শিশু সামিউল হত্যা নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র ‘নির্দেশনায় আ.লীগ’
দেশে-বিদেশে
আলোচনার ঝড় তোলা সিলেটের শিশু শেখ মো. সামিউল আলম রাজনকে (১৪) নির্যাতন ও
হত্যার ঘটনায় দুটি প্রামাণ্যচিত্র ও নাটক নির্মাণ হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশনায় প্রামাণ্যচিত্রটি বানানো হচ্ছে বলে নির্মাতা জি এম সৈকত দাবি করেছেন। তিনি এও বলছেন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী থেকে অর্জিত টাকা (খরচ বাদে) সামিউলের পরিবারকে দেওয়া হবে।
তবে বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখছেন না সামিউলের গ্রাম বাদেয়ালির বাসিন্দারা। তাঁদের মতে, সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এলাকাবাসী যেখানে সামিউল হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন, সেখানে এমন উদ্যোগ নেওয়া কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ প্রত্যক্ষ করা কুমারগাঁও বাসস্টেশনের এক রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী খেদোক্তির সুরে বলেন, ‘ঘটনার পর চার দিন তো খবর আছিল না কেউর। মিডিয়া বিষয়টা ধরছে বইলাই তো পাবলিক সব আসামিরে ধরত পারল। অখন হুনরাম সব নেতারার সফলতা, নাটকও অইব!’
গত বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জি এম সৈকতের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ‘ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের প্রামাণ্যচিত্র ও নাটকের সার্বিক দিকনির্দেশনা এবং সহযোগিতা করেছেন’ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। এর মধ্যে সরকারের একজন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজের নাম রয়েছে।
জি এম সৈকত মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রামাণ্যচিত্রে দু-একজন আওয়ামী লীগ নেতার সাক্ষাৎকারও রাখা হয়েছে।’ সৈকত দাবি করেন, কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ হচ্ছে না। কেবল আত্মোপলব্ধি থেকেই নিজেদের গাঁটের পয়সায় এসব নির্মিত হচ্ছে।
মিসবাহউদ্দিন সিরাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ রকম কোনো কিছু শোনেননি বলে জানান।
কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশনায় প্রামাণ্যচিত্রটি বানানো হচ্ছে বলে নির্মাতা জি এম সৈকত দাবি করেছেন। তিনি এও বলছেন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী থেকে অর্জিত টাকা (খরচ বাদে) সামিউলের পরিবারকে দেওয়া হবে।
তবে বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখছেন না সামিউলের গ্রাম বাদেয়ালির বাসিন্দারা। তাঁদের মতে, সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এলাকাবাসী যেখানে সামিউল হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন, সেখানে এমন উদ্যোগ নেওয়া কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ প্রত্যক্ষ করা কুমারগাঁও বাসস্টেশনের এক রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী খেদোক্তির সুরে বলেন, ‘ঘটনার পর চার দিন তো খবর আছিল না কেউর। মিডিয়া বিষয়টা ধরছে বইলাই তো পাবলিক সব আসামিরে ধরত পারল। অখন হুনরাম সব নেতারার সফলতা, নাটকও অইব!’
গত বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জি এম সৈকতের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ‘ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের প্রামাণ্যচিত্র ও নাটকের সার্বিক দিকনির্দেশনা এবং সহযোগিতা করেছেন’ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। এর মধ্যে সরকারের একজন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজের নাম রয়েছে।
জি এম সৈকত মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রামাণ্যচিত্রে দু-একজন আওয়ামী লীগ নেতার সাক্ষাৎকারও রাখা হয়েছে।’ সৈকত দাবি করেন, কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ হচ্ছে না। কেবল আত্মোপলব্ধি থেকেই নিজেদের গাঁটের পয়সায় এসব নির্মিত হচ্ছে।
মিসবাহউদ্দিন সিরাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ রকম কোনো কিছু শোনেননি বলে জানান।
No comments