ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের ব্যতিক্রমী আয়োজন by ইসমাত আরা
শুভেচ্ছা বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম |
রহমত,
মাগফিরাত আর নাজাতের জন্য করণীয় ধর্মীয় অনুশাসনের বার্তা নিয়ে আসে রমজান।
প্রতিটি মুসলমানের জীবনে তাই এই মাস অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশে এই
মাস পালিত হয় অত্যন্ত ভাব গাম্ভীর্য ও একই সঙ্গে একটি উৎসবের আবহের মধ্য
দিয়ে। সারা দেশে বিকেল হলেই শুরু হয় ইফতার বিক্রির ধুম। রকমারি খাবারের
পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। মুসল্লিরা সে খাবার কিনে নিয়ে যান অনেক আগ্রহ
ভরে। ইফতার শেষে দল বেঁধে যান মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করার জন্য। কেউ
পড়েন খতম তারাবি, কেউ বা পড়েন সুরা তারাবি। সারা মাস চলে এই উদ্যাপন।
কিন্তু বিদেশের মাটিতে, বিশেষ করে যেখানে মুসলমানদের সংখ্যা খুব কম, এই চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিকেল হলেই সড়কের পাশে বসে না ইফতারের আয়োজন, চোখে পড়ে না দল বেঁধে তারাবি নামাজ পড়তে যাওয়ার দৃশ্য। আর তাই রমজান মাস এলেই প্রবাসে বসবাসরত বাঙালিদের মন চলে যায় বাংলাদেশে।
থাইল্যান্ডের জনসংখ্যার মাত্র পাঁচ শতাংশ মুসলমান। কিন্তু রাজধানী ব্যাংককে এ সংখ্যা আরও কম। আর তাই ব্যাংককে রমজান মাসে বাঙালিদের এই পরিচিত ইফতার আয়োজনের দৃশ্য কল্পনা করাই বিলাসিতা। কিন্তু থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম সে কল্পনাকে খানিকটা বাস্তবে রূপ দেওয়ার ঐকান্তিক প্রয়াস নেন। তারই উদ্যোগে ব্যাংককে বসবাসরত বাঙালিদের জন্য দেশীয় পরিবেশে তারাবির নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে দূতাবাসে প্রথমবারের মতো খতম তারাবির আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের এই আয়োজনকে অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে স্বাগত জানায় ব্যাংককে বসবাসরত বাঙালিরা। প্রতিদিন তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে খতম তারাবির জামাতে অংশ নেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ভিন্ন দেশের মুসলমানেরাও এ জামাতে অংশ নেন।
কিন্তু বিদেশের মাটিতে, বিশেষ করে যেখানে মুসলমানদের সংখ্যা খুব কম, এই চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিকেল হলেই সড়কের পাশে বসে না ইফতারের আয়োজন, চোখে পড়ে না দল বেঁধে তারাবি নামাজ পড়তে যাওয়ার দৃশ্য। আর তাই রমজান মাস এলেই প্রবাসে বসবাসরত বাঙালিদের মন চলে যায় বাংলাদেশে।
থাইল্যান্ডের জনসংখ্যার মাত্র পাঁচ শতাংশ মুসলমান। কিন্তু রাজধানী ব্যাংককে এ সংখ্যা আরও কম। আর তাই ব্যাংককে রমজান মাসে বাঙালিদের এই পরিচিত ইফতার আয়োজনের দৃশ্য কল্পনা করাই বিলাসিতা। কিন্তু থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম সে কল্পনাকে খানিকটা বাস্তবে রূপ দেওয়ার ঐকান্তিক প্রয়াস নেন। তারই উদ্যোগে ব্যাংককে বসবাসরত বাঙালিদের জন্য দেশীয় পরিবেশে তারাবির নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে দূতাবাসে প্রথমবারের মতো খতম তারাবির আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের এই আয়োজনকে অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে স্বাগত জানায় ব্যাংককে বসবাসরত বাঙালিরা। প্রতিদিন তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে খতম তারাবির জামাতে অংশ নেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ভিন্ন দেশের মুসলমানেরাও এ জামাতে অংশ নেন।
মোনাজাতের দৃশ্য |
বাংলাদেশে
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা পবিত্র রমজান মাসে ইফতারের
আয়োজন করে থাকেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসমূহ ইফতারের আয়োজন করে
থাকে। সেই আলোকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের
জন্য রাষ্ট্রদূত ১১ জুলাই শনিবার দূতাবাসে ইফতারের আয়োজন করেন। জানা যায়,
দূতাবাসে এ ধরনের আয়োজন এবারেই প্রথম। ইফতারের দিন বিকেলে প্রায় তিন শ
বাংলাদেশি ও অন্যান্য অতিথিদের আগমনে দূতাবাস হয়ে ওঠে একটি ছোট বাংলাদেশ।
মুসলমানদের পাশাপাশি আসেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী, থাইল্যান্ডে বিভিন্ন
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বৌদ্ধ ভিক্ষু ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরাও। এ ছাড়াও
আসেন থাই শিক্ষাবিদদের প্রতিষ্ঠিত কাসেম বান্দিত বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট, মুসরিম অধ্যুষিত দক্ষিণ থাইল্যান্ডের
একমাত্র মুসলিম ন্যাশনাল রিফর্ম কাউন্সিল মেম্বার, থাই মুসরিমা ভলান্টিয়ার
গ্রুপের প্রেসিডেন্ট, থাই সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, থাই মুসলিম
হাউসওয়াইফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও অন্যান্য গণ্যমান্য থাই মুসলমান ব্যক্তিরা।
ইফতার শুরুর আগে স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও তার সহযোগী কয়েকজন পবিত্র কোরআন
থেকে তিলাওয়াত ও দোয়া পাঠ করেন। দোয়া পাঠ শেষে বাংলাদেশের সাফল্য,
দেশে-বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশিদের মঙ্গল ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে
বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অতিথিদের একাংশ |
মোনাজাত
শেষে রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উল্লেখ করেন,
ইফতার আয়োজনটি দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণে
সম্ভব হয়েছে। আগত সব অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে,
ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে ইফতার আয়োজন করা হবে। তাতে প্রবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত
অংশগ্রহণ থাকবে। তিনি আরও জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের সব প্রয়োজনে
দূতাবাস তাদের পাশে আছে এবং থাকবে।
ইফতারে ছিল দেশীয় আয়োজন। বিভিন্ন ফলের শরবতে তৃষ্ণা নিবারণের পর ছিল খুরমা, পিয়াজু, বেগুনি, জিলাপি, দই বড়া, আলুর চপ, চটপটি, বুট-মুড়ি আর সঙ্গে টাটকা ফল। ইফতারের পর জামাতে মাগরিবের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা দূতাবাসের ভেতরেই করা হয়। নামাজ শেষে কিছু সময় আগত অতিথি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা কুশল বিনিময় করেন। এরই মধ্যে রাতের খাবার পরিবেশন করা হয়। রাতের খাবারে ছিল বিরিয়ানি, কারি ও কাবাব। এ ছাড়া ছিল পায়েস আর রসমালাই।
ইফতারে ছিল দেশীয় আয়োজন। বিভিন্ন ফলের শরবতে তৃষ্ণা নিবারণের পর ছিল খুরমা, পিয়াজু, বেগুনি, জিলাপি, দই বড়া, আলুর চপ, চটপটি, বুট-মুড়ি আর সঙ্গে টাটকা ফল। ইফতারের পর জামাতে মাগরিবের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা দূতাবাসের ভেতরেই করা হয়। নামাজ শেষে কিছু সময় আগত অতিথি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা কুশল বিনিময় করেন। এরই মধ্যে রাতের খাবার পরিবেশন করা হয়। রাতের খাবারে ছিল বিরিয়ানি, কারি ও কাবাব। এ ছাড়া ছিল পায়েস আর রসমালাই।
No comments