পানিনিষ্কাশনের পথ বন্ধ: ৩০০ একর জমিতে আমন লাগাতে পারছেন না কৃষক
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ফলিমারির দোলার ৩০০ একর জমি পানিতে ডুবে থাকায় আমন রোমন করতে পারছেন না কৃষকেরা। ওই জমির পানিনিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেওয়ায় এ জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ৪০ কৃষক গত রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ফলিমারি দোলার জমি কোমর পানিতে ডুবে আছে। এখন আমনের ভরা মৌসুম। কিন্তু ওই দোলায় আমনের কোনো চিহ্নও নেই। এ সময় কুর্শা গ্রামের কৃষক জয়নাল হক জলাবদ্ধ জমি নির্দেশ করে বলেন, ‘ওঠে কোনা মোর আট বিঘা জমি আছে। পানি যাওয়ার পথ বন্ধ করি দেওয়ায় মোর জমিত এক মাস ধরি এক কোমর পানি। ওই জন্যে মুই ধান গারিবার পাওছুন না।’
একই গ্রামের কৃষক আবদুর রহমান বলেন, ‘খলিল, আতাউর ও মতিয়ার ওমার জমির ওপর দিয়া পানি যাওয়ার দেয়ছে না। ওমার তিনজনের ঠেলাঠেলিতে হামরা জমিত ধান গারিবার পাউছি না।’
কৃষকদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুর্শা ইউনিয়নের কুর্শা ফলিমারির দোলায় (বিস্তীর্ণ) প্রায় ৩০০ একর আবাদি জমি আছে। এখানকার অতিরিক্ত পানি কুর্শা গ্রামের খলিল রহমান, মতিয়ার রহমান ও আতাউর রহমানের জমির ওপর দিয়ে ঢেলমারির দোলায় গিয়ে পড়ে। সেখান থেকে চেংমারি হয়ে পানি চিকলী নদীতে যায়। কিন্তু মাস দুয়েক আগে খলিল তাঁর জমির পাশের সতীঘাট সেতুর কাছে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। আর আতাউর ও মতিয়ার তাঁদের জমির ওপর আইল দেন আরও আগে। পানিনিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবার বর্ষায় ওই ৩০০ একর জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
যোগাযোগ করা হলে খলিল রহমান বলেন, দোষ তো তাঁর একার না। তাই তিনি একা কোনো দায়ও নেবেন না। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর আতাউর ও মতিয়ার ওমার জমির গোরত পানি যাওয়ার ঘাট বন্ধ করি দেয়। ওই জন্যে মোর এক একর জমিত ধান হয় না। ওই জন্যে এবার মোর জমির গোরত আইল বান্ধি মাছ চাষ করছুন। ওমার জমির ওপর দিয়া পানি যাওয়ার দিলে মুইও দেইম।’
মুঠোফোনে মতিয়ার রহমান বলেন, তিনি তাঁর নিজ জমির ওপর আইল দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।
আতাউর রহমান বলেন, তাঁর জমির ওপর দিয়া কুর্শা ফলিমারির দোলার সবার জমির পানি যায়। এতে প্রতিবছর তাঁর অন্তত এক বিঘা জমির খেত নষ্ট হয়। তিনি বলেন, ‘ওই ক্ষতি তো মোক কাহো দেয় না। গ্রামের লোক এই ক্ষতিপূরণ দিলে মোর জমির ওপর দিয়ে পানি যাওয়ার দেইম।’
ইউএনও গোলাম মওলা গতকাল অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে দেখতে বলা হয়েছে। তারপরও তিনি নিজে এলাকাটি সরেজমিনে দেখে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। না হলে পরে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হবে।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ফলিমারি দোলার জমি কোমর পানিতে ডুবে আছে। এখন আমনের ভরা মৌসুম। কিন্তু ওই দোলায় আমনের কোনো চিহ্নও নেই। এ সময় কুর্শা গ্রামের কৃষক জয়নাল হক জলাবদ্ধ জমি নির্দেশ করে বলেন, ‘ওঠে কোনা মোর আট বিঘা জমি আছে। পানি যাওয়ার পথ বন্ধ করি দেওয়ায় মোর জমিত এক মাস ধরি এক কোমর পানি। ওই জন্যে মুই ধান গারিবার পাওছুন না।’
একই গ্রামের কৃষক আবদুর রহমান বলেন, ‘খলিল, আতাউর ও মতিয়ার ওমার জমির ওপর দিয়া পানি যাওয়ার দেয়ছে না। ওমার তিনজনের ঠেলাঠেলিতে হামরা জমিত ধান গারিবার পাউছি না।’
কৃষকদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুর্শা ইউনিয়নের কুর্শা ফলিমারির দোলায় (বিস্তীর্ণ) প্রায় ৩০০ একর আবাদি জমি আছে। এখানকার অতিরিক্ত পানি কুর্শা গ্রামের খলিল রহমান, মতিয়ার রহমান ও আতাউর রহমানের জমির ওপর দিয়ে ঢেলমারির দোলায় গিয়ে পড়ে। সেখান থেকে চেংমারি হয়ে পানি চিকলী নদীতে যায়। কিন্তু মাস দুয়েক আগে খলিল তাঁর জমির পাশের সতীঘাট সেতুর কাছে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। আর আতাউর ও মতিয়ার তাঁদের জমির ওপর আইল দেন আরও আগে। পানিনিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবার বর্ষায় ওই ৩০০ একর জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
যোগাযোগ করা হলে খলিল রহমান বলেন, দোষ তো তাঁর একার না। তাই তিনি একা কোনো দায়ও নেবেন না। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর আতাউর ও মতিয়ার ওমার জমির গোরত পানি যাওয়ার ঘাট বন্ধ করি দেয়। ওই জন্যে মোর এক একর জমিত ধান হয় না। ওই জন্যে এবার মোর জমির গোরত আইল বান্ধি মাছ চাষ করছুন। ওমার জমির ওপর দিয়া পানি যাওয়ার দিলে মুইও দেইম।’
মুঠোফোনে মতিয়ার রহমান বলেন, তিনি তাঁর নিজ জমির ওপর আইল দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।
আতাউর রহমান বলেন, তাঁর জমির ওপর দিয়া কুর্শা ফলিমারির দোলার সবার জমির পানি যায়। এতে প্রতিবছর তাঁর অন্তত এক বিঘা জমির খেত নষ্ট হয়। তিনি বলেন, ‘ওই ক্ষতি তো মোক কাহো দেয় না। গ্রামের লোক এই ক্ষতিপূরণ দিলে মোর জমির ওপর দিয়ে পানি যাওয়ার দেইম।’
ইউএনও গোলাম মওলা গতকাল অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে দেখতে বলা হয়েছে। তারপরও তিনি নিজে এলাকাটি সরেজমিনে দেখে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। না হলে পরে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হবে।
No comments