থার বর্ণনাসহ পাওনা টাকা আদায়ের আবেদনপত্র জমা হচ্ছে বিজেএমসির মতিঝিলের কার্যালয়ে। মন্ত্রী, সাংসদ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা তাতে সুপারিশও করছেন। কিন্তু টাকা নেই—এ কথা বলে তাঁদের বিদায় করছেন বিজেএমসির কর্মকর্তারা।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাট খাত বাংলাদেশের ইতিহাস ও গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য একটি অতি সংবেদনশীল খাত। যথাযথ পরিকল্পনা ও উদ্যোগ না নেওয়ায় এ খাতে রক্তক্ষরণ যুগের পর যুগ ধরে চলছে। শুরুতেই আমরা বলেছিলাম সরকার যেভাবে কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই গণহারে শ্রমিক নিয়োগ ও বড় পাটকলগুলো চালু করছে, তা হিতে বিপরীত হবে। এখন হয়েছেও তাই।’
বিজেএমসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ৩৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিকের ২২ হাজার ৫২০ জনেরই কোনো কাজ নেই। ৬৭ হাজার শ্রমিকের ৯০ শতাংশই স্থায়ী করেছে বর্তমান সরকার। আর ২৬টি পাটকলের উৎপাদনক্ষমতা বা তাঁতের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বর্তমানে কাজে লাগানো হচ্ছে। বাকিগুলো বন্ধ। কিন্তু শ্রমিকদের পেছনে বছরে ব্যয় হচ্ছে ২৫০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে পাট খাতের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে সরকার থেকে ২০১১ সালে ১০৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল; যার পুরোটাই চলে যায় তিনটি বন্ধ পাটকল চালু করতে। বিজেএমসি নিজস্ব অর্থায়নে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও দুটি পাটকল চালু করে। এখন ওই পাঁচটিসহ প্রায় সবগুলো পাটকল অতিরিক্ত শ্রমিক আর তৈরি পণ্য বিক্রি করতে না পারার সংকটে পড়েছে।
বিজেএমসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হুমায়ুন খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, দেশের পাট খাতের সঙ্গে প্রায় চার কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা জড়িত। সরকারি পাটকলগুলো চালু থাকায় প্রায় এক কোটি পাটচাষির পাট বিক্রির একটি নিশ্চয়তা থাকছে। ফলে সরকারি পাটকলগুলোকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সরকারি পাটকলের ওপর নির্ভরশীল পাটচাষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অবস্থা বরাবরের মতোই। সরকারি পাটকলগুলোতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার পাট সরবরাহ করে এখন তার বিল বা মূল্য পাচ্ছেন না। বিজেএমসি নতুন অর্থবছরের (২০১৫-১৬) শুরুতেই প্রায় এক হাজার কোটি টাকার পাট কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিলেও ঈদের ঠিক আগে সরকার থেকে ১০০ কোটি টাকা দিয়ে বলা হয়েছে, আর দেওয়া সম্ভব না। এর ফলে পুরোনো বকেয়া টাকা পরিশোধ করা যাচ্ছে না, বরং এ বছর আবারও নতুন করে বাকিতে পাট কিনতে হবে।
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দেশের পাট খাতকে লাভজনক করতে ১০ বছরের একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছি। পাটকলগুলোকে আধুনিকায়ন বা বিএমআরআই করা ও পাটকলগুলোর অব্যবহৃত জমি বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে পাটকলগুলোর সংকট আর থাকবে না।’
২০১০ সালে অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদকে প্রধান করে একটি পাট কমিশন গঠন করেছিল সরকার। বলা হয়েছিল, কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পাট খাত পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাট কমিশন দুই দফা সময় বাড়িয়ে ২০১১ সালে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পাটনীতিও তৈরি হয়। কিন্তু কোনোটারই কোনো বাস্তবায়ন হয়নি।
জানতে চাইলে কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাট কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার পর এ বিষয়ে কী হয়েছে, তার কোনো খোঁজ আমি রাখিনি। এর কোনো ফলোআপ আমার জানা নেই।’
আবার সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বারবার বলা হয়েছে, পাট খাতকে জাগিয়ে তুলতে সরকার একটি মহাপরিকল্পনা করেছে। কিন্তু সেই মহাপরিকল্পনাও আলোর মুখ দেখেনি। এখন আবার সরকার বলছে ১০ বছরের কর্মপরিকল্পনার কথা।
৭৭৬ কোটি টাকা লোকসান গত তিন বছরে
২৫০ কোটি টাকা বছরে ব্যয় বাড়তি ২২ হাজার শ্রমিকের পেছনে
৭০ কোটি টাকা বছরে ক্ষতি দেরিতে পাট কেনায়
৫৭০০ অবসরে যাওয়া শ্রমিক-কর্মচারীর পাওনা পরিশোধ হচ্ছে না
এসব সংকটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারের মন্দা যোগ হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিজেএমসির লোকসানের অঙ্ক ৪৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে; যা আগের যেকোনো বছরের তুলনায় লোকসানের রেকর্ড। এর আগের দুই বছর মিলিয়ে লোকসান ছিল ৩২৬ কোটি টাকা।
সরকারি পাটকলগুলোর লোকসানের কারণ চিহ্নিত করে বিজেএমসি বস্ত্র ও পাট এবং অর্থ মন্ত্রণালয়কে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনটিতে এসব তথ্যের উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাট কেনার জন্য সরকারের কাছে বিজেএমসি মার্চ-এপ্রিলে ৫০০ কোটি টাকা চেয়েছিল। সরকার থেকে ১৬ জুন ওই টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই টাকা ছাড় হতে জুলাই মাস পার হয়ে যাবে। অথচ পাট কেনার জন্য জুন-জুলাই (আসলে জুলাই–আগস্ট) হচ্ছে ভরা মৌসুম। সরকারি অর্থ না পাওয়ায় পাট কিনতে হবে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে। এতে বিজেএমসিকে বাড়তি ৭০ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে।
ইতিমধ্যেই বিজেএমসির আওতাধীন পাটকলগুলোর চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুই মাসের বেতন ও ৬৭ হাজার শ্রমিকের বেতন ও মজুরিও বকেয়া পড়েছে। আরও বকেয়া পড়েছে অবসরে যাওয়া ৫ হাজার ৭০০ জন শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তার অবসর ভাতা ও গ্র্যাচুইটির ৩৫০ কোটি টাকা।
প্রতিদিনই স্ত্রীর ক্যানসারের চিকিৎসা, মেয়ের বিয়ে ও নিজের মুমূর্ষু অবস্থার বর্ণনাসহ পাওনা টাকা আদায়ের আবেদনপত্র জমা হচ্ছে বিজেএমসির মতিঝিলের কার্যালয়ে। মন্ত্রী, সাংসদ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা তাতে সুপারিশও করছেন। কিন্তু টাকা নেই—এ কথা বলে তাঁদের বিদায় করছেন বিজেএমসির কর্মকর্তারা।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাট খাত বাংলাদেশের ইতিহাস ও গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য একটি অতি সংবেদনশীল খাত। যথাযথ পরিকল্পনা ও উদ্যোগ না নেওয়ায় এ খাতে রক্তক্ষরণ যুগের পর যুগ ধরে চলছে। শুরুতেই আমরা বলেছিলাম সরকার যেভাবে কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই গণহারে শ্রমিক নিয়োগ ও বড় পাটকলগুলো চালু করছে, তা হিতে বিপরীত হবে। এখন হয়েছেও তাই।’
বিজেএমসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ৩৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিকের ২২ হাজার ৫২০ জনেরই কোনো কাজ নেই। ৬৭ হাজার শ্রমিকের ৯০ শতাংশই স্থায়ী করেছে বর্তমান সরকার। আর ২৬টি পাটকলের উৎপাদনক্ষমতা বা তাঁতের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বর্তমানে কাজে লাগানো হচ্ছে। বাকিগুলো বন্ধ। কিন্তু শ্রমিকদের পেছনে বছরে ব্যয় হচ্ছে ২৫০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে পাট খাতের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে সরকার থেকে ২০১১ সালে ১০৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল; যার পুরোটাই চলে যায় তিনটি বন্ধ পাটকল চালু করতে। বিজেএমসি নিজস্ব অর্থায়নে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও দুটি পাটকল চালু করে। এখন ওই পাঁচটিসহ প্রায় সবগুলো পাটকল অতিরিক্ত শ্রমিক আর তৈরি পণ্য বিক্রি করতে না পারার সংকটে পড়েছে।
বিজেএমসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হুমায়ুন খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, দেশের পাট খাতের সঙ্গে প্রায় চার কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা জড়িত। সরকারি পাটকলগুলো চালু থাকায় প্রায় এক কোটি পাটচাষির পাট বিক্রির একটি নিশ্চয়তা থাকছে। ফলে সরকারি পাটকলগুলোকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সরকারি পাটকলের ওপর নির্ভরশীল পাটচাষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অবস্থা বরাবরের মতোই। সরকারি পাটকলগুলোতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার পাট সরবরাহ করে এখন তার বিল বা মূল্য পাচ্ছেন না। বিজেএমসি নতুন অর্থবছরের (২০১৫-১৬) শুরুতেই প্রায় এক হাজার কোটি টাকার পাট কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিলেও ঈদের ঠিক আগে সরকার থেকে ১০০ কোটি টাকা দিয়ে বলা হয়েছে, আর দেওয়া সম্ভব না। এর ফলে পুরোনো বকেয়া টাকা পরিশোধ করা যাচ্ছে না, বরং এ বছর আবারও নতুন করে বাকিতে পাট কিনতে হবে।
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দেশের পাট খাতকে লাভজনক করতে ১০ বছরের একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছি। পাটকলগুলোকে আধুনিকায়ন বা বিএমআরআই করা ও পাটকলগুলোর অব্যবহৃত জমি বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে পাটকলগুলোর সংকট আর থাকবে না।’
২০১০ সালে অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদকে প্রধান করে একটি পাট কমিশন গঠন করেছিল সরকার। বলা হয়েছিল, কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পাট খাত পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাট কমিশন দুই দফা সময় বাড়িয়ে ২০১১ সালে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পাটনীতিও তৈরি হয়। কিন্তু কোনোটারই কোনো বাস্তবায়ন হয়নি।
জানতে চাইলে কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাট কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার পর এ বিষয়ে কী হয়েছে, তার কোনো খোঁজ আমি রাখিনি। এর কোনো ফলোআপ আমার জানা নেই।’
আবার সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বারবার বলা হয়েছে, পাট খাতকে জাগিয়ে তুলতে সরকার একটি মহাপরিকল্পনা করেছে। কিন্তু সেই মহাপরিকল্পনাও আলোর মুখ দেখেনি। এখন আবার সরকার বলছে ১০ বছরের কর্মপরিকল্পনার কথা।
৭৭৬ কোটি টাকা লোকসান গত তিন বছরে
২৫০ কোটি টাকা বছরে ব্যয় বাড়তি ২২ হাজার শ্রমিকের পেছনে
৭০ কোটি টাকা বছরে ক্ষতি দেরিতে পাট কেনায়
৫৭০০ অবসরে যাওয়া শ্রমিক-কর্মচারীর পাওনা পরিশোধ হচ্ছে না
No comments