‘বিশৃঙ্খল অবস্থায় বাংলাদেশ’
বাংলাদেশ
বর্তমানে ‘বিশৃঙ্খল অবস্থায়’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন
প্রতিনিধি পরিষদের এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান
ম্যাট স্যামন।
এছাড়া ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের চেয়ারম্যান আলী রিয়াজ বলেছেন, ২০১৪ সালে বাংলাদেশের গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার একটি বড় সুযোগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হাতছাড়া করেছে। ফলে ২০১৫ সালের এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির দায় তারা এড়াতে পারে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ‘বাংলাদেশের সংকট: রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় উগ্রপন্থা’ শীর্ষক এক শুনানিতে ম্যাট স্যামন ও আলী রিয়াজ এই মন্তব্য করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলবিষয়ক এই উপ-কমিটি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি কমিটি। খবর ইউএনবির।
শুনানিতে ম্যাট স্যামন বলেন, ‘যদিও দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত; তবে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে এবং এতে বিপুলসংখ্যক নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।’ তিনি বলেন, এই ব্যাপারটিকে যথার্থ গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া না হলে দেশটিতে বারবার কট্টর ইসলামপন্থীদের সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকবে।
ম্যাট স্যামন বলেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণে কর্মী সংগ্রহ করছে। এটি দমনে ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় তার আঞ্চলিক সহযোগীদের কাছ থেকে আরও সহযোগিতা আশা করছে।
শুনানিতে অংশগ্রহণকারী হিসেবে আরও ছিলেন এশিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো লিসা কার্টিজ এবং হিন্দু-আমেরিকান ফাউন্ডেশনের সরকার বিষয়ক পরিচালক জয় কানসারা।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে আলী রিয়াজ বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে দেশজুড়ে সংঘর্ষ হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই নির্বাচনের পরে বাংলাদেশের সংকট সমাধানের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগের অভাব ছিল।
আলী রিয়াজ বলেন, ওই নির্বাচনের পর পুরো ২০১৪ সাল জুড়ে বাংলাদেশে যে শান্ত অবস্থা ছিল তার সদ্ব্যবহারের সুযোগ শুধু ক্ষমতাসীনরাই হাতছাড়া করেনি বরং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার সুযোগটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে ২০১৫ সালে সৃষ্ট রাজনৈতিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এড়াতে পারে না। তিনি বলেন, দিন দিন রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে তাতে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা যোগাযোগের পথ ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে আসছে।
এছাড়া ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের চেয়ারম্যান আলী রিয়াজ বলেছেন, ২০১৪ সালে বাংলাদেশের গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার একটি বড় সুযোগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হাতছাড়া করেছে। ফলে ২০১৫ সালের এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির দায় তারা এড়াতে পারে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ‘বাংলাদেশের সংকট: রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় উগ্রপন্থা’ শীর্ষক এক শুনানিতে ম্যাট স্যামন ও আলী রিয়াজ এই মন্তব্য করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলবিষয়ক এই উপ-কমিটি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি কমিটি। খবর ইউএনবির।
শুনানিতে ম্যাট স্যামন বলেন, ‘যদিও দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত; তবে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে এবং এতে বিপুলসংখ্যক নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।’ তিনি বলেন, এই ব্যাপারটিকে যথার্থ গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া না হলে দেশটিতে বারবার কট্টর ইসলামপন্থীদের সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকবে।
ম্যাট স্যামন বলেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণে কর্মী সংগ্রহ করছে। এটি দমনে ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় তার আঞ্চলিক সহযোগীদের কাছ থেকে আরও সহযোগিতা আশা করছে।
শুনানিতে অংশগ্রহণকারী হিসেবে আরও ছিলেন এশিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো লিসা কার্টিজ এবং হিন্দু-আমেরিকান ফাউন্ডেশনের সরকার বিষয়ক পরিচালক জয় কানসারা।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে আলী রিয়াজ বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে দেশজুড়ে সংঘর্ষ হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই নির্বাচনের পরে বাংলাদেশের সংকট সমাধানের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগের অভাব ছিল।
আলী রিয়াজ বলেন, ওই নির্বাচনের পর পুরো ২০১৪ সাল জুড়ে বাংলাদেশে যে শান্ত অবস্থা ছিল তার সদ্ব্যবহারের সুযোগ শুধু ক্ষমতাসীনরাই হাতছাড়া করেনি বরং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার সুযোগটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে ২০১৫ সালে সৃষ্ট রাজনৈতিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এড়াতে পারে না। তিনি বলেন, দিন দিন রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে তাতে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা যোগাযোগের পথ ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে আসছে।
No comments