নারায়ণগঞ্জে সাত খুন- ছোট্ট রোজার দিন কাটে না by আসিফ হোসেন
বাবা জাহাঙ্গীরের ছবির পাশে ছোট্ট রোজা l ছবি: প্রথম আলো |
স্বামী
পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার তিন মাস পর শামসুন নাহার নূপুরের কোল আলোকিত করে
পৃথিবীতে আসে রোজা। সেই ছোট্ট মেয়ে রোজার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন নূপুর
গতকাল বৃহস্পতিবার স্বামী হারানোর এক বছর পূর্তির দিনটি স্মরণ করে চোখের
পানি ফেললেন।
নূপুরের স্বামী জাহাঙ্গীর ছিলেন গাড়িচালক। মাত্র ১১ মাসের দাম্পত্য জীবনের শেষ দিনটি ছিল গত বছরের ২৭ এপ্রিল। ওই দিন নারায়ণগঞ্জে প্যানেল মেয়র নজরুলসহ গুম হওয়া সাতজনের একজন ছিলেন জাহাঙ্গীর। তিনি ছিলেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান খানের ব্যক্তিগত গাড়িচালক। ওই গাড়িতে চড়েই নারায়ণগঞ্জের আদালত থেকে বেরিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন নজরুলসহ পাঁচজন।
স্বামীর গুম হওয়ার খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন নূপুর। তবে আশা ছিল স্বামীকে ফিরে পাবেন। কিন্তু ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাঙ্গীরসহ ছয়জনের এবং পরদিন একজনের লাশ ভেসে ওঠে। নূপুরের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জাহাঙ্গীরের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। তিন মাস পর একই হাসপাতালে জন্ম নেয় রোজা। এই রোজার জীবনে এখন নেমে এসেছে ভয়াবহ অনিশ্চয়তা।
সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী উত্তরপাড়া এলাকায় গিয়ে খুব একটা বেগ পেতে হয় না জাহাঙ্গীরের বাড়ি খুঁজতে। লোকজনকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দেয় বাড়িটি। সেখানে গিয়ে পাওয়া গেল জাহাঙ্গীরের মা, স্ত্রী ও ছোট্ট রোজাকে।
নূপুর বলেন, ‘বাবার সাথে রোজার দেখা হয়নি। কখনো আর হবেও না কোনো দিন। তার পরও বাবার ছবি সামনে নিলেই অস্পষ্ট ভাষায় বাবাকে কি যেন বলতে চায় রোজা।’ এটুকু বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নূপুর। তিনি বলেন, বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক, তাকে ডাক্তার বানাবে। সকাল সাতটা থেকে বিকেল ছয়টা পর্যন্ত পোশাক কারখানায় হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে মাসে ছয় হাজার টাকা পারিশ্রমিক পান তিনি। তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরপরই নিহত ব্যক্তিদের পরিবার দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
নূপুর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তো আছি।’ কিন্তু গত এক বছর তাঁর কাছ থেকে আর কোনো ডাক পাননি তাঁরা।
স্বামীর কথা স্মরণ করতে গিয়ে নূপুর বলেন, শেষ দিনটিতে ব্যস্ততার কারণে সকালের নাশতা না খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। আর্থিক কষ্টের কারণে বিয়ের পর শখ কিংবা বিলাসিতা বলে তাঁর জীবনে কিছুই আসেনি। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে দু-একজন ছাড়া আর সবাই শুধু আশ্বাসের কথা শুনিয়েছেন।
তিনি বলেন, মেয়ে বড় হলে হয়তো জিজ্ঞেস করবে, তার বাবা কেমন ছিল? এ নিয়েও শঙ্কিত নূপুর। মেয়ে যখন শুনবে তার বাবাকে র্যা ব মেরে ফেলেছে, তখন হয়তো বাবাকে সে খারাপ মানুষ ভাববে। কিন্তু নূপুর তো জানেন অযথাই র্যা বের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছিল তাঁর স্বামীকে।
জাহাঙ্গীরের মা মেহেরুন নেসা তাঁর নিরপরাধ ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। মা নূপুর দিনের প্রায় ১২ ঘণ্টা পোশাক কারখানায় কাজে ব্যস্ত থাকেন। ছোট্ট রোজার দিনগুলো কাটে দাদির সঙ্গেই। রোজার কথা বলতে গিয়ে দাদি মেহেরুন নেসা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। শুধু রোজার সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা চাইলেন তিনি।
নূপুরের স্বামী জাহাঙ্গীর ছিলেন গাড়িচালক। মাত্র ১১ মাসের দাম্পত্য জীবনের শেষ দিনটি ছিল গত বছরের ২৭ এপ্রিল। ওই দিন নারায়ণগঞ্জে প্যানেল মেয়র নজরুলসহ গুম হওয়া সাতজনের একজন ছিলেন জাহাঙ্গীর। তিনি ছিলেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান খানের ব্যক্তিগত গাড়িচালক। ওই গাড়িতে চড়েই নারায়ণগঞ্জের আদালত থেকে বেরিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন নজরুলসহ পাঁচজন।
স্বামীর গুম হওয়ার খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন নূপুর। তবে আশা ছিল স্বামীকে ফিরে পাবেন। কিন্তু ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাঙ্গীরসহ ছয়জনের এবং পরদিন একজনের লাশ ভেসে ওঠে। নূপুরের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জাহাঙ্গীরের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। তিন মাস পর একই হাসপাতালে জন্ম নেয় রোজা। এই রোজার জীবনে এখন নেমে এসেছে ভয়াবহ অনিশ্চয়তা।
সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী উত্তরপাড়া এলাকায় গিয়ে খুব একটা বেগ পেতে হয় না জাহাঙ্গীরের বাড়ি খুঁজতে। লোকজনকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দেয় বাড়িটি। সেখানে গিয়ে পাওয়া গেল জাহাঙ্গীরের মা, স্ত্রী ও ছোট্ট রোজাকে।
নূপুর বলেন, ‘বাবার সাথে রোজার দেখা হয়নি। কখনো আর হবেও না কোনো দিন। তার পরও বাবার ছবি সামনে নিলেই অস্পষ্ট ভাষায় বাবাকে কি যেন বলতে চায় রোজা।’ এটুকু বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নূপুর। তিনি বলেন, বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক, তাকে ডাক্তার বানাবে। সকাল সাতটা থেকে বিকেল ছয়টা পর্যন্ত পোশাক কারখানায় হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে মাসে ছয় হাজার টাকা পারিশ্রমিক পান তিনি। তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরপরই নিহত ব্যক্তিদের পরিবার দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
নূপুর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তো আছি।’ কিন্তু গত এক বছর তাঁর কাছ থেকে আর কোনো ডাক পাননি তাঁরা।
স্বামীর কথা স্মরণ করতে গিয়ে নূপুর বলেন, শেষ দিনটিতে ব্যস্ততার কারণে সকালের নাশতা না খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। আর্থিক কষ্টের কারণে বিয়ের পর শখ কিংবা বিলাসিতা বলে তাঁর জীবনে কিছুই আসেনি। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে দু-একজন ছাড়া আর সবাই শুধু আশ্বাসের কথা শুনিয়েছেন।
তিনি বলেন, মেয়ে বড় হলে হয়তো জিজ্ঞেস করবে, তার বাবা কেমন ছিল? এ নিয়েও শঙ্কিত নূপুর। মেয়ে যখন শুনবে তার বাবাকে র্যা ব মেরে ফেলেছে, তখন হয়তো বাবাকে সে খারাপ মানুষ ভাববে। কিন্তু নূপুর তো জানেন অযথাই র্যা বের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছিল তাঁর স্বামীকে।
জাহাঙ্গীরের মা মেহেরুন নেসা তাঁর নিরপরাধ ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। মা নূপুর দিনের প্রায় ১২ ঘণ্টা পোশাক কারখানায় কাজে ব্যস্ত থাকেন। ছোট্ট রোজার দিনগুলো কাটে দাদির সঙ্গেই। রোজার কথা বলতে গিয়ে দাদি মেহেরুন নেসা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। শুধু রোজার সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা চাইলেন তিনি।
No comments