‘হট কাপল’-এর আচমকা ছাড়াছাড়ি
যা
ভাবা হয়েছিল তা-ই হলো। টেনিস তো বটেই খেলাধুরার সবচেয়ে ‘হট কাপল’-এর আচমকা
ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল। ২০১৩ সালে রুশ টেনিস সুন্দরী মারিয়া শারাপোভাই গ্রিগর
দিমিত্রভের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা প্রকাশ করেছিলেন। বুলগেরিয়ার এ টেনিস
তারকার সঙ্গে ভালই সময় কাটছিল তার। দুই বছর একই সঙ্গে তারা ছিলেন
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ও ক্যালিফোর্নিয়ায়। কিন্তু হঠাৎ কী হলো, তা
অনেকেরই বোধগম্য নয়। দিমিত্রভ নিজেই শুক্রবার জানিয়ে দিলেন, ‘আমাদের
বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। দুই বছর আমরা দারুণ সময় কাটিয়েছি। মাশার জীবন ও টেনিস
আরও আনন্দ ও সাফল্যে ভরে ওঠা প্রত্যাশা করছি। আমি এখন টেনিসে মনযোগ দিতে
চাই। আগামী মওসুমটা নতুনভাবে শুরু করতে চাই।’ দুই টেনিস তারকার
সম্পর্কচ্ছেদের পোস্টমার্টেম করতে হিমশিম উৎসুকরা। মাস দু’য়েক আগেও তাদের
মধ্যে কী দারুণ সম্পর্কই না দেখা গেছে। হঠাৎ শারাপোভার মধ্যমায় হিরের আংটি
দেখা যায় প্রকাশ্যে। এই ঘটনা ফের গুঞ্জন ওঠে- তাহলে কি দিমিত্রভের সঙ্গে
মাশার বাগদানটাও সারা হয়ে গেল? আংটি নিয়ে কখনও মুখ খোলেন নি নারী টেনিস
র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর তারকা শাারপোভা। তবে দিমিত্রভে তার মুগ্ধতা
প্রকাশে এমনটা সন্দেহ মোটেও অমূলক ছিল না। বলেন, ‘তার মত একজনকে পাওয়াটা
অনেক দারুণ ব্যাপার। আমাকে সে ঠিক মত বোঝে, সম্মান দেয়। দারুণ রোম্যান্টিক
একজন মানুষ।’ এমন মন্তব্যের দুই মাসের ব্যাবধানে ছাড়াছাড়ির পেছনের কারণ
এখনও অন্ধকারে। তবে অনেকে মনে করছেন দিমিত্রভের উচ্চাশার বলি হলেন মাশা। ২৪
বছর বয়সী গ্রিগর এখনও কোনো গ্রান্ড সøাম শিরোপা জিতে পারেন নি। এমন কি
কখনও ফাইনালেও উঠতে পারেন নি। বর্তমানে টেনিস র্যাঙ্কিংয়েও তার অবস্থান ১৬
তে। অন্যদিকে রাশিয়ান টেনিস সুন্দরী ৫ গ্রান্ড সøাম শিরোপা জিতেছেন।
সর্বশেষ উইম্বলডনের ফাইনালেও খেলেছেন। তবে শিরোপার লড়াইয়ে সেরেনা
উইলিয়ামসের কাছে হেরে যান তিনি। অনেকেই মনে করছেন দিমিত্রভের সাবেক
প্রেমিকা সেরেনার কাছে শারাপোভার হারে আঁতে ঘাঁ লেগেছে তার। সেরেনার কাছে
এমান টানা (১৭ বার) হার মেনে নিতে পারছেন না বলেই শারাপোভাকে ছেড়েছেন তিনি।
কিন্তু গুঞ্জনের ডালপালা বেড়েছে অনেক। তবে সেন্দেহের তীরটা বেশি শারাপোভার
বিকিনি পরা কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার দিকে। গত সপ্তাহে
মন্টেনেগ্রোর সমুদ্র সৈকতে ছুটি কাটান মাশা। সেখানে খোলামেলা কিছু ছবি
তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন শারাপোভা। কিন্তু প্রেমিকার
ব্যক্তিগত এমন ছবিতে তিনি (দিমিত্রভ) ছিলেন না বলে অপমানবোধ করেছেন বলে
অনেকের ধারনা। আর শেষ পর্যন্ত ওই ছবিগুলোই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে মারিয়া
শারাপোভার।
No comments