বরিশাল সিটি করপোরেশন: গর্তে ভরা একেকটা সড়ক by সাইফুর রহমান
বরিশাল নগরের বাংলাবাজার থেকে ছবিটি সম্প্রতি তোলা |
নগরজুড়ে
খানাখন্দ। ভাঙাচোরা নেই এমন রাস্তা পাওয়া দুষ্কর। যে রাস্তাতেই চোখ যায়,
সেখানেই গর্ত। বিটুমিন উঠে গিয়ে ছোট ছোট ডোবার মতো তৈরি হয়েছে বেশির
ভাগ রাস্তায়।
ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে নগরের অনেক রাস্তাই সংস্কার করা হয়। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে সেসব রাস্তা এখন গর্ত আর খানাখন্দে ভরা। নগরবাসী বলছেন, আগেভাগে সংস্কার করলে এ ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না। কিন্তু সিটি করপোরেশনের দাবি, অতিবৃষ্টির কারণে রাস্তাগুলোর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। এগুলো সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (সদর রোড) সড়ক, হাসপাতাল রোড, ফজলুল হক অ্যাভিনিউ, রাজা বাহাদুর সড়ক, জিলা স্কুল সড়ক, জীবনানন্দ দাশ (বগুড়া রোড) সড়ক, পুলিশ লাইন রোড, আলেকান্দা, নথুল্লাবাদ, বাংলা বাজার, নৌবন্দর, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বান্দ রোডসহ গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তাতেই বিটুমিন উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। গাড়ি চললেই কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায় রাস্তা।
মানবাধিকার জোট বরিশালের সভাপতি ও প্রবীণ চিকিৎসক সৈয়দ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে দেখতাম রাস্তায় একটু গর্ত হলেই সঙ্গে সঙ্গে সেটি মেরামত হতো। এখন আর তা হচ্ছে না। নগরের রাস্তাগুলো দিয়ে চলা যাচ্ছে না। দ্রুত সংস্কার করা না হলে আরও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের অক্টোবরে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ফজলুল হক অ্যাভিনিউর ৪০০ মিটার রাস্তা সংস্কার করা হয়। এর কিছুদিন আগে সংস্কার করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (সদর রোড) সড়ক ও রাজা বাহাদুর সড়ক। হাসপাতাল রোড ও বান্দ রোডও সংস্কার করা হয় এক বছর আগে। কিন্তু এখন সব রাস্তাই খানাখন্দে ভরে গেছে।
গত নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে নগরের ২, ৩, ৪, ২৪, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তাগুলো সংস্কার করে সিটি করপোরেশন। সেসব সড়কের বেশ কিছু স্থানে বিটুমিন উঠে গেছে। খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে কাদাপানিতে সয়লাব। এতে প্রতিনিয়ত নাকাল হতে হচ্ছে পথচারী ও যানবাহন চালকদের।
সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, কিছু রাস্তা ছয়-সাত মাস আগে সংস্কার করা হলেও বেশির ভাগই এক বছর আগে করা হয়েছে। যেসব স্থানে সংস্কার হয়েছে সেখানের বিটুমিন উঠে যায়নি। পাশের অংশ নষ্ট হয়ে গেছে।
সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘বিটুমিনের শত্রু পানি। সড়ক যতই ভালোভাবে করা হোক না কেন, পানি জমলে বিটুমিন উঠে যাবেই। অতিবৃষ্টির কারণে কয়েক দিন সড়ক ডুবে ছিল। সেই কারণে সব সড়কের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। সড়ক সংস্কারে উদ্যোগ নিলেও বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।’
মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, এ বছর প্রবল বৃষ্টিতে বেশ কিছু রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ওই সব রাস্তা সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। ঈদের আগেই রাস্তা সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।
ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে নগরের অনেক রাস্তাই সংস্কার করা হয়। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে সেসব রাস্তা এখন গর্ত আর খানাখন্দে ভরা। নগরবাসী বলছেন, আগেভাগে সংস্কার করলে এ ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না। কিন্তু সিটি করপোরেশনের দাবি, অতিবৃষ্টির কারণে রাস্তাগুলোর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। এগুলো সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (সদর রোড) সড়ক, হাসপাতাল রোড, ফজলুল হক অ্যাভিনিউ, রাজা বাহাদুর সড়ক, জিলা স্কুল সড়ক, জীবনানন্দ দাশ (বগুড়া রোড) সড়ক, পুলিশ লাইন রোড, আলেকান্দা, নথুল্লাবাদ, বাংলা বাজার, নৌবন্দর, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বান্দ রোডসহ গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তাতেই বিটুমিন উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। গাড়ি চললেই কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায় রাস্তা।
মানবাধিকার জোট বরিশালের সভাপতি ও প্রবীণ চিকিৎসক সৈয়দ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে দেখতাম রাস্তায় একটু গর্ত হলেই সঙ্গে সঙ্গে সেটি মেরামত হতো। এখন আর তা হচ্ছে না। নগরের রাস্তাগুলো দিয়ে চলা যাচ্ছে না। দ্রুত সংস্কার করা না হলে আরও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের অক্টোবরে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ফজলুল হক অ্যাভিনিউর ৪০০ মিটার রাস্তা সংস্কার করা হয়। এর কিছুদিন আগে সংস্কার করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (সদর রোড) সড়ক ও রাজা বাহাদুর সড়ক। হাসপাতাল রোড ও বান্দ রোডও সংস্কার করা হয় এক বছর আগে। কিন্তু এখন সব রাস্তাই খানাখন্দে ভরে গেছে।
গত নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে নগরের ২, ৩, ৪, ২৪, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তাগুলো সংস্কার করে সিটি করপোরেশন। সেসব সড়কের বেশ কিছু স্থানে বিটুমিন উঠে গেছে। খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে কাদাপানিতে সয়লাব। এতে প্রতিনিয়ত নাকাল হতে হচ্ছে পথচারী ও যানবাহন চালকদের।
সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, কিছু রাস্তা ছয়-সাত মাস আগে সংস্কার করা হলেও বেশির ভাগই এক বছর আগে করা হয়েছে। যেসব স্থানে সংস্কার হয়েছে সেখানের বিটুমিন উঠে যায়নি। পাশের অংশ নষ্ট হয়ে গেছে।
সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘বিটুমিনের শত্রু পানি। সড়ক যতই ভালোভাবে করা হোক না কেন, পানি জমলে বিটুমিন উঠে যাবেই। অতিবৃষ্টির কারণে কয়েক দিন সড়ক ডুবে ছিল। সেই কারণে সব সড়কের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। সড়ক সংস্কারে উদ্যোগ নিলেও বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।’
মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, এ বছর প্রবল বৃষ্টিতে বেশ কিছু রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ওই সব রাস্তা সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। ঈদের আগেই রাস্তা সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।
No comments