পশ্চিমা উদ্বেগে বিচলিত নয় সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সিটি
নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপি তদন্তে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের ফোনসহ
পশ্চিমা দেশগুলোর অব্যাহত উদ্বেগে সরকার বিচলিত নয় বলে জানিয়েছেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে তিনি বলেছেন, পশ্চিমা দেশ ও
সংস্থাগুলোর পরামর্শে ভবিষ্যতের নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম চালুর
বিষয়টি সরকার সক্রিয় বিবেচনায় রেখেছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ফরেন
অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে
মন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিন সিটির নির্বাচনে
অনিয়ম এবং বিএনপির বর্জনের ঘটনায় অসন্তোষের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ
বেশ ক’টি দেশ। উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছেন স্বয়ং জাতিসংঘের
মহাসচিব। প্রশ্নবিদ্ধ ওই নির্বাচন নিয়ে সমালোচনায় মুখর মার্কিন কংগ্রেসও।
তবে এ নিয়ে সরকার যে খুব চিন্তিত মন্ত্রীর কথায় সেটি পাওয়া যায়নি। সেখানে
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে উগ্রবাদ মাথা চাড়া দিতে পারে এমন আশঙ্কাও নাকচ
করেন মন্ত্রী মাহমুদ আলী। তিনি সরকারের অবস্থানের পক্ষে পাল্টা যুক্তি
উত্থাপন করে বলেন, এ নিয়ে আমরা বিচলিত নই- কারণ বিএনপির নির্বাচন থেকে সরে
যাওয়ার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করছিল। এটি পূর্বপরিকল্পিত, এটা তাদের
কৌশলও। মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারম্যান ২৮শে এপ্রিলের
নির্বাচনের ঠিক পরপরই বাংলাদেশ সফরে আসেন। তার সফরের সঙ্গে নির্বাচনের কোন
সম্পর্ক আছে কিনা এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, না, নির্বাচনের
সঙ্গে সফরের কোন সম্পর্ক নেই। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং সিস্টেম প্রসঙ্গে মন্ত্রী
বলেন, এটা খুবই দরকার। ডিজিটাল বিষয়টাকে বাংলাদেশ খুব ভালোভাবে নিয়েছে।
আমার মনে হয় সেটাও সমাদৃত হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের
স্পাউসদের বৈশাখী ওই আয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব ছাড়াও
দেশী-বিদেশী কূটনীতিক সপরিবারে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে অনেক বিদেশী দূত
বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়েছিলেন তারা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও
উপভোগ করেন। বর্ষবরণের এমন আয়োজনে দেশী-বিদেশী কূটনীতিকদের মেলবন্ধন
পারস্পরিক সম্পর্কে আরও জোরদার করবে বলে আশা করেন আয়োজকরা।
No comments