ঘা শুকিয়েছে, ব্যথা সারেনি
ভিয়েতনাম
যুদ্ধ শেষ হয়েছে আজ থেকে ৪০ বছর আগে। দিনটি ছিল ১৯৭৫ সালের ৩০ এপ্রিল।
১৯৫৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে শুরু করে ১৯ বছর ৫ মাস ৪ সপ্তাহ ১ দিন পর্যন্ত
স্থায়ী হয় এই যুদ্ধ।
প্রায় দুই যুগ স্থায়ী এ যুদ্ধে প্রাণ হারায় ভিয়েতনামের ৩০ লাখ লোক (নিহতের সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত আছে)। যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮ হাজার সেনা নিহত হয়। আধুনিক পরাশক্তির কোনো দেশের জন্য তার সেনাদের এত বড় প্রাণহানির ঘটনা বিশ্বে এটিই প্রথম। এছাড়া পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র কোনো একটি পক্ষে যুদ্ধ করে হেরে যাওয়ার নজিরও ভিয়েতনাম যুদ্ধ।
সেদিনের সেই দগদগে ঘা শুকিয়ে গেলেও ব্যথা আজও মরেনি। হানাদার যুক্তরাষ্ট্র এখন ভিয়েতনামের বন্ধু হয়েছে। তবুও সন্দেহ ঘোচেনি। যুদ্ধবার্ষিকীতে রি রি করে ওঠে অতীতের দুঃসহ বেদনা। বৃহস্পতিবার ভিয়েতনাম যুদ্ধের ৪০ বছর পূর্ণ হয়েছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধ শেষের ৪০ বছর পূর্তিতে হো চিন মিন সিটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী এনগুয়েন তান দুং বলেছেন, ‘অগণিত বর্বর অপরাধ’ করে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এ অপরাধে অপরিমেয় ক্ষতি হয়েছে ভিয়েতনামের এবং যে যন্ত্রণা আজও বয়ে চলেছে ভিয়েতনামিরা, তা অমার্জনীয়। তাদের কারণে আমাদের সীমাহীন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে।’ উত্তর ভিয়েতনামের যোদ্ধাদের দমনে জঙ্গলে তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র যে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তার প্রভাব আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে ভিয়েতনামিদের। মার্কিন বিমান থেকে ছিটানো ডাই-অক্সিন এজেন্ট অরেঞ্জের প্রভাব এখনও মানুষের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এই ক্ষত ভোলার মতো নয়।
১৯৫০-এর দশকের শেষ বছরগুলোতে উত্তর ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ ভিয়েতনামের সংঘর্ষ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। তথাকথিত গণতন্ত্রকামী দক্ষিণ ভিয়েতনামের পক্ষে অবস্থান নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। ফ্রান্স এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করে। আর উত্তর ভিয়েতনামের পক্ষে দাঁড়ায় চীন, রাশিয়া ও বিশ্বের বাম ঘরানার রাষ্ট্রগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের এই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার স্লোগান ছিল- ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’। কিন্তু এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এবং চীনের প্রভাব বলয় ভেঙে দিয়ে আধিপত্য বিস্তার করা। ভিয়েতনাম চীনের নাকের ডগার একটি দেশ। এ অঞ্চলে রাশিয়ারও প্রভাব রয়েছে। যুদ্ধে লাওস ও কম্বোডিয়াও জড়িয়ে পড়ে। ভিয়েতনাম যুদ্ধ পরিচিত হয় ‘আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ’ হিসেবে। এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র পরাজিত হয়। ৩০ এপ্রিল ১৯৭৫ সালে ভিয়েতনাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ সেনারাও চলে যায়। পতন হয় সাইগনের (যা বর্তমানে হো চি মিন সিটি)। তবে উত্তর ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ ভিয়েতনাম একসঙ্গে যুক্ত হয়নি সেদিন। কমিউনিস্টপন্থী দুটি পৃথক দেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে। অবশ্য পরের বছর দুই ভিয়েতনাম এক হয়ে যায়। এই এক হয়ে ওঠার জন্য লাখো ভিয়েতনামির রক্ত ঝরেছে, প্রাণ গেছে। কিন্তু যুদ্ধ শেষের ৪০ বছর পর এসেও ভিয়েতনামিরা ভুলতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের বর্বরতাকে।
প্রায় দুই যুগ স্থায়ী এ যুদ্ধে প্রাণ হারায় ভিয়েতনামের ৩০ লাখ লোক (নিহতের সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত আছে)। যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮ হাজার সেনা নিহত হয়। আধুনিক পরাশক্তির কোনো দেশের জন্য তার সেনাদের এত বড় প্রাণহানির ঘটনা বিশ্বে এটিই প্রথম। এছাড়া পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র কোনো একটি পক্ষে যুদ্ধ করে হেরে যাওয়ার নজিরও ভিয়েতনাম যুদ্ধ।
সেদিনের সেই দগদগে ঘা শুকিয়ে গেলেও ব্যথা আজও মরেনি। হানাদার যুক্তরাষ্ট্র এখন ভিয়েতনামের বন্ধু হয়েছে। তবুও সন্দেহ ঘোচেনি। যুদ্ধবার্ষিকীতে রি রি করে ওঠে অতীতের দুঃসহ বেদনা। বৃহস্পতিবার ভিয়েতনাম যুদ্ধের ৪০ বছর পূর্ণ হয়েছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধ শেষের ৪০ বছর পূর্তিতে হো চিন মিন সিটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী এনগুয়েন তান দুং বলেছেন, ‘অগণিত বর্বর অপরাধ’ করে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এ অপরাধে অপরিমেয় ক্ষতি হয়েছে ভিয়েতনামের এবং যে যন্ত্রণা আজও বয়ে চলেছে ভিয়েতনামিরা, তা অমার্জনীয়। তাদের কারণে আমাদের সীমাহীন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে।’ উত্তর ভিয়েতনামের যোদ্ধাদের দমনে জঙ্গলে তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র যে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তার প্রভাব আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে ভিয়েতনামিদের। মার্কিন বিমান থেকে ছিটানো ডাই-অক্সিন এজেন্ট অরেঞ্জের প্রভাব এখনও মানুষের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এই ক্ষত ভোলার মতো নয়।
১৯৫০-এর দশকের শেষ বছরগুলোতে উত্তর ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ ভিয়েতনামের সংঘর্ষ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। তথাকথিত গণতন্ত্রকামী দক্ষিণ ভিয়েতনামের পক্ষে অবস্থান নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। ফ্রান্স এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করে। আর উত্তর ভিয়েতনামের পক্ষে দাঁড়ায় চীন, রাশিয়া ও বিশ্বের বাম ঘরানার রাষ্ট্রগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের এই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার স্লোগান ছিল- ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’। কিন্তু এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এবং চীনের প্রভাব বলয় ভেঙে দিয়ে আধিপত্য বিস্তার করা। ভিয়েতনাম চীনের নাকের ডগার একটি দেশ। এ অঞ্চলে রাশিয়ারও প্রভাব রয়েছে। যুদ্ধে লাওস ও কম্বোডিয়াও জড়িয়ে পড়ে। ভিয়েতনাম যুদ্ধ পরিচিত হয় ‘আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ’ হিসেবে। এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র পরাজিত হয়। ৩০ এপ্রিল ১৯৭৫ সালে ভিয়েতনাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ সেনারাও চলে যায়। পতন হয় সাইগনের (যা বর্তমানে হো চি মিন সিটি)। তবে উত্তর ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ ভিয়েতনাম একসঙ্গে যুক্ত হয়নি সেদিন। কমিউনিস্টপন্থী দুটি পৃথক দেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে। অবশ্য পরের বছর দুই ভিয়েতনাম এক হয়ে যায়। এই এক হয়ে ওঠার জন্য লাখো ভিয়েতনামির রক্ত ঝরেছে, প্রাণ গেছে। কিন্তু যুদ্ধ শেষের ৪০ বছর পর এসেও ভিয়েতনামিরা ভুলতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের বর্বরতাকে।
No comments