রাজশাহীতে সিলগালা করা কারখানায় ফের সিগারেট উৎপাদন
সিলগালা
করার দুই মাসের মধ্যে নকল সিগারেট তৈরির একটি কারখানায় ফের উৎপাদন শুরু
করায় কারখানার ব্যবস্থাপককে গ্রেপ্তার করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁকে দেড়
বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড
দেওয়া হয়েছে। এই কারখানাটি রাজশাহীর পবা উপজেলার বাগসারা গ্রামে।
জব্দ করা নকল সিগারেট ও নকল সিগারেট তৈরির সরঞ্জাম জব্দ পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ছবি: শহীদুল ইসলাম |
আজ
দুপুরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর একটি দল রাজশাহীর
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে এই কারখানায় অভিযান
চালায়। এ সময় কারখানার ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৭ মে এই কারখানায় প্রথম অভিযান চালানো হয়। ওই সময় ব্যবস্থাপক পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। ওই সময় ছয়জন শ্রমিককে পাওয়া যায়। তাঁদের প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করে কারখানাটি সিলগালা করে দিয়ে আসা হয়। এবার ব্যবস্থাপককে গ্রেপ্তার করার কারণে শ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে শ্রমিকদের পাওয়া গেলে তাদেরও দণ্ড দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গত ২৭ মে এই কারখানায় প্রথম অভিযান চালানো হয়। ওই সময় ব্যবস্থাপক পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। ওই সময় ছয়জন শ্রমিককে পাওয়া যায়। তাঁদের প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করে কারখানাটি সিলগালা করে দিয়ে আসা হয়। এবার ব্যবস্থাপককে গ্রেপ্তার করার কারণে শ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে শ্রমিকদের পাওয়া গেলে তাদেরও দণ্ড দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
জব্দ করা হয় প্রায় এক কোটি টাকার নকল সিগারেট ও সিগারেট তৈরির সরঞ্জাম। ছবি: শহীদুল ইসলাম |
আদালত
সূত্রে জানা গেছে, এবার কারখানা থেকে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৭০০টি নকল স্টার
সিগারেট, ৪ হাজার ৯৫০ কেজি তামাকসহ নকল সিগারেট তৈরির প্রায় এক কোটি টাকার
সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। পরে এগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং কারখানার
ব্যবস্থাপককে দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
পবা উপজেলার বাগসারা গ্রামের ফসলের খেতের মধ্যে ফাঁকা একটি জায়গায় করা এই কারখানায় গোপনে গোল্ডলিফ, স্টার ও শেখ সিগারেট তৈরি করা হচ্ছিল। কারখানার দরজায় দুজন নিরাপত্তা প্রহরী সব সময় দাঁড়িয়ে থাকে। তারা বাইরের কোনো মানুষকে ভেতরে ঢুকতে দেয় না।
পবা উপজেলার বাগসারা গ্রামের ফসলের খেতের মধ্যে ফাঁকা একটি জায়গায় করা এই কারখানায় গোপনে গোল্ডলিফ, স্টার ও শেখ সিগারেট তৈরি করা হচ্ছিল। কারখানার দরজায় দুজন নিরাপত্তা প্রহরী সব সময় দাঁড়িয়ে থাকে। তারা বাইরের কোনো মানুষকে ভেতরে ঢুকতে দেয় না।
No comments