কমছে না সড়ক দুর্ঘটনা- আট জেলায় নিহত ১৭
দেশের আট জেলায় গতকাল শুক্রবার ও আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজীপুরে সিটি করপোরেশনের নাওজোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গতকাল সকালে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে লেগুনার চালকসহ পাঁচজন নিহত হন। আর মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত হন পাঁচজন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চাকা খুলে বাস খাদে পড়ে নিহত হয়েছেন দুই যাত্রী।
এ ছাড়া শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নীলফামারী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, বরিশালের গৌরনদী ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
ঢাকার বাইরে থেকে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
গাজীপুরে ভ্যান-লেগুনার সংঘর্ষ: গতকাল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সিটি করপোরেশনের নাওজোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে লেগুনার সংঘর্ষে লেগুনার চালকসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন লেগুনাচালক সিটি করপোরেশনের ইটাহাটা এলাকার সাইদুর রহমান (২০), ভোগড়া বাইপাস সড়ক এলাকার বাসিন্দা তমির হোসেনের স্ত্রী মনি আক্তার (২৫), পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার ছোট শিবা এলাকার সোহেল মিয়া (৩০), মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানা সেলিনা আক্তার (৩৫) ও অজ্ঞাত যুবক (৩৫)। হতাহত সবাই লেগুনার যাত্রী ছিলেন।
সালনা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বাহার আলম বলেন, ঢাকাগামী পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে বিপরীতগামী লেগুনার সংঘর্ষ হলে লেগুনাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে মারা যান দুজন।
মাদারীপুরে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ: এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ম্যালকাই নামক স্থানে গতকাল বেলা একটার দিকে যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মাইক্রোবাসটি সম্পূর্ণ দুমড়েমুচড়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। এতে মাইক্রোবাসের চালকসহ চারজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও আটজন। এঁদের একজনকে বরিশাল নেওয়ার পথে গৌরনদী এলাকায় মারা যান।
মাদারীপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী সুপার বেলাল হোসাইন জানান, নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই মাইক্রোবাসের যাত্রী বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁদের কারও পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের বাড়ি বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায়। এ ছাড়া আহত বাকি সাতজনকে মাদারীপুর ও কালকিনির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ দুর্ঘটনার পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। পরে ডাসার থানা-পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মির্জাপুরে চাকা খুলে বাস খাদে: গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার সোহাগপাড়া নামক স্থানে গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী তিতাস পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস চাকা খুলে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের দুই যাত্রী নিহত ও ২৫ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ জনকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত দুজন হলেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ছিটরাজীব গ্রামের মো. রোকনুজ্জামান (২৬) ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মো. শাহারুন (৩০)।
আরও পাঁচ দুর্ঘটনা: শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কের আহাম্মদ নগর এলাকায় গতকাল বেলা ১১টার দিকে ঢাকাগামী এস আর ট্রাভেলসের একটি বাসের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. কাশেম মিয়া (৪৫) নামের অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত ও অপর চারজন আহত হন। নিহত কাশেম ঝিনাইগাতী উপজেলার থানা রোড এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে নীলফামারী শহরের কলেজ স্টেশন এলাকায় ট্রাক্টর উল্টে আইয়ুব আলী (২৭) নামের এক চালকের মৃত্যু হয়েছে। আইয়ুব আলী সদর উপজেলার হাতীবান্ধা গ্রামের জোবেদ আলীর ছেলে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বাসের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন বেগম (৪০) নামের এক নারী। গতকাল সকাল সাতটার দিকে টুঙ্গিপাড়া-গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সিংগীপাড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বেগম টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সিংগীপাড়া গ্রামের মইয়ার আলী শেখের স্ত্রী।
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল এলাকায় গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নাসির হাওলাদার (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেলচালক নিহত হন। আহত হন আরও একজন।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের নাসিরাবাদ এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে রনি মিয়া (২৬) নামের এক যুবক নিহত হন। রনি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা সদরের আজাদ মোড় এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে।
এ ছাড়া শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নীলফামারী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, বরিশালের গৌরনদী ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
ঢাকার বাইরে থেকে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
গাজীপুরে ভ্যান-লেগুনার সংঘর্ষ: গতকাল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সিটি করপোরেশনের নাওজোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে লেগুনার সংঘর্ষে লেগুনার চালকসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন লেগুনাচালক সিটি করপোরেশনের ইটাহাটা এলাকার সাইদুর রহমান (২০), ভোগড়া বাইপাস সড়ক এলাকার বাসিন্দা তমির হোসেনের স্ত্রী মনি আক্তার (২৫), পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার ছোট শিবা এলাকার সোহেল মিয়া (৩০), মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানা সেলিনা আক্তার (৩৫) ও অজ্ঞাত যুবক (৩৫)। হতাহত সবাই লেগুনার যাত্রী ছিলেন।
সালনা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বাহার আলম বলেন, ঢাকাগামী পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে বিপরীতগামী লেগুনার সংঘর্ষ হলে লেগুনাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে মারা যান দুজন।
মাদারীপুরে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ: এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ম্যালকাই নামক স্থানে গতকাল বেলা একটার দিকে যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মাইক্রোবাসটি সম্পূর্ণ দুমড়েমুচড়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। এতে মাইক্রোবাসের চালকসহ চারজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও আটজন। এঁদের একজনকে বরিশাল নেওয়ার পথে গৌরনদী এলাকায় মারা যান।
মাদারীপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী সুপার বেলাল হোসাইন জানান, নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই মাইক্রোবাসের যাত্রী বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁদের কারও পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের বাড়ি বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায়। এ ছাড়া আহত বাকি সাতজনকে মাদারীপুর ও কালকিনির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ দুর্ঘটনার পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। পরে ডাসার থানা-পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মির্জাপুরে চাকা খুলে বাস খাদে: গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার সোহাগপাড়া নামক স্থানে গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী তিতাস পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস চাকা খুলে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের দুই যাত্রী নিহত ও ২৫ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ জনকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত দুজন হলেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ছিটরাজীব গ্রামের মো. রোকনুজ্জামান (২৬) ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মো. শাহারুন (৩০)।
আরও পাঁচ দুর্ঘটনা: শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কের আহাম্মদ নগর এলাকায় গতকাল বেলা ১১টার দিকে ঢাকাগামী এস আর ট্রাভেলসের একটি বাসের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. কাশেম মিয়া (৪৫) নামের অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত ও অপর চারজন আহত হন। নিহত কাশেম ঝিনাইগাতী উপজেলার থানা রোড এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে নীলফামারী শহরের কলেজ স্টেশন এলাকায় ট্রাক্টর উল্টে আইয়ুব আলী (২৭) নামের এক চালকের মৃত্যু হয়েছে। আইয়ুব আলী সদর উপজেলার হাতীবান্ধা গ্রামের জোবেদ আলীর ছেলে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বাসের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন বেগম (৪০) নামের এক নারী। গতকাল সকাল সাতটার দিকে টুঙ্গিপাড়া-গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সিংগীপাড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বেগম টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সিংগীপাড়া গ্রামের মইয়ার আলী শেখের স্ত্রী।
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল এলাকায় গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নাসির হাওলাদার (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেলচালক নিহত হন। আহত হন আরও একজন।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের নাসিরাবাদ এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে রনি মিয়া (২৬) নামের এক যুবক নিহত হন। রনি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা সদরের আজাদ মোড় এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে।
No comments