খাওয়ার পানির সংকটে পানিবন্দী মানুষ- ফেনী ও নোয়াখালীতে নতুন করে আরও অনেক এলাকা প্লাবিত। আরও দুজনের মৃত্যু
ডুবে যাওয়া সড়কে চলছে নৌকা। কক্সবাজারের রামু উপজেলার চেইন্দা। ছবি -প্রথম আলো |
টানা
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দী মানুষ বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির সংকটে
পড়েছে। নলকূপ পানিতে ডুবে যাওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে পানি সংগ্রহ করতে
হচ্ছে মানুষকে। রান্নাঘরে পানি ঢুকে পড়ায় রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে গেছে
অনেক পরিবারে। এদিকে পানিতে ভেসে আরও দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
টানা বৃষ্টিতে ফেনী ও নোয়াখালীতে নতুন করে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কক্সবাজারেও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বান্দরবানে গতকাল সোমবার দুপুর থেকে পানি কমতে শুরু করলেও জেলার সড়ক যোগাযোগ এখনো চালু হয়নি।
ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক,আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
কক্সবাজার: স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রমতে, জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম রহিম উল্লাহ জানান, বন্যার পানিতে উপজেলার অন্তত ৬০ গ্রামের এক লাখ মানুষ পানিবন্দী। তিন হাজার ঘরবাড়ি ও ৫০টির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে।
রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম জানান, উপজেলার ১০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত দেড় লাখ মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ ছিল।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মমিনুর রশিদ জানান, বন্যার পানিতে কয়েক শ কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৪০ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ।
চকরিয়া ও পেকুয়া: কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বেড়েছে বন্যাদুর্গত মানুষের দুর্ভোগ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।
বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে মারা গেছে দুজন। গতকাল পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের লিজপাড়ার মো. ফারুখের (১৭) লাশ নিজ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। আর চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের মানিকপুর আশ্রয়কেন্দ্র এলাকায় মাতামুহুরী নদী থেকে বান্দরবানের লামা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের চম্পাতলী এলাকার ছু মিন মার্মার স্ত্রী মন সানু মার্মার (৭৩) লাশ উদ্ধার করা হয়।
চকরিয়া ও পেকুয়ার ইউএনও দুজনের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যাদুর্গত লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও বাঁশখালী-চকরিয়া মহাসড়কের ওপর এবং বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু ভবনে আশ্রয় নিয়েছে।
নলকূপ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পেকুয়ার ইউএনও মো. মারুফুর রশিদ খান বলেন, লোকজন বিশুদ্ধ পানির সংকটে আছে।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাবের প্রথম আলোকে বলেন, ডায়রিয়া ও চর্মরোগ নিয়ে কিছু রোগী আসছে। তার মধ্যে বেশির ভাগ শিশু। তিনি জানান, উপজেলার সব এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি ও কিছু ওষুধ পাঠানো হয়েছে।
বান্দরবান: বান্দরবানে বৃষ্টিপাত বন্ধ হওয়ায় গতকাল দুপুর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বান্দরবান-চট্টগ্রাম, বান্দরবান-রাঙামাটি পথসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্টেশন, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের হাসপাতাল এলাকা, পুলিশ লাইন এলাকা, উজানীপাড়া, আর্মিপাড়া ও ওয়াপদা ব্রিজ এলাকা এক থেকে দুই ফুট পানিতে ডুবে আছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মনসুরুর রহমান জানান, জেলার সাত উপজেলায় ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও বান্দরবান সদর উপজেলায় ৫ হাজার ২০০ পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফেনী: ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, পাঠানবাড়ী রোড, শান্তি কোম্পানি সড়ক, নাজির রোড, একাডেমি-হাসপাতাল সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক আবারও এক থেকে দেড় ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফেনীর ফুলগাজীতে বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে। ফুলগাজীতে মুহুরী নদী ও কহুয়া নদীর বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া স্থান দিয়ে ফুলগাজী বাজার ও আশপাশের গ্রামে আবারও পানি ঢুকে পড়েছে। ফেনী-পরশুরাম সড়কের ফুলগাজী বাজার অংশ দুই ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।
ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ও পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের অনেক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বহু বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।
ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বলেন, রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় মানুষের চলাফেরায় কষ্ট হচ্ছে। রান্নাঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেকে রান্নাবান্না করতে পারছেন না।
দাগনভূঞার রাজাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও রাজাপুর ঘোনা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের বিরলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যাদুর্গত কিছু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
নোয়াখালী:ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নোয়াখালী শহর এবং বিভিন্ন উপজেলার জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গতকাল নতুন করে অনেক বাড়িতে পানি উঠেছে।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উদয়ন দেওয়ান প্রথম আলোকে জানান, মারাত্মক জলাবদ্ধতার কারণে উপজেলার ১১০টি গ্রামের মধ্যে অন্তত ৪৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের সব রাস্তাঘাটই পানির নিচে।
জলাবদ্ধতার কারণে সেনবাগের আরও ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলার ৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
সাতকানিয়া: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার অন্তত চার লাখ মানুষ পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে। পৌর সদরে পানি কমতে শুরু করলেও উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ইউনিয়নগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে।
কেরানীহাট-বান্দরবান, সাতকানিয়া-বাঁশখালী সড়ক ও সাতকানিয়া-চুনতি সড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে। গ্রামে গ্রামে খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
আনোয়ারা: স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, টানা বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ২০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন জানায়, উপজেলার ২০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলায় ১১০টি ঘর বিধ্বস্ত ও ৪০০ ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
{প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার; ফেনী ও নোয়াখালী অফিস; বান্দরবান, আনোয়ারা ও সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) এবং চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি}
টানা বৃষ্টিতে ফেনী ও নোয়াখালীতে নতুন করে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কক্সবাজারেও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বান্দরবানে গতকাল সোমবার দুপুর থেকে পানি কমতে শুরু করলেও জেলার সড়ক যোগাযোগ এখনো চালু হয়নি।
ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক,আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
কক্সবাজার: স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রমতে, জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম রহিম উল্লাহ জানান, বন্যার পানিতে উপজেলার অন্তত ৬০ গ্রামের এক লাখ মানুষ পানিবন্দী। তিন হাজার ঘরবাড়ি ও ৫০টির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে।
রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম জানান, উপজেলার ১০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত দেড় লাখ মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ ছিল।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মমিনুর রশিদ জানান, বন্যার পানিতে কয়েক শ কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৪০ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ।
চকরিয়া ও পেকুয়া: কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বেড়েছে বন্যাদুর্গত মানুষের দুর্ভোগ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।
বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে মারা গেছে দুজন। গতকাল পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের লিজপাড়ার মো. ফারুখের (১৭) লাশ নিজ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। আর চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের মানিকপুর আশ্রয়কেন্দ্র এলাকায় মাতামুহুরী নদী থেকে বান্দরবানের লামা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের চম্পাতলী এলাকার ছু মিন মার্মার স্ত্রী মন সানু মার্মার (৭৩) লাশ উদ্ধার করা হয়।
চকরিয়া ও পেকুয়ার ইউএনও দুজনের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যাদুর্গত লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও বাঁশখালী-চকরিয়া মহাসড়কের ওপর এবং বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু ভবনে আশ্রয় নিয়েছে।
নলকূপ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পেকুয়ার ইউএনও মো. মারুফুর রশিদ খান বলেন, লোকজন বিশুদ্ধ পানির সংকটে আছে।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাবের প্রথম আলোকে বলেন, ডায়রিয়া ও চর্মরোগ নিয়ে কিছু রোগী আসছে। তার মধ্যে বেশির ভাগ শিশু। তিনি জানান, উপজেলার সব এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি ও কিছু ওষুধ পাঠানো হয়েছে।
বান্দরবান: বান্দরবানে বৃষ্টিপাত বন্ধ হওয়ায় গতকাল দুপুর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বান্দরবান-চট্টগ্রাম, বান্দরবান-রাঙামাটি পথসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্টেশন, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের হাসপাতাল এলাকা, পুলিশ লাইন এলাকা, উজানীপাড়া, আর্মিপাড়া ও ওয়াপদা ব্রিজ এলাকা এক থেকে দুই ফুট পানিতে ডুবে আছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মনসুরুর রহমান জানান, জেলার সাত উপজেলায় ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও বান্দরবান সদর উপজেলায় ৫ হাজার ২০০ পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফেনী: ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, পাঠানবাড়ী রোড, শান্তি কোম্পানি সড়ক, নাজির রোড, একাডেমি-হাসপাতাল সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক আবারও এক থেকে দেড় ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফেনীর ফুলগাজীতে বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে। ফুলগাজীতে মুহুরী নদী ও কহুয়া নদীর বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া স্থান দিয়ে ফুলগাজী বাজার ও আশপাশের গ্রামে আবারও পানি ঢুকে পড়েছে। ফেনী-পরশুরাম সড়কের ফুলগাজী বাজার অংশ দুই ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।
ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ও পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের অনেক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বহু বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।
ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বলেন, রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় মানুষের চলাফেরায় কষ্ট হচ্ছে। রান্নাঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেকে রান্নাবান্না করতে পারছেন না।
দাগনভূঞার রাজাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও রাজাপুর ঘোনা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের বিরলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যাদুর্গত কিছু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
নোয়াখালী:ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নোয়াখালী শহর এবং বিভিন্ন উপজেলার জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গতকাল নতুন করে অনেক বাড়িতে পানি উঠেছে।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উদয়ন দেওয়ান প্রথম আলোকে জানান, মারাত্মক জলাবদ্ধতার কারণে উপজেলার ১১০টি গ্রামের মধ্যে অন্তত ৪৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের সব রাস্তাঘাটই পানির নিচে।
জলাবদ্ধতার কারণে সেনবাগের আরও ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলার ৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
সাতকানিয়া: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার অন্তত চার লাখ মানুষ পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে। পৌর সদরে পানি কমতে শুরু করলেও উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ইউনিয়নগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে।
কেরানীহাট-বান্দরবান, সাতকানিয়া-বাঁশখালী সড়ক ও সাতকানিয়া-চুনতি সড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে। গ্রামে গ্রামে খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
আনোয়ারা: স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, টানা বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ২০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন জানায়, উপজেলার ২০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলায় ১১০টি ঘর বিধ্বস্ত ও ৪০০ ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
{প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার; ফেনী ও নোয়াখালী অফিস; বান্দরবান, আনোয়ারা ও সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) এবং চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি}
No comments