টাকা দিয়ে সুজিনাকে হত্যা করিয়েছেন সতিন -আদালতে এক আসামির জবানবন্দি
সিলেটের
বিশ্বনাথে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মুরাদ আহমদের দ্বিতীয় স্ত্রী সুজিনা বেগমকে
ছয় লাখ টাকার বিনিময়ে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে মুরাদ আহমদের
প্রথম স্ত্রী সাবিনা বেগমের দুই ভাইসহ সাতজন জড়িত। সাবিনার পরিকল্পনা
অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
এ ঘটনায় হওয়া মামলার এক আসামি গত শনিবার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন। বিশ্বনাথ থানার ওসি রফিকুল হোসেন শনিবার রাতে জানান, গত বৃহস্পতিবার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী গ্রামের গয়াছ মিয়াকে (৪২) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর গয়াছকে নিহত সুজিনার মা ও ভাইয়ের সামনে নেওয়া হয়। এ সময় তাঁরাও তাঁকে (গয়াছ মিয়া) ঘাতক হিসেবে শনাক্ত করেন।
শনিবার সিলেটের বিচারিক হাকিম জেরিন আক্তারের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে গয়াছ মিয়া বলেন, মুরাদ আহমদের প্রথম স্ত্রী সাবিনা বেগম তাঁর সৎভাই জুনাব আলী ও চাচাতো ভাই আওলাদ মিয়ার মাধ্যমে তিনিসহ (গয়াছ) পাঁচজনের সঙ্গে সুজিনাকে হত্যার চুক্তি করেন। হত্যাকাণ্ডে জুনাব আলী, আওলাদ, গয়াছ, সজলুসহ সাতজন সরাসরি অংশ নেন। ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় তাঁরা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে সুজিনার সৎবাবা মৃত আবদুর রউফের বাড়িতে যান। ওই সময় জুনাব আলী ও অজ্ঞাতনামা দুজন বাড়ির বাইরে অবস্থান করেন এবং আওলাদ, গয়াছ, সজলু ও অন্য একজন সুজিনাদের ঘরে ঢোকেন। একপর্যায়ে আওলাদ, সজলু ও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ধারালো ছুরি দিয়ে সুজিনাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন এবং সুজিনার মা রেজিয়া বেগমের পেটে ছুরিকাঘাত করেন।
সুজিনা হত্যা মামলার বাদী ও তাঁর মামা কারি আবদুন নুর বলেন, ‘দেশে থাকা অবস্থায় ও বিদেশে গিয়ে সাবিনা আমার ভাগনিকে (সুজিনা) মুঠোফোনে বিয়ে ভাঙার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। আর বিয়ে না ভাঙলে পরিণতি খুব খারাপ হবে বলেও তাঁকে (সুজিনা) হুমকি দিয়েছেন। ওনার (সাবিনা) আত্মীয়স্বজনেরা সুজিনাকে হুমকি দিয়েছেন।’
এ ঘটনায় হওয়া মামলার এক আসামি গত শনিবার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন। বিশ্বনাথ থানার ওসি রফিকুল হোসেন শনিবার রাতে জানান, গত বৃহস্পতিবার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী গ্রামের গয়াছ মিয়াকে (৪২) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর গয়াছকে নিহত সুজিনার মা ও ভাইয়ের সামনে নেওয়া হয়। এ সময় তাঁরাও তাঁকে (গয়াছ মিয়া) ঘাতক হিসেবে শনাক্ত করেন।
শনিবার সিলেটের বিচারিক হাকিম জেরিন আক্তারের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে গয়াছ মিয়া বলেন, মুরাদ আহমদের প্রথম স্ত্রী সাবিনা বেগম তাঁর সৎভাই জুনাব আলী ও চাচাতো ভাই আওলাদ মিয়ার মাধ্যমে তিনিসহ (গয়াছ) পাঁচজনের সঙ্গে সুজিনাকে হত্যার চুক্তি করেন। হত্যাকাণ্ডে জুনাব আলী, আওলাদ, গয়াছ, সজলুসহ সাতজন সরাসরি অংশ নেন। ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় তাঁরা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে সুজিনার সৎবাবা মৃত আবদুর রউফের বাড়িতে যান। ওই সময় জুনাব আলী ও অজ্ঞাতনামা দুজন বাড়ির বাইরে অবস্থান করেন এবং আওলাদ, গয়াছ, সজলু ও অন্য একজন সুজিনাদের ঘরে ঢোকেন। একপর্যায়ে আওলাদ, সজলু ও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ধারালো ছুরি দিয়ে সুজিনাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন এবং সুজিনার মা রেজিয়া বেগমের পেটে ছুরিকাঘাত করেন।
সুজিনা হত্যা মামলার বাদী ও তাঁর মামা কারি আবদুন নুর বলেন, ‘দেশে থাকা অবস্থায় ও বিদেশে গিয়ে সাবিনা আমার ভাগনিকে (সুজিনা) মুঠোফোনে বিয়ে ভাঙার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। আর বিয়ে না ভাঙলে পরিণতি খুব খারাপ হবে বলেও তাঁকে (সুজিনা) হুমকি দিয়েছেন। ওনার (সাবিনা) আত্মীয়স্বজনেরা সুজিনাকে হুমকি দিয়েছেন।’
No comments