যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে সাড়া ফেলেছেন আমরান
নির্বাচনী প্রচারে আমরান হোসাইন। ছবি: প্রথম আলো |
বয়স
মাত্র ২৯। এই বয়সে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লেবার দলের হয়ে এমপি
পদে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমরান হোসাইন। এত অল্প বয়সে দলীয় টিকিট
আদায় করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেওয়া এই তরুণ এবার প্রচারেও সাড়া ফেলেছেন।
নর্থ ইস্ট হ্যাম্পশায়ার আসনে নির্বাচন করছেন আমরান। আসনটি কনজারভেটিভ দলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। গতবার এখানে লেবার দলের অবস্থান ছিল তৃতীয়। এবার আমরানের চ্যালেঞ্জ দলের ভোট বাড়িয়ে নিজেকে প্রমাণ করা। লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছেন তিনি। নির্বাচিত হলে বেতনের ২৫ শতাংশ অর্থ স্থানীয় বাসিন্দাদের কল্যাণে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়ে ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছেন আমরান।
আগামী বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে দেশটির প্রধান তিনটি দল থেকে মোট ১১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী এমপি পদে লড়ছেন। তাঁদের মধ্যে লেবার দল থেকে সাতজন, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দল থেকে তিনজন এবং কনজারভেটিভ দল থেকে একজন মনোনয়ন পেয়েছেন। এই ১১ প্রার্থীর মধ্যে অক্সফোর্ড পড়ুয়া আমরান বয়সে সবচেয়ে তরুণ। গত ২৮ মার্চ তাঁর দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়।
যুক্তরাজ্যে জন্ম নেওয়া আমরানের আদি নিবাস বাংলাদেশের সিলেটের গোলাপগঞ্জে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়ালেখা করা আমরান এনএইচএস (জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা) ইংল্যান্ড শাখার ন্যাশনাল ডেলিভারি অফিসার। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত আছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনীর একজন রিজার্ভ সৈনিক।
২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বারাক ওবামার নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন এই তরুণ। একই বছর লন্ডনে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে সেরা স্বেচ্ছাসেবক হন আমরান।
রাজনীতিতে আসার কারণ জানতে চাইলে প্রথম আলোকে আমরান বলেন, মানুষের বিপদে পাশে থাকা এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করার শিক্ষা পরিবার থেকেই পেয়েছেন তিনি। রাজনীতির প্রতি আগ্রহের শুরুটাও সেখান থেকে।
আমরানের ভাষ্য, এনএইচএস এর একজন কর্মী হিসেবে তিনি ভালো করেই জানেন গত টোরি সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি কীভাবে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার মূল্যবোধকে নষ্ট করেছে। দেশের অন্যান্য এলাকার মতো তাঁর নির্বাচনী এলাকায়ও সরকারের বেপরোয়া খরচ কাটছাঁট নীতি মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়েছে।
আমরানের বিশ্বাস, একমাত্র লেবার পার্টিই যুক্তরাজ্যের কর্মজীবী ও স্বল্প আয়ের মানুষের কল্যাণে কাজ করে।
২০১০ সালের নির্বাচনে নর্থ ইস্ট হ্যাম্পশায়ার আসনে কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী ৩২ হাজার ৭৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের প্রার্থী পেয়েছিলেন ১৩ হাজার ৪৭৮ ভোট। আর মাত্র পাঁচ হাজার ১৭৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন লেবার দলের প্রার্থী।
আসনটিতে দলের এই অতীত অবস্থান নিয়ে মোটেও শঙ্কিত নন আমরান। এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দলের এবং নিজের পরিকল্পনা জানিয়েছেন।
রাজনীতি সম্পর্কে এই তরুণের অভিমত, ‘রাজনীতিবিদেরা যা চাইবেন তা নয়, বরং জনগণ যা চাইবেন, তা-ই করবেন রাজনীতিবিদেরা।’
নিজের এমন বিশ্বাসের প্রতি ভোটাররা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলে দাবি আমরানের। এ বিষয়টি তাঁকে বেশ আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে জানিয়ে আমরান বলেন, ‘জয়ের লক্ষ্য নিয়েই তাঁর প্রচার চলছে।’
নর্থ ইস্ট হ্যাম্পশায়ার আসনে ১৯৯৭ সাল থেকে এমপি ছিলেন কনজারভেটিভ দলের জেমস আরবুথট। তিনি অবসর নেওয়ায় আসনটিতে এবার কনজারভেটিভ দল রনিল জয়বার্ধেনাকে মনোনয়ন দিয়েছে। লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের হয়ে লড়ছেন গ্রাহাম ককরিল। এ ছাড়া এই আসনে ইউকে ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টি (ইউকিপ) ও গ্রিন পার্টিরও প্রার্থী রয়েছে। আসনটিতে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭৫ হাজার।
নর্থ ইস্ট হ্যাম্পশায়ার আসনে নির্বাচন করছেন আমরান। আসনটি কনজারভেটিভ দলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। গতবার এখানে লেবার দলের অবস্থান ছিল তৃতীয়। এবার আমরানের চ্যালেঞ্জ দলের ভোট বাড়িয়ে নিজেকে প্রমাণ করা। লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছেন তিনি। নির্বাচিত হলে বেতনের ২৫ শতাংশ অর্থ স্থানীয় বাসিন্দাদের কল্যাণে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়ে ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছেন আমরান।
আগামী বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে দেশটির প্রধান তিনটি দল থেকে মোট ১১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী এমপি পদে লড়ছেন। তাঁদের মধ্যে লেবার দল থেকে সাতজন, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দল থেকে তিনজন এবং কনজারভেটিভ দল থেকে একজন মনোনয়ন পেয়েছেন। এই ১১ প্রার্থীর মধ্যে অক্সফোর্ড পড়ুয়া আমরান বয়সে সবচেয়ে তরুণ। গত ২৮ মার্চ তাঁর দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়।
যুক্তরাজ্যে জন্ম নেওয়া আমরানের আদি নিবাস বাংলাদেশের সিলেটের গোলাপগঞ্জে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়ালেখা করা আমরান এনএইচএস (জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা) ইংল্যান্ড শাখার ন্যাশনাল ডেলিভারি অফিসার। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত আছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনীর একজন রিজার্ভ সৈনিক।
২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বারাক ওবামার নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন এই তরুণ। একই বছর লন্ডনে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে সেরা স্বেচ্ছাসেবক হন আমরান।
রাজনীতিতে আসার কারণ জানতে চাইলে প্রথম আলোকে আমরান বলেন, মানুষের বিপদে পাশে থাকা এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করার শিক্ষা পরিবার থেকেই পেয়েছেন তিনি। রাজনীতির প্রতি আগ্রহের শুরুটাও সেখান থেকে।
আমরানের ভাষ্য, এনএইচএস এর একজন কর্মী হিসেবে তিনি ভালো করেই জানেন গত টোরি সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি কীভাবে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার মূল্যবোধকে নষ্ট করেছে। দেশের অন্যান্য এলাকার মতো তাঁর নির্বাচনী এলাকায়ও সরকারের বেপরোয়া খরচ কাটছাঁট নীতি মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়েছে।
আমরানের বিশ্বাস, একমাত্র লেবার পার্টিই যুক্তরাজ্যের কর্মজীবী ও স্বল্প আয়ের মানুষের কল্যাণে কাজ করে।
২০১০ সালের নির্বাচনে নর্থ ইস্ট হ্যাম্পশায়ার আসনে কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী ৩২ হাজার ৭৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের প্রার্থী পেয়েছিলেন ১৩ হাজার ৪৭৮ ভোট। আর মাত্র পাঁচ হাজার ১৭৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন লেবার দলের প্রার্থী।
আসনটিতে দলের এই অতীত অবস্থান নিয়ে মোটেও শঙ্কিত নন আমরান। এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দলের এবং নিজের পরিকল্পনা জানিয়েছেন।
রাজনীতি সম্পর্কে এই তরুণের অভিমত, ‘রাজনীতিবিদেরা যা চাইবেন তা নয়, বরং জনগণ যা চাইবেন, তা-ই করবেন রাজনীতিবিদেরা।’
নিজের এমন বিশ্বাসের প্রতি ভোটাররা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলে দাবি আমরানের। এ বিষয়টি তাঁকে বেশ আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে জানিয়ে আমরান বলেন, ‘জয়ের লক্ষ্য নিয়েই তাঁর প্রচার চলছে।’
নর্থ ইস্ট হ্যাম্পশায়ার আসনে ১৯৯৭ সাল থেকে এমপি ছিলেন কনজারভেটিভ দলের জেমস আরবুথট। তিনি অবসর নেওয়ায় আসনটিতে এবার কনজারভেটিভ দল রনিল জয়বার্ধেনাকে মনোনয়ন দিয়েছে। লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দলের হয়ে লড়ছেন গ্রাহাম ককরিল। এ ছাড়া এই আসনে ইউকে ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টি (ইউকিপ) ও গ্রিন পার্টিরও প্রার্থী রয়েছে। আসনটিতে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭৫ হাজার।
No comments