ঢাকা উত্তরের ওয়ার্ড ২৭ রাজাবাজার–ইন্দিরা রোডের বেহাল অবস্থা by মোছাব্বের হোসেন
পূর্ব রাজাবাজার ও পশ্চিম রাজাবাজারের সরু সড়কটি খুঁড়ে নালার পাইপ বসানোর কাজ চলছে দুই মাসের বেশি সময় ধরে। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী l সাবিনা ইয়াসমিন |
ইটের
সুরকি বিছানো এবড়োখেবড়ো আর খানাখন্দে ভরা রাস্তা। কোথাও উঁচু-নিচু।
বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও কাদাপানি জমেছে। রাস্তার ওপরই আবার ফেলে রাখা হয়েছে
সিমেন্টের বড় বড় পাইপ, ইট, পিচ ও মাটি। ফলে চলাচলের জায়গা আরও সংকীর্ণ
হয়ে পড়েছে। বিশৃঙ্খল অবস্থা। পথচারীদের ভোগান্তি প্রচণ্ড। এই অবস্থা
রাজধানীর পূর্ব ও পশ্চিম রাজাবাজার এবং ইন্দিরা রোডের বড় একটি অংশজুড়ে।
এই এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব এলাকায় গত দুই মাস আগে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ড্রেনেজ লাইনের পুরোনো পাইপলাইন সরিয়ে সেখানে নতুন বড় পাইপ বসানো ও সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এতে এক মাস এই রাস্তা বন্ধ ছিল। পাইপ বসানোর পরে কিছুদিন থেকে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করার জন্য ইট-সুরকি বিছিয়ে দেওয়া হলেও রাস্তা পুরোপুরি সংস্কার হয়নি।
সরেজমিনে গত রোববার সকালে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তাগুলোর বিভিন্ন স্থানে উঁচু-নিচু ও কোথাও গর্ত তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া রাস্তা খোঁড়ার পর মাটি, পিচ, ও ইট রাস্তার ওপরেই স্তূপ করে ফেলে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সিমেন্টের বড় বড় পাইপ রাখা হয়েছে। এতে রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়ে এসেছে। দুই পাশে ঠিকমতো যান চলাচল না করতে পারায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এখানকার মানুষ ও পথচারীরা। এলাকাবাসীরা জানান, মূল সড়কের যানজট এড়িয়ে এই পথটি ধরে অল্প সময়ে পূর্ব ও পশ্চিম রাজাবাজার, সোবহানবাগ, পান্থপথ, কলাবাগানসহ আরও কয়েকটি গন্তব্যে প্রতিদিন হাজারো লোক চলাচল করেন। রাস্তার সংস্কার না হওয়ায় তাঁদের প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
পূর্ব রাজাবাজারে একটি স্কুলের সামনে কথা হয় মাহবুবা নাসরিনের সঙ্গে। তিনি জানান, ছেলের স্কুলে আসতে প্রতিদিন কলাবাগান থেকে তিনি এই রাস্তায় যাওয়া-আসা করেন। পুরোটা রাস্তাই ঝাঁকুনি খেতে খেতে আসতে হয়। কখনো পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। অনেকটা বিরক্ত হয়ে তিনি বলেন, ‘রাস্তা নিয়ে আর কী বলব? দেখতেই পাচ্ছেন কী অবস্থা!’
পূর্ব রাজাবাজারের পর পশ্চিম রাজাবাজার ও ইন্দিরা রোড ঘুরে দেখা গেল রাস্তার পাশাপাশি গলিতেও মাটি, পিচ, ও ইট রাস্তার ওপরেই স্তূপ করে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়ছেন পথচারী ও বাসিন্দারা। এই এলাকায় নিয়মিত রিকশা চালান তারা মিয়া। তিনি বলেন, ‘রাস্তা ভালা না, ঝাঁকি লাগে। আমিও কষ্ট পাই, যাত্রীরাও দুঃখ পায়। বৃষ্টি হইলে পানি জইমা থাকে।’
পথচারী আমিন বলেন, ‘ এক মাস তো রাস্তা বন্ধই ছিল। সে সময় একদফা ভুগেছি। আর এখন তো নতুন উপদ্রব হচ্ছে ভাঙাচোরা রাস্তা। কী যে সমস্যা তা কি কর্তৃপক্ষ দেখে না?।’
এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান কাজটি দেখভাল করছেন। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগেই যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটির দায়িত্ব পেয়েছে, সেটিতে তাঁর অংশীদারিও ছিল। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি তা ছেড়ে দেন বলে জানান। তিনি বলেন, অংশীদারি ছেড়ে দিলেও এখন পর্যন্ত এক অর্থে তিনিই কাজটি দেখভাল করছেন।
রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আড়াই মাসের কাজ এক মাসে শেষ করেছি। আগে এই রাস্তায় পানি জমত। সেটি আমরা এমনভাবে ঠিক করছি, যাতে আর পানি না জমে।’ কাজের অগ্রগতি ও রাস্তার সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পাইপলাইন বসানোর কাজ শেষ। এখন বর্ষা কমলে রাস্তা ঢালাই দেওয়ার কাজ শুরু হবে।’
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব এলাকায় গত দুই মাস আগে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ড্রেনেজ লাইনের পুরোনো পাইপলাইন সরিয়ে সেখানে নতুন বড় পাইপ বসানো ও সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এতে এক মাস এই রাস্তা বন্ধ ছিল। পাইপ বসানোর পরে কিছুদিন থেকে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করার জন্য ইট-সুরকি বিছিয়ে দেওয়া হলেও রাস্তা পুরোপুরি সংস্কার হয়নি।
সরেজমিনে গত রোববার সকালে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তাগুলোর বিভিন্ন স্থানে উঁচু-নিচু ও কোথাও গর্ত তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া রাস্তা খোঁড়ার পর মাটি, পিচ, ও ইট রাস্তার ওপরেই স্তূপ করে ফেলে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সিমেন্টের বড় বড় পাইপ রাখা হয়েছে। এতে রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়ে এসেছে। দুই পাশে ঠিকমতো যান চলাচল না করতে পারায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এখানকার মানুষ ও পথচারীরা। এলাকাবাসীরা জানান, মূল সড়কের যানজট এড়িয়ে এই পথটি ধরে অল্প সময়ে পূর্ব ও পশ্চিম রাজাবাজার, সোবহানবাগ, পান্থপথ, কলাবাগানসহ আরও কয়েকটি গন্তব্যে প্রতিদিন হাজারো লোক চলাচল করেন। রাস্তার সংস্কার না হওয়ায় তাঁদের প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
পূর্ব রাজাবাজারে একটি স্কুলের সামনে কথা হয় মাহবুবা নাসরিনের সঙ্গে। তিনি জানান, ছেলের স্কুলে আসতে প্রতিদিন কলাবাগান থেকে তিনি এই রাস্তায় যাওয়া-আসা করেন। পুরোটা রাস্তাই ঝাঁকুনি খেতে খেতে আসতে হয়। কখনো পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। অনেকটা বিরক্ত হয়ে তিনি বলেন, ‘রাস্তা নিয়ে আর কী বলব? দেখতেই পাচ্ছেন কী অবস্থা!’
পূর্ব রাজাবাজারের পর পশ্চিম রাজাবাজার ও ইন্দিরা রোড ঘুরে দেখা গেল রাস্তার পাশাপাশি গলিতেও মাটি, পিচ, ও ইট রাস্তার ওপরেই স্তূপ করে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়ছেন পথচারী ও বাসিন্দারা। এই এলাকায় নিয়মিত রিকশা চালান তারা মিয়া। তিনি বলেন, ‘রাস্তা ভালা না, ঝাঁকি লাগে। আমিও কষ্ট পাই, যাত্রীরাও দুঃখ পায়। বৃষ্টি হইলে পানি জইমা থাকে।’
পথচারী আমিন বলেন, ‘ এক মাস তো রাস্তা বন্ধই ছিল। সে সময় একদফা ভুগেছি। আর এখন তো নতুন উপদ্রব হচ্ছে ভাঙাচোরা রাস্তা। কী যে সমস্যা তা কি কর্তৃপক্ষ দেখে না?।’
এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান কাজটি দেখভাল করছেন। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগেই যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটির দায়িত্ব পেয়েছে, সেটিতে তাঁর অংশীদারিও ছিল। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি তা ছেড়ে দেন বলে জানান। তিনি বলেন, অংশীদারি ছেড়ে দিলেও এখন পর্যন্ত এক অর্থে তিনিই কাজটি দেখভাল করছেন।
রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আড়াই মাসের কাজ এক মাসে শেষ করেছি। আগে এই রাস্তায় পানি জমত। সেটি আমরা এমনভাবে ঠিক করছি, যাতে আর পানি না জমে।’ কাজের অগ্রগতি ও রাস্তার সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পাইপলাইন বসানোর কাজ শেষ। এখন বর্ষা কমলে রাস্তা ঢালাই দেওয়ার কাজ শুরু হবে।’
No comments