আমি শতভাগ শিল্পী
শিল্পী আহমেদ নেওয়াজ |
শিল্পী
আহমেদ নেওয়াজ। সত্তরের দশক থেকে সক্রিয় শিল্পচর্চার নানা মাধ্যমে। ৩১
জুলাই কালি-কলমে অাঁকা ৬০টি চিত্রকর্ম নিয়ে শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত
হতে যাচ্ছে তাঁর চতুর্থ একক প্রদর্শনী। ২০ জুলাই তাঁর জীবন ও শিল্পচর্চা
নিয়ে কথা বলেন প্রথম আলোর সঙ্গে।
শিল্পের সঙ্গে পাঁচ দশক
১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজে শিক্ষকতার মাধ্যমে পেশাগত জীবনের শুরু। ১০ বছরের শিক্ষক জীবনে শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে শিখিয়েছেন ড্রয়িং, ড্রাফটিং, ডিজাইন ও পেইন্টিং। ১৯৮৬ সালে চাকরি ছেড়ে শিল্পচর্চায় মন দেন। এই সময়ে বিভিন্ন অফিস ও রেস্তোরাঁর অন্দরসজ্জা, নাটকের মঞ্চসজ্জা, বাণিজ্যিক কোম্পানির লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোডাক্ট ডিজাইন, বিজ্ঞাপন নির্মাণ ও বিপণনের সঙ্গে যুক্ত হন। পাশাপাশি চলতে থাকে শিল্পচর্চা।
শিল্প চর্চার অনুপ্রেরণা
বাবা আবু মোহাম্মদ তৈয়বুল আলমের ছাপাখানা ছিল। আন্দরকিল্লায় কোহিনুর প্রেস নামের সেই ছাপাখানার ওপরেই থাকতেন আহমেদ নেওয়াজেরা। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি মেজো। ছাপাখানার নানা ধরনের ব্লক তৈরি হতে দেখতেন প্রতিদিন। কাঠের ওপর শিসা দিয়ে তৈরি ব্লকগুলো পরবর্তী জীবনে তাঁর শিল্পচর্চার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল। স্কুলে পড়ার সময় প্রায় যেতেন আন্দরকিল্লা জামে মসজিদ এলাকায়। মসজিদের সিঁড়িতে বসত এক মুচি। কাজের অবসরে সেই মুচি কাগজে ছবি আঁকতেন। নেওয়াজের শিল্পী হয়ে ওঠার পেছনে ভূমিকা ছিল এই মানুষটিরও।
এ ছাড়া আন্দরকিল্লার পাশের এলাকা রহমতগঞ্জে ছিল নবীন মেলা নামের একটি ক্লাব। সেই ক্লাবের সদস্য হন স্কুলে পড়ার সময়ই। নবীন মেলার উদ্যোগে বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করার পাশাপাশি নাটকের মঞ্চসজ্জাও করেন।
যখন চারুকলার শিক্ষার্থী
১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজের যাত্রা শুরু হলে পরিবারের অমতে আহমেদ নেওয়াজ সেখানে ভর্তি হন। চারুকলার শিক্ষার্থী থাকার সময়ই সুব্রত বড়ুয়া, সাজিদুল আলম, মমতাজুল হক ও তপন চৌধুরীর সঙ্গে মিলে গঠন করেন ব্যান্ডদল সোলস। এ ছাড়া থিয়েটার ৭৩ নামের নাটকের দলের সঙ্গেও যুক্ত হন। অধুনালুপ্ত এই নাট্যদলটির একাংশ ভেঙে অরিন্দম নাট্যসম্প্রদায় গঠিত হয়েছিল। পরে অরিন্দমের হয়ে বেশ কিছু নাটকের মঞ্চসজ্জা করে খ্যাতি অর্জন করেন।
শিল্পের বিষয়-আশয়
ড্রয়িং, পেইন্টিং, ডিজাইন, ছাপচিত্রসহ নানা মাধ্যমে কাজ করেন নেওয়াজ। নেওয়াজের ভাষায় প্রেম ও আধ্যাত্মিকতা তাঁর শিল্পচর্চার অন্যতম অনুপ্রেরণা। যে কাজই করেন তা গুরুত্ব দিয়ে করার চেষ্টা করেন তিনি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে নিজেকে শতভাগ শিল্পীই মনে করেন।
সাক্ষাৎকার: আহমেদ মুনির
শিল্পের সঙ্গে পাঁচ দশক
১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজে শিক্ষকতার মাধ্যমে পেশাগত জীবনের শুরু। ১০ বছরের শিক্ষক জীবনে শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে শিখিয়েছেন ড্রয়িং, ড্রাফটিং, ডিজাইন ও পেইন্টিং। ১৯৮৬ সালে চাকরি ছেড়ে শিল্পচর্চায় মন দেন। এই সময়ে বিভিন্ন অফিস ও রেস্তোরাঁর অন্দরসজ্জা, নাটকের মঞ্চসজ্জা, বাণিজ্যিক কোম্পানির লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোডাক্ট ডিজাইন, বিজ্ঞাপন নির্মাণ ও বিপণনের সঙ্গে যুক্ত হন। পাশাপাশি চলতে থাকে শিল্পচর্চা।
শিল্প চর্চার অনুপ্রেরণা
বাবা আবু মোহাম্মদ তৈয়বুল আলমের ছাপাখানা ছিল। আন্দরকিল্লায় কোহিনুর প্রেস নামের সেই ছাপাখানার ওপরেই থাকতেন আহমেদ নেওয়াজেরা। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি মেজো। ছাপাখানার নানা ধরনের ব্লক তৈরি হতে দেখতেন প্রতিদিন। কাঠের ওপর শিসা দিয়ে তৈরি ব্লকগুলো পরবর্তী জীবনে তাঁর শিল্পচর্চার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল। স্কুলে পড়ার সময় প্রায় যেতেন আন্দরকিল্লা জামে মসজিদ এলাকায়। মসজিদের সিঁড়িতে বসত এক মুচি। কাজের অবসরে সেই মুচি কাগজে ছবি আঁকতেন। নেওয়াজের শিল্পী হয়ে ওঠার পেছনে ভূমিকা ছিল এই মানুষটিরও।
এ ছাড়া আন্দরকিল্লার পাশের এলাকা রহমতগঞ্জে ছিল নবীন মেলা নামের একটি ক্লাব। সেই ক্লাবের সদস্য হন স্কুলে পড়ার সময়ই। নবীন মেলার উদ্যোগে বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করার পাশাপাশি নাটকের মঞ্চসজ্জাও করেন।
যখন চারুকলার শিক্ষার্থী
১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজের যাত্রা শুরু হলে পরিবারের অমতে আহমেদ নেওয়াজ সেখানে ভর্তি হন। চারুকলার শিক্ষার্থী থাকার সময়ই সুব্রত বড়ুয়া, সাজিদুল আলম, মমতাজুল হক ও তপন চৌধুরীর সঙ্গে মিলে গঠন করেন ব্যান্ডদল সোলস। এ ছাড়া থিয়েটার ৭৩ নামের নাটকের দলের সঙ্গেও যুক্ত হন। অধুনালুপ্ত এই নাট্যদলটির একাংশ ভেঙে অরিন্দম নাট্যসম্প্রদায় গঠিত হয়েছিল। পরে অরিন্দমের হয়ে বেশ কিছু নাটকের মঞ্চসজ্জা করে খ্যাতি অর্জন করেন।
শিল্পের বিষয়-আশয়
ড্রয়িং, পেইন্টিং, ডিজাইন, ছাপচিত্রসহ নানা মাধ্যমে কাজ করেন নেওয়াজ। নেওয়াজের ভাষায় প্রেম ও আধ্যাত্মিকতা তাঁর শিল্পচর্চার অন্যতম অনুপ্রেরণা। যে কাজই করেন তা গুরুত্ব দিয়ে করার চেষ্টা করেন তিনি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে নিজেকে শতভাগ শিল্পীই মনে করেন।
সাক্ষাৎকার: আহমেদ মুনির
No comments