‘বারবার বলবেন না বিয়ের বয়স কমে যাচ্ছে’ -প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি |
মহিলা
ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, ‘আমি
পরিষ্কারভাবে বলছি, এই সরকার নারী বান্ধব সরকার। এই সরকার নারীর ক্ষমতায়নে
বিশ্বাসী। তাই সেই সরকার দিয়ে নারীর ক্ষতি হবে, আইন হবে তা হতে পারে না।
বিয়ের বয়স ১৮ই থাকবে। সেখানে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। আমি বলতে চাই, এর
বাইরে দ্বিতীয় কোনো কথা বলবেন না। আপনারা পত্রপত্রিকায় বারবার বলবেন না
বিয়ের বয়স কমে যাচ্ছে। মোটেই কমে যাবে না।’ মঙ্গলবার দুপুরে
ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি কর্মসূচির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত
বাল্যবিয়ে নিমূর্লকরণে করণীয় বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির
বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর গুলশানে স্পেকট্রা কনভেনশন
সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় প্রতিমন্ত্রী বাল্যবিয়েকে একটি সামাজিক বড় সমস্যা
হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ১৮ বছরের কম বয়সীরা শিশু। জাতিসংঘের শিশু
অধিকার সনদসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের সঙ্গে বাংলাদেশও শিশুর বয়সের
সঙ্গে একমত। বিয়ের বয়সটি শিশুর বয়স হবে না। বিয়ের আগে গর্ভধারণসহ অন্যান্য
সামাজিক সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। তবে একই সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে
ইরানের উদাহরণও তুলে ধরে বলেন, ইরানে বিয়ের বয়স ১৩ বছর। তবে অভিভাবকেরা
শিক্ষিত এবং সচেতন হওয়ায় ২০ বছর বয়সের আগে বিয়ে দেন না। বাংলাদেশেও এ ধরনের
ঘটনা ঘটবে।
প্রতিমন্ত্রী এনজিও প্রতিনিধিসহ সভায় উপস্থিতদের উদ্দেশে আবারও বলেন, ‘অনেক সময় পত্রপত্রিকায় বলছেন বিয়ের বয়স ১৫ বা ১৬ বছর। ১৬ বছরের কথাই বেশি বলা হচ্ছে। বারবার বললে ভাব আসবে, বিয়ের বয়স কমে যাবে বোধ হয়।’
প্রতিমন্ত্রী যখন বিয়ের বয়স ১৮ই থাকছে বলে ঘোষণা দেন তখন সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিরা তুমুল করতালির মাধ্যমে সেই বক্তব্যকে স্বাগত জানান। সভা শেষে প্রথম আলোসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে বিয়ের বয়স প্রসঙ্গে আইনে কোনো ধরনের শর্ত থাকছে না—সরাসরি এমন কথা বলা যাবে কি না জানতে চাওয়া হয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে। তখনো প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিয়ের বয়স ১৮ই থাকছে, এর বাইরে তো আর এত কথা লেখার দরকার নাই।’
গত বছর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি খসড়া তৈরি করে। ওই খসড়া আইনটির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ ডিসেম্বর অনুশাসন দিয়ে বলেছেন, ‘বিয়ের বয়স ১৮, তবে পিতামাতা বা আদালতের সম্মতিতে ১৬ বছর সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সামাজিক সমস্যা কম হবে।’ গত জানুয়ারি মাসে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ অনুশাসন সংযুক্ত করে খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিয়ের বয়স নিয়ে জটিলতার অবসান হয়নি। ফলে আইনের খসড়াটি প্রায় সাত মাস ধরে আইন মন্ত্রণালয়েই পড়ে রয়েছে। তাই আজকের সভায় সবাই আইনে কোনো শর্ত থাকছে কি না তা জানতে চান প্রতিমন্ত্রীর কাছে।
সভায় প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম, জাতিসংঘের সিডও কমিটির সাবেক চেয়ারপারসন সালমা খান, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরীসহ একাধিকজন বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকার যে আইন করতে যাচ্ছে সেখানে বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে ‘যদি’, ‘কিন্তু’ বা ‘তবে’ দিয়ে কোনো ধরনের শর্ত থাকছে কি না সরকারের পক্ষ থেকে তা স্পষ্ট করার জন্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান।
প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সভার সভাপতি ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে বিয়ের বয়স নিয়ে আইনে আর ‘যদি’, ‘কিন্তু’, ‘তবে’ না থাকার কথা স্পষ্ট হয়ে গেছে।’
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস ও ডাইভারসিটির মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত্ব (মেজনিন) কর্মসূচি এবং জেন্ডার কোয়ালিটি অ্যাকশন লার্নিং (জিকিউএএল) কর্মসূচির মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১৯টি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, ধর্মীয় নেতা, জনপ্রতিনিধি, নিকাহ রেজিস্ট্রারসহ ১ হাজার ২৯৪ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এসব কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত সুপারিশগুলো জানানোর জন্যই আজকের এ জাতীয় পর্যায়ের মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাঁরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছিলেন আজকের সভায় তাঁদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এর বাইরে ইউনিসেফসহ বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বাল্যবিয়ে নিয়ে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি কর্মসূচির পরিচালক শীপা হাফিজা। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিলি বিশ্বাস, উইমেন ফর উইমেনের চেয়ারপারসন জাকিয়া কে হাসান, দাতা সংস্থা ডিএফআইডি’র দেশীয় পরিচালক সারাহ কুক প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী এনজিও প্রতিনিধিসহ সভায় উপস্থিতদের উদ্দেশে আবারও বলেন, ‘অনেক সময় পত্রপত্রিকায় বলছেন বিয়ের বয়স ১৫ বা ১৬ বছর। ১৬ বছরের কথাই বেশি বলা হচ্ছে। বারবার বললে ভাব আসবে, বিয়ের বয়স কমে যাবে বোধ হয়।’
প্রতিমন্ত্রী যখন বিয়ের বয়স ১৮ই থাকছে বলে ঘোষণা দেন তখন সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিরা তুমুল করতালির মাধ্যমে সেই বক্তব্যকে স্বাগত জানান। সভা শেষে প্রথম আলোসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে বিয়ের বয়স প্রসঙ্গে আইনে কোনো ধরনের শর্ত থাকছে না—সরাসরি এমন কথা বলা যাবে কি না জানতে চাওয়া হয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে। তখনো প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিয়ের বয়স ১৮ই থাকছে, এর বাইরে তো আর এত কথা লেখার দরকার নাই।’
গত বছর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি খসড়া তৈরি করে। ওই খসড়া আইনটির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ ডিসেম্বর অনুশাসন দিয়ে বলেছেন, ‘বিয়ের বয়স ১৮, তবে পিতামাতা বা আদালতের সম্মতিতে ১৬ বছর সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সামাজিক সমস্যা কম হবে।’ গত জানুয়ারি মাসে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ অনুশাসন সংযুক্ত করে খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিয়ের বয়স নিয়ে জটিলতার অবসান হয়নি। ফলে আইনের খসড়াটি প্রায় সাত মাস ধরে আইন মন্ত্রণালয়েই পড়ে রয়েছে। তাই আজকের সভায় সবাই আইনে কোনো শর্ত থাকছে কি না তা জানতে চান প্রতিমন্ত্রীর কাছে।
সভায় প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম, জাতিসংঘের সিডও কমিটির সাবেক চেয়ারপারসন সালমা খান, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরীসহ একাধিকজন বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকার যে আইন করতে যাচ্ছে সেখানে বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে ‘যদি’, ‘কিন্তু’ বা ‘তবে’ দিয়ে কোনো ধরনের শর্ত থাকছে কি না সরকারের পক্ষ থেকে তা স্পষ্ট করার জন্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান।
প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সভার সভাপতি ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে বিয়ের বয়স নিয়ে আইনে আর ‘যদি’, ‘কিন্তু’, ‘তবে’ না থাকার কথা স্পষ্ট হয়ে গেছে।’
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস ও ডাইভারসিটির মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত্ব (মেজনিন) কর্মসূচি এবং জেন্ডার কোয়ালিটি অ্যাকশন লার্নিং (জিকিউএএল) কর্মসূচির মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১৯টি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, ধর্মীয় নেতা, জনপ্রতিনিধি, নিকাহ রেজিস্ট্রারসহ ১ হাজার ২৯৪ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এসব কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত সুপারিশগুলো জানানোর জন্যই আজকের এ জাতীয় পর্যায়ের মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাঁরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছিলেন আজকের সভায় তাঁদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এর বাইরে ইউনিসেফসহ বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বাল্যবিয়ে নিয়ে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি কর্মসূচির পরিচালক শীপা হাফিজা। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিলি বিশ্বাস, উইমেন ফর উইমেনের চেয়ারপারসন জাকিয়া কে হাসান, দাতা সংস্থা ডিএফআইডি’র দেশীয় পরিচালক সারাহ কুক প্রমুখ।
No comments