সামিউলের বাড়ির পথে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
‘আমারে
কেউ বাঁচাও রে-বা, আমার নাম রাজন! ’ ‘রাজন হত্যার বিচার চাই’—এ রকম
আর্তনাদ আর দাবির কথা লেখা ফেস্টুন, পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে শিশু সামিউল
আলম রাজনের বাড়ির পথে মানববন্ধন করেছে এলাকার খুদে শিক্ষার্থীরা। সিলেটের
জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামের এই মানববন্ধনের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায়
এক কিলোমিটার।
সামিউল আলম রাজনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আজ তার বাড়ির পথে মানববন্ধন করে খুদে শিক্ষার্থীরা। ছবি: আনিস মাহমুদ |
আজ
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত এ মানববন্ধনে অংশ নেয় ২০টি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খুদে শিক্ষার্থীরা। পরে শিশু-কিশোরেরা সমাবেশে মিলিত
হলে সেখানে এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষকেরা বক্তব্য দিয়ে
শিশু সামিউলের বিচার দ্রুত করার আশ্বাস দেন।
বাদেয়ালি গ্রামের সবজিবিক্রেতা শিশু সামিউলকে গত ৮ জুলাই চোর অপবাদে পিটিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। লাশ গুম করার চেষ্টার সময় ধরা পড়ে একজন। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়। নির্যাতনকারীরা সামিউলকে নির্যাতন করার সময় ভিডিওচিত্র ধারণ করেছিল। ঘটনার চার দিন পর ১২ জুলাই ভিডিওচিত্র নিয়ে প্রথম আলোয় ‘নির্মম পৈশাচিক! ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয়। একে একে জনতা ধরিয়ে দেয় সামিউল হত্যা মামলার আসামিদের।
বাদেয়ালি গ্রামের সবজিবিক্রেতা শিশু সামিউলকে গত ৮ জুলাই চোর অপবাদে পিটিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। লাশ গুম করার চেষ্টার সময় ধরা পড়ে একজন। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়। নির্যাতনকারীরা সামিউলকে নির্যাতন করার সময় ভিডিওচিত্র ধারণ করেছিল। ঘটনার চার দিন পর ১২ জুলাই ভিডিওচিত্র নিয়ে প্রথম আলোয় ‘নির্মম পৈশাচিক! ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয়। একে একে জনতা ধরিয়ে দেয় সামিউল হত্যা মামলার আসামিদের।
ঘটনার
পর থেকে সামিউলের গ্রামসহ আশপাশ এলাকার শিশু-কিশোরদের মনে এ নিয়ে এক ধরনের
ভয় ছিল। এলাকাবাসী জানান, শিশু-কিশোরদের মানসিক অবস্থা উপলব্ধি করে আজ এ
সমাবেশের আয়োজন করেন। এতে সিলেটের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মিসবাহউদ্দিন
সিরাজ, আইনজীবী নূরে আলম সিরাজীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও
এলাকাবাসী বক্তব্য দেন।
আরেক
প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে জবানবন্দি দিচ্ছেন: সামিউল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার
হওয়া ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আয়াজ আলী (৪৫) আদালতে জবানবন্দি দিচ্ছেন। মামলার
তদন্ত সমন্বয়কারী সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রহমত
উল্লাহ আজ বিকেল চারটার দিকে প্রথম আলোকে জানান, আজ বেলা তিনটার দিকে
মহানগর হাকিম আদালতে আয়াজকে হাজির করা হলে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। মহানগর
হাকিম আদালতের (প্রথম) বিচারক সাহেদুল করিম জবানবন্দি গ্রহণ করছেন।
No comments