পাঁচ টনের জায়গায় ৪০ টন!
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা শহরের অদূরে আউলিয়া নদীর ওপর বিধ্বস্ত সেতু l ছবি: প্রথম আলো |
নীলফামারীর
জলঢাকা-ডোমার-ডিমলা সড়কের জলঢাকা উপজেলা শহরের অদূরে আউলিয়াখানা নদীর
ওপরের বেইলি সেতুটি একেবারে দুমড়েমুচড়ে বিধ্বস্ত হয়ে ওই পথে
যোগাযোগব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সেতুটি
বিধ্বস্ত হয়। এতে একটি ট্রাক ও একটি মোটরসাইকেল নদীতে পড়ে তিনজন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, রাত ১০টার দিকে বালুবোঝাই একটি ট্রাক সেতুর ওপর উঠলে সেতুটি ধসে পড়ে। এ সময় ট্রাকের পেছনে থাকা একটি মোটরসাইকেলও নদীতে পড়ে। পরে এলাকাবাসী ট্রাকচালক ইয়াকুব আলী (৪০), তাঁর সহকারী রাসেল (৩৫) এবং মোটরসাইকেল আরোহী সুমনকে (২৮) উদ্ধার করে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত ট্রাকচালক ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আমি পঞ্চগড় থেকে ২০ থেকে ২৫ টন বালু নিয়ে পাবনা যাচ্ছিলাম। ট্রাকটি সেতুতে ওঠার পরপরই সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে নদীতে পড়ে যায়।’ তিনি ও তাঁর সহকারী দুজনই পাবনা জেলার বাসিন্দা বলে জানান।
আহত মোটরসাইকেল আরোহী ও জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের শালন গ্রামের ব্যবসায়ী সুমন বলেন, ‘আমি ব্যবসায়িক কাজ সেরে রাত ১০টার দিকে জলঢাকা উপজেলা শহরে ঢোকার পথে ওই সেতু পার হওয়ার সময় আমার সামনে বালুবোঝাই ট্রাক ছিল। ট্রাকটি সেতুতে ওঠার পর সেটি বিধ্বস্ত হয়ে নদীতে পড়ে যায়। এরপর পুরো সেতু দুমড়েমুচড়ে আমিও মোটরসাইকেলসহ নিচে পড়ে যাই।’
এ ব্যাপারে নীলফামারী সড়ক যোগাযোগ ও সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর সিদ্দিকী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাঁচ টনের অধিক মালামাল পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ওই সেতুর দুই দিকে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছিল। কিন্তু কেউ নিষেধাজ্ঞা মানতে চায় না। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি প্রায় ৪০ টন মালামাল বহন করছিল। তিনি আরও বলেন, ‘সড়কটি চালু করতে বিধ্বস্ত সেতুটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এটি মেরামতের উপযোগী হলে মেরামত করা হবে। আর না হলে অন্য স্থান থেকে একটি বেইলি সেতু এনে এখানে স্থাপন করা হবে। এতে সময় লাগবে প্রায় ১৫ দিন।’ তিনি জানান, সেখানে স্থায়ী সেতু করার ব্যাপারে আগেই মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ৩০ মিটার দীর্ঘ ওই সেতু করতে খরচ হবে প্রায় চার কোটি টাকা। অনুমোদন পাওয়া গেলে দ্রুত দরপত্র আহ্বান করা যাবে।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় সাংসদ (নীলফামারী-৩) অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজের তদারক করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ওই স্থানে স্থায়ী সেতু করার ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। আর সড়কটি চালু করতে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সামসুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার শিকার আহত তিনজনই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাতেই হাসপাতাল ছেড়েছেন। জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলওয়ার হাসান ইনাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, রাত ১০টার দিকে বালুবোঝাই একটি ট্রাক সেতুর ওপর উঠলে সেতুটি ধসে পড়ে। এ সময় ট্রাকের পেছনে থাকা একটি মোটরসাইকেলও নদীতে পড়ে। পরে এলাকাবাসী ট্রাকচালক ইয়াকুব আলী (৪০), তাঁর সহকারী রাসেল (৩৫) এবং মোটরসাইকেল আরোহী সুমনকে (২৮) উদ্ধার করে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত ট্রাকচালক ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আমি পঞ্চগড় থেকে ২০ থেকে ২৫ টন বালু নিয়ে পাবনা যাচ্ছিলাম। ট্রাকটি সেতুতে ওঠার পরপরই সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে নদীতে পড়ে যায়।’ তিনি ও তাঁর সহকারী দুজনই পাবনা জেলার বাসিন্দা বলে জানান।
আহত মোটরসাইকেল আরোহী ও জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের শালন গ্রামের ব্যবসায়ী সুমন বলেন, ‘আমি ব্যবসায়িক কাজ সেরে রাত ১০টার দিকে জলঢাকা উপজেলা শহরে ঢোকার পথে ওই সেতু পার হওয়ার সময় আমার সামনে বালুবোঝাই ট্রাক ছিল। ট্রাকটি সেতুতে ওঠার পর সেটি বিধ্বস্ত হয়ে নদীতে পড়ে যায়। এরপর পুরো সেতু দুমড়েমুচড়ে আমিও মোটরসাইকেলসহ নিচে পড়ে যাই।’
এ ব্যাপারে নীলফামারী সড়ক যোগাযোগ ও সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর সিদ্দিকী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাঁচ টনের অধিক মালামাল পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ওই সেতুর দুই দিকে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছিল। কিন্তু কেউ নিষেধাজ্ঞা মানতে চায় না। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি প্রায় ৪০ টন মালামাল বহন করছিল। তিনি আরও বলেন, ‘সড়কটি চালু করতে বিধ্বস্ত সেতুটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এটি মেরামতের উপযোগী হলে মেরামত করা হবে। আর না হলে অন্য স্থান থেকে একটি বেইলি সেতু এনে এখানে স্থাপন করা হবে। এতে সময় লাগবে প্রায় ১৫ দিন।’ তিনি জানান, সেখানে স্থায়ী সেতু করার ব্যাপারে আগেই মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ৩০ মিটার দীর্ঘ ওই সেতু করতে খরচ হবে প্রায় চার কোটি টাকা। অনুমোদন পাওয়া গেলে দ্রুত দরপত্র আহ্বান করা যাবে।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় সাংসদ (নীলফামারী-৩) অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজের তদারক করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ওই স্থানে স্থায়ী সেতু করার ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। আর সড়কটি চালু করতে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সামসুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার শিকার আহত তিনজনই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাতেই হাসপাতাল ছেড়েছেন। জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলওয়ার হাসান ইনাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
No comments