অগ্রহণযোগ্য সিটি নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনই খলনায়ক

অন্যদিকে, সবার জন্য সমতল মাঠ তৈরি করে দিতে তারা ন্যূনতম উদ্যোগ নিতেও ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, একটি দীর্ঘ সহিংস হরতাল–অবরোধের পটভূমিতে সমতল মাঠ করে দিতে হলে ইসির তরফে অনেক সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ডে বরাবরই ক্ষমতাসীনদের তোষণের মনোভাব লক্ষ করা গেছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়িবহর বিষয়ে তারা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনলেও তাঁর ওপর পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার বিষয়ে তারা রহস্যজনক কারণে নীরব থেকেছে। ভোটের দিনে ব্যতিক্রম বাদে অধিকাংশ কেন্দ্রে বিএনপিদলীয় নির্বাচনী এজেন্টরা অনুপস্থিত ছিলেন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রায় সর্বত্র সরকারদলীয় সমর্থকদের মহড়া ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
দায়দায়িত্ব যাঁরই কমবেশি হোক না কেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া থেকে বহু দূরে। নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সরকারি দলকেও এর দায় নিতে হবে। নির্বাচন বর্জন করার ডাক কিংবা যেকোনো মূল্যে জয়লাভের চেষ্টা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। অসুস্থ রাজনীতি ও অশিষ্ট নির্বাচনের এই ধারা থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই নির্বাচনে যে–ই জয়ী হোক না কেন পরাজিত হয়েছে গণতন্ত্র।
No comments