ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি ইস্যুতে ওয়াইসির মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, ইয়াকুব মেমন, সাক্ষী মহারাজ |
ভারতের
মুম্বাইতে ১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বোমা হামলায় দোষী সাব্যস্ত ইয়াকুব মেমনের
ফাঁসির আদেশকে কেন্দ্র করে মজলিশ-ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন বা ‘মিম’ নেতা
আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মন্তব্যে তীব্র ক্ষুব্ধ হয়েছে বিজেপি।
‘মিম’
প্রেসিডেন্ট এবং সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সরকার
ধর্মের ভিত্তিতে তাকে ফাঁসি দিতে চাচ্ছে। ইয়াকুব মেমন মুসলিম হওয়ার জন্যই
তাকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে। যদি ফাঁসি দিতে হয় তাহলে সমস্ত অপরাধীদের দেয়া
উচিত, শুধু এক জনকেই কেন?’
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘মুম্বাই দাঙ্গার ঘটনায় যুক্ত অপরাধী, রাজীব গান্ধী হত্যাকারী এবং বিয়ন্ত সিংয়ের হত্যাকারীকে ফাঁসি দেয়া হয়নি কেন?’
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি’র এ ধরণের মন্তব্যের ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়ার মন্তব্য, ‘এ ধরণের বিবৃতিতে এমপির (ওয়াইসি) মানসিকতা প্রতিফলিত হয়েছে।’
সদানন্দ গৌড়া বলেন, ‘জাতীয় মনোভাবাপন্ন মানুষ এ ধরণের কথা বলবে না। মেমন এ রকম সাজা পাওয়ার অধিকারী। কারণ তিনি মারাত্মক অপরাধ করেছেন।’
অন্যদিকে, বিজেপি এমপি সাক্ষী মহারাজ বলেছেন, ‘যিনি ভারতীয় বিচারবিভাগকে সম্মান না করেন, তার পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত, পথ খোলা আছে।’
কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরী পাল্টা মন্তব্য করে বলেছেন, ‘হয়ত সাক্ষী মহারাজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বসে রয়েছেন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যে, কাকে পাকিস্তান পাঠানো হবে।’
বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা ‘মিম’ নেতা ও এমপি আসাদউদ্দিন ওইয়ায়সি সম্পর্কে এ ধরণের মন্তব্য করলেও পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংয়ের পোতা এবং কংগ্রেস এমপি রভনীত সিং বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না আদালত ধর্মীয় ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, যদিও সরকারকে এই বিষয়ে সাফাই দেয়া উচিত। ফাঁসির সাজায় কোনো বৈষম্য না হয়ে সব অপরাধীকে ফাঁসি দেয়া উচিত।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালের ৩১ আগস্ট চন্ডিগড়ে সচিবালয়ের সামনে খালিস্তানি সন্ত্রাসীদের আত্মঘাতি বোমা হামলায় পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিং সহ ১৮ জন নিহত হয়।
‘মিম’ নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, যদি ফাঁসি দিতে হয় তাহলে রাজীব গান্ধীর হত্যাকারী এবং বিয়ন্ত সিংয়ের হত্যাকারীকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে না কেন? ধর্মীয় ভিত্তিতে কাউকে ফাঁসি দেয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এরপরেই কার্যত তেলেবেগুনে জলে উঠেছে বিজেপি।
ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির সাজা হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং ‘র’-এর সাবেক কর্মকর্তা বি রমন। দীর্ঘ ৮ বছর আগে করা এ ধরণের মন্তব্য সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সিপিআইএম পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যার সঙ্গে যুক্তদের ফাঁসির সাজার পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে ইয়াকুব মেমনের ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন গ্রহণ করা উচিত বলে দাবি করা হয়েছে।
ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে অনুরোধ করে বলা হয়েছে, ইয়াকুব মেমনের মৃত্যুদণ্ডের সাজার পরিবর্তে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হোক।
মেমনের ফাঁসির বিরোধিতা করেছেন মহারাষ্ট্রের সমাজবাদী পার্টির নেতা আবু আসিম আজমী এবং এনসিপি নেতা ও রাজ্যসভার এমপি মজিদ মেমন।
এদিকে, ইয়াকুব মেমন দায়রা আদালতের পক্ষ থেকে জারি করা মৃত্যু পরোয়ানাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন। আগামী ২৭ জুলাই সোমবার এর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘মুম্বাই দাঙ্গার ঘটনায় যুক্ত অপরাধী, রাজীব গান্ধী হত্যাকারী এবং বিয়ন্ত সিংয়ের হত্যাকারীকে ফাঁসি দেয়া হয়নি কেন?’
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি’র এ ধরণের মন্তব্যের ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়ার মন্তব্য, ‘এ ধরণের বিবৃতিতে এমপির (ওয়াইসি) মানসিকতা প্রতিফলিত হয়েছে।’
সদানন্দ গৌড়া বলেন, ‘জাতীয় মনোভাবাপন্ন মানুষ এ ধরণের কথা বলবে না। মেমন এ রকম সাজা পাওয়ার অধিকারী। কারণ তিনি মারাত্মক অপরাধ করেছেন।’
অন্যদিকে, বিজেপি এমপি সাক্ষী মহারাজ বলেছেন, ‘যিনি ভারতীয় বিচারবিভাগকে সম্মান না করেন, তার পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত, পথ খোলা আছে।’
কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরী পাল্টা মন্তব্য করে বলেছেন, ‘হয়ত সাক্ষী মহারাজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বসে রয়েছেন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যে, কাকে পাকিস্তান পাঠানো হবে।’
বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা ‘মিম’ নেতা ও এমপি আসাদউদ্দিন ওইয়ায়সি সম্পর্কে এ ধরণের মন্তব্য করলেও পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংয়ের পোতা এবং কংগ্রেস এমপি রভনীত সিং বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না আদালত ধর্মীয় ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, যদিও সরকারকে এই বিষয়ে সাফাই দেয়া উচিত। ফাঁসির সাজায় কোনো বৈষম্য না হয়ে সব অপরাধীকে ফাঁসি দেয়া উচিত।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালের ৩১ আগস্ট চন্ডিগড়ে সচিবালয়ের সামনে খালিস্তানি সন্ত্রাসীদের আত্মঘাতি বোমা হামলায় পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিং সহ ১৮ জন নিহত হয়।
‘মিম’ নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, যদি ফাঁসি দিতে হয় তাহলে রাজীব গান্ধীর হত্যাকারী এবং বিয়ন্ত সিংয়ের হত্যাকারীকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে না কেন? ধর্মীয় ভিত্তিতে কাউকে ফাঁসি দেয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এরপরেই কার্যত তেলেবেগুনে জলে উঠেছে বিজেপি।
ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির সাজা হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং ‘র’-এর সাবেক কর্মকর্তা বি রমন। দীর্ঘ ৮ বছর আগে করা এ ধরণের মন্তব্য সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সিপিআইএম পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যার সঙ্গে যুক্তদের ফাঁসির সাজার পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে ইয়াকুব মেমনের ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন গ্রহণ করা উচিত বলে দাবি করা হয়েছে।
ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে অনুরোধ করে বলা হয়েছে, ইয়াকুব মেমনের মৃত্যুদণ্ডের সাজার পরিবর্তে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হোক।
মেমনের ফাঁসির বিরোধিতা করেছেন মহারাষ্ট্রের সমাজবাদী পার্টির নেতা আবু আসিম আজমী এবং এনসিপি নেতা ও রাজ্যসভার এমপি মজিদ মেমন।
এদিকে, ইয়াকুব মেমন দায়রা আদালতের পক্ষ থেকে জারি করা মৃত্যু পরোয়ানাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন। আগামী ২৭ জুলাই সোমবার এর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
No comments