৬ লাখ টাকার চুক্তিতে খুন করা হয় প্রবাসীর ২য় স্ত্রী সুজিনাকে আদালতে স্বীকারোক্তি
সিলেটের বিশ্বনাথে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর ২য় স্ত্রী সুজিনা বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘাতক গয়াছকে গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তিতে আরও ১ ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত গয়াছ গতকাল সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট জেরিন আক্তারের আদালতে কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। জবানবন্দিতে ঘাতক গয়াছ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুরাদ আহমদের ১ম স্ত্রী সাবিনা বেগমের পরিকল্পনায় ও ৬ লাখ টাকার চুক্তিতে প্রবাসীর ২য় স্ত্রী সুজিনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে।
স্বীকারোক্তিতে যা বললো ঘাতক গয়াছ: গ্রেপ্তারের পর গতকাল সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট জেরিন আক্তারের আদালতে হাজির করা হয় ঘাতক গয়াছ মিয়াকে। কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গয়াছ বলে, ৬ লাখ টাকা চুক্তির বিনিময়ে হত্যা করা হয়েছে সুজিনাকে। প্রবাসী মুরাদের ১ম স্ত্রী যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাবিনা বেগম তার সৎ ভাই জুনাব আলীর মাধ্যমে গয়াছসহ অন্য ৫ জনের সঙ্গে হত্যার এই চুক্তি করা হয়। সাবিনার সৎ ভাই জুনাব আলী, চাচাতো ভাই আওলাদ, গ্রেপ্তারকৃত গয়াছ ও সজলুসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৩ জন এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল। ১৯শে জুলাই সন্ধ্যায় একটি মিষ্টির প্যাকেট হাতে নিয়ে সুজিনার বাড়িতে যায় ঘাতকরা। ওই সময় জুনাব আলী ও আরও অজ্ঞাতনামা ২জন বাড়ির বাইরে অবস্থান করে এবং আওলাদ, গয়াছ, সজলু ও অন্য অজ্ঞাতনামা আরও একজন সুজিনার ঘরে অতিথি পরিচয়ে প্রবেশ করে। স্বীকারোক্তিতে গয়াছ জানায়, ধারালো ছুরি ও চাকু দিয়ে সুজিনাকে কোপাতে থাকে আওলাদ, সজলু ও অন্য আরেকজন এবং সুজিনার মা রেজিয়া বেগমের পেটে ছুরি দিয়ে কোপ দেয় সে (গয়াছ) নিজে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। গয়াছ জানায়, ৬ লাখ টাকার চুক্তির মধ্যে তার (গয়াছের) সঙ্গে ২০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। এর মধ্যে ঘটনার আগে তাৎক্ষণিক তাকে ২ হাজার টাকা প্রদান করে সাবিনার ভাই ঘাতক জুনাব আলী। ঘাতকদের পরিচয়: ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে ঘাতক গয়াছ জানায়, হত্যার ঘটনায় সে সহ মোট ৭ জন সরাসরি জড়িত ছিল। ঘাতকরা হলো- জগন্নাথপুর উপজেলার আবদুুল্লাহপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুরাদ আহমদের ১ম স্ত্রী ছাবিনা বেগমের সৎ ভাই কুখ্যাত ডাকাত জুনাব আলী, ছাবিনার চাচাতো ভাই একাধিক ডাকাতি ও হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আওলাদ মিয়া, জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী গ্রামের মৃত জহির উল্লাহর পুত্র গয়াছ মিয়া, একই উপজেলার জহিরপুর গ্রামের মৃত মন্টু রাজা চৌধুরীর পুত্র কুখ্যাত ডাকাত সজলু রাজা চৌধুরী। এছাড়া আরও অজ্ঞাতনামা ৩ ঘাতক হত্যায় জড়িত রয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিতে গয়াছ জানায়।
মামলা দায়ের: সুজিনাকে হত্যার ঘটনায় তার মামা ক্বারী আবদুন নূর বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার সুজিনার সতিন সাবিনা বেগম, তার মা ও ২ ভাইয়ের নাম উল্লেখ করে ও আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নং- ১৪।
যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয় ঘাতক গয়াছ ও সজলুকে: ঘটনার পর থেকে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী গ্রামের মৃত জহির উল্লাহর পুত্র গয়াছ মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর গত শুক্রবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তারকৃত গয়াছকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। বিশ্বনাথ থানার ওসি রফিকুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের ৪৮ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে গতকাল ভোর ৪টায় জগন্নাথপুর উপজেলার জহিরপুর গ্রামের অভিযান চালিয়ে ঘাতক সজলু রাজাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গতকাল গ্রেপ্তারকৃত গয়াছকে সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
সুজিনার পরিচয়: বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর (পশ্চিমপাড়া খালপাড়) গ্রামের মৃত হাজী আবদুর রউফের মেয়ে ও জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসি (সাতহাল) গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুরাদ আহমদের ২য় স্ত্রী সুজিনা বেগম (১৯)। প্রায় সাড়ে ৩ মাস আগে মুরাদের সঙ্গে বিয়ে হয় সুজিনার। বিয়ের পর থেকে সুজিনা তার মায়ের সঙ্গে পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
স্বীকারোক্তিতে যা বললো ঘাতক গয়াছ: গ্রেপ্তারের পর গতকাল সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট জেরিন আক্তারের আদালতে হাজির করা হয় ঘাতক গয়াছ মিয়াকে। কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গয়াছ বলে, ৬ লাখ টাকা চুক্তির বিনিময়ে হত্যা করা হয়েছে সুজিনাকে। প্রবাসী মুরাদের ১ম স্ত্রী যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাবিনা বেগম তার সৎ ভাই জুনাব আলীর মাধ্যমে গয়াছসহ অন্য ৫ জনের সঙ্গে হত্যার এই চুক্তি করা হয়। সাবিনার সৎ ভাই জুনাব আলী, চাচাতো ভাই আওলাদ, গ্রেপ্তারকৃত গয়াছ ও সজলুসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৩ জন এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল। ১৯শে জুলাই সন্ধ্যায় একটি মিষ্টির প্যাকেট হাতে নিয়ে সুজিনার বাড়িতে যায় ঘাতকরা। ওই সময় জুনাব আলী ও আরও অজ্ঞাতনামা ২জন বাড়ির বাইরে অবস্থান করে এবং আওলাদ, গয়াছ, সজলু ও অন্য অজ্ঞাতনামা আরও একজন সুজিনার ঘরে অতিথি পরিচয়ে প্রবেশ করে। স্বীকারোক্তিতে গয়াছ জানায়, ধারালো ছুরি ও চাকু দিয়ে সুজিনাকে কোপাতে থাকে আওলাদ, সজলু ও অন্য আরেকজন এবং সুজিনার মা রেজিয়া বেগমের পেটে ছুরি দিয়ে কোপ দেয় সে (গয়াছ) নিজে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। গয়াছ জানায়, ৬ লাখ টাকার চুক্তির মধ্যে তার (গয়াছের) সঙ্গে ২০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। এর মধ্যে ঘটনার আগে তাৎক্ষণিক তাকে ২ হাজার টাকা প্রদান করে সাবিনার ভাই ঘাতক জুনাব আলী। ঘাতকদের পরিচয়: ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে ঘাতক গয়াছ জানায়, হত্যার ঘটনায় সে সহ মোট ৭ জন সরাসরি জড়িত ছিল। ঘাতকরা হলো- জগন্নাথপুর উপজেলার আবদুুল্লাহপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুরাদ আহমদের ১ম স্ত্রী ছাবিনা বেগমের সৎ ভাই কুখ্যাত ডাকাত জুনাব আলী, ছাবিনার চাচাতো ভাই একাধিক ডাকাতি ও হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আওলাদ মিয়া, জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী গ্রামের মৃত জহির উল্লাহর পুত্র গয়াছ মিয়া, একই উপজেলার জহিরপুর গ্রামের মৃত মন্টু রাজা চৌধুরীর পুত্র কুখ্যাত ডাকাত সজলু রাজা চৌধুরী। এছাড়া আরও অজ্ঞাতনামা ৩ ঘাতক হত্যায় জড়িত রয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিতে গয়াছ জানায়।
মামলা দায়ের: সুজিনাকে হত্যার ঘটনায় তার মামা ক্বারী আবদুন নূর বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার সুজিনার সতিন সাবিনা বেগম, তার মা ও ২ ভাইয়ের নাম উল্লেখ করে ও আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নং- ১৪।
যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয় ঘাতক গয়াছ ও সজলুকে: ঘটনার পর থেকে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী গ্রামের মৃত জহির উল্লাহর পুত্র গয়াছ মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর গত শুক্রবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তারকৃত গয়াছকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। বিশ্বনাথ থানার ওসি রফিকুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের ৪৮ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে গতকাল ভোর ৪টায় জগন্নাথপুর উপজেলার জহিরপুর গ্রামের অভিযান চালিয়ে ঘাতক সজলু রাজাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গতকাল গ্রেপ্তারকৃত গয়াছকে সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
সুজিনার পরিচয়: বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর (পশ্চিমপাড়া খালপাড়) গ্রামের মৃত হাজী আবদুর রউফের মেয়ে ও জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসি (সাতহাল) গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুরাদ আহমদের ২য় স্ত্রী সুজিনা বেগম (১৯)। প্রায় সাড়ে ৩ মাস আগে মুরাদের সঙ্গে বিয়ে হয় সুজিনার। বিয়ের পর থেকে সুজিনা তার মায়ের সঙ্গে পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
No comments