শিশুর ঘুম কেড়ে নিচ্ছে টিভি, ফোন, ইন্টারনেট
টিভি, ফোন ও ইন্টারনেটের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বড়দের পাশাপাশি শিশুদের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এগুলো শিশুদের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে। |
টিভি,
ফোন কিংবা ইন্টারনেট ছাড়া আধুনিক জীবনযাত্রা কল্পনাই করা যায় না। এগুলো
এখন জীবনযাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশেই পরিণত হয়েছে। কিন্তু টিভি, ফোন ও
ইন্টারনেটের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বড়দের পাশাপাশি শিশুদের ওপরও বিরূপ
প্রভাব ফেলছে। এগুলো শিশুদের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে দিনের
বেলা তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। কাজে মনোযোগ কমে যায়। সব মিলিয়ে
পড়ালেখা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ভারতের সফদারজং হাসপাতাল পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৫ বছর বয়সী অনেক শিশুই মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে থাকে। আর ১১ বছর বয়সী বেশির ভাগ শিশুই রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার আগে ঘুমাতে যায় না। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
শিশুরা রাত জাগলেও ঠিকই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হচ্ছে তাদের। কারণ বেশির ভাগ স্কুলেই সকাল আটটা থেকে ক্লাস শুরু হয়। এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে একজন গবেষক জানান, ৫০০টি স্কুলে গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, শিশুদের এক-তৃতীয়াংশই দিনের বেলা ঝিমোয় এবং ছুটির দিনে মাত্রাতিরিক্ত ঘুমায়। তারা ঠিকমতো স্কুলে যায় না। পড়ালেখায় ভালো করতে পারে না। দিনের বেলা তারা সতেজ থাকতে পারে না। সারা দিন বিরক্তিকর অনুভূতি কাজ করে তাদের ভেতর।
কেবল ভারতেই নয়, যুক্তরাষ্ট্রেও একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। সম্প্রতি দেশটিতে একটি জরিপ পরিচালনা করে ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিও। জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মোট শিশুর অর্ধেকেরও কমসংখ্যক শিশু পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ঘুমায়। দীর্ঘদিন ঘুমের ঘাটতির কারণে শিশুরা পড়ালেখাসহ অন্যান্য কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারছে না। পরীক্ষার ফলাফল খারাপ করছে। সম্প্রতি স্কুলের ক্লাস শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেড্রিয়াট্রিকস।
এদিকে সফদারজং হাসপাতালের স্লিপ মেডিসিন বিভাগের প্রধান ড. জে সি সুরিও স্কুলের ক্লাস শুরুর সময় পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব কাটানোর জন্য স্কুলের ক্লাস শুরুর সময় পিছিয়ে দেওয়াই একমাত্র পথ বলে আমি মনে করছি। কারণ ইন্টারনেট কিংবা মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে পারেন না আপনি। শিগগির আমরা দিল্লি স্কুলকে ক্লাস শুরুর সময় পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেব। শিশুদের স্বাস্থ্য এবং পড়ালেখার মানোন্নয়নে জন্যই এমনটা করব আমরা।
দিল্লির একটি ইন্টারনেট ডি-অ্যাডিকশন সেন্টারের কর্ণধার রাহুল ভার্মা বলেন, পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও এখন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং হাইক-এর মতো অ্যাপ ব্যবহার করছে। ইন্টারনেটে আসক্তির কারণে তাদের পড়ালেখা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে-বিষয়টি তাদের বোঝান বেশ কঠিন।
এদিকে শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করার জন্য অভিভাবকদের সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক মনবীর ভাটিয়া। তাঁর মতে, ‘আমরা দেখেছি, অভিভাবকেরা শিশুদের ঘুমাতে যাওয়ার কথা বলে নিজেরা রাত জেগে টিভি দেখেন। তাঁদের সঙ্গে শিশুরাও টিভি দেখে কিংবা রাত জেগে গল্প করে। শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করার জন্য অভিভাবকদের সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।’
ভারতের সফদারজং হাসপাতাল পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৫ বছর বয়সী অনেক শিশুই মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে থাকে। আর ১১ বছর বয়সী বেশির ভাগ শিশুই রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার আগে ঘুমাতে যায় না। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
শিশুরা রাত জাগলেও ঠিকই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হচ্ছে তাদের। কারণ বেশির ভাগ স্কুলেই সকাল আটটা থেকে ক্লাস শুরু হয়। এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে একজন গবেষক জানান, ৫০০টি স্কুলে গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, শিশুদের এক-তৃতীয়াংশই দিনের বেলা ঝিমোয় এবং ছুটির দিনে মাত্রাতিরিক্ত ঘুমায়। তারা ঠিকমতো স্কুলে যায় না। পড়ালেখায় ভালো করতে পারে না। দিনের বেলা তারা সতেজ থাকতে পারে না। সারা দিন বিরক্তিকর অনুভূতি কাজ করে তাদের ভেতর।
কেবল ভারতেই নয়, যুক্তরাষ্ট্রেও একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। সম্প্রতি দেশটিতে একটি জরিপ পরিচালনা করে ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিও। জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মোট শিশুর অর্ধেকেরও কমসংখ্যক শিশু পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ঘুমায়। দীর্ঘদিন ঘুমের ঘাটতির কারণে শিশুরা পড়ালেখাসহ অন্যান্য কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারছে না। পরীক্ষার ফলাফল খারাপ করছে। সম্প্রতি স্কুলের ক্লাস শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেড্রিয়াট্রিকস।
এদিকে সফদারজং হাসপাতালের স্লিপ মেডিসিন বিভাগের প্রধান ড. জে সি সুরিও স্কুলের ক্লাস শুরুর সময় পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব কাটানোর জন্য স্কুলের ক্লাস শুরুর সময় পিছিয়ে দেওয়াই একমাত্র পথ বলে আমি মনে করছি। কারণ ইন্টারনেট কিংবা মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে পারেন না আপনি। শিগগির আমরা দিল্লি স্কুলকে ক্লাস শুরুর সময় পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেব। শিশুদের স্বাস্থ্য এবং পড়ালেখার মানোন্নয়নে জন্যই এমনটা করব আমরা।
দিল্লির একটি ইন্টারনেট ডি-অ্যাডিকশন সেন্টারের কর্ণধার রাহুল ভার্মা বলেন, পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও এখন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং হাইক-এর মতো অ্যাপ ব্যবহার করছে। ইন্টারনেটে আসক্তির কারণে তাদের পড়ালেখা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে-বিষয়টি তাদের বোঝান বেশ কঠিন।
এদিকে শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করার জন্য অভিভাবকদের সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক মনবীর ভাটিয়া। তাঁর মতে, ‘আমরা দেখেছি, অভিভাবকেরা শিশুদের ঘুমাতে যাওয়ার কথা বলে নিজেরা রাত জেগে টিভি দেখেন। তাঁদের সঙ্গে শিশুরাও টিভি দেখে কিংবা রাত জেগে গল্প করে। শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করার জন্য অভিভাবকদের সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।’
No comments