অগ্রহণযোগ্য সিটি নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনই খলনায়ক
গণতান্ত্রিক
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক অনুশীলনের ঘাটতি থাকলে যে অবাধ ও সুষ্ঠু
নির্বাচন হতে পারে না, তা আবারও প্রমাণিত হলো। তিন সিটি করপোরেশন
নির্বাচনকে ঘিরে জনসাধারণের মধ্যে যে প্রত্যাশা জেগেছিল, নির্বাচন কমিশন,
প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও ক্ষমতাসীন দলের অতি-উৎসাহী কর্মীদের
স্বেচ্ছাচারিতায় সেটি নস্যাৎ হয়ে গেছে। সিটি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে
ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি না ঘটার কারণ নির্বাচনকেন্দ্রিক নানামুখী
হুমকিধমকি ও জবরদস্তি। বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের
হয়রানি করার ক্ষেত্রে বল্গাহীন মনোভাব দেখিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায়
নির্বাচন কমিশনও চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার
মুখে সংশ্লিষ্টদের ‘কঠোর নির্দেশ’ দেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে কমিশনের
ভূমিকা ছিল খলনায়কের। নির্বাচন কমিশন সেনা মোতায়েন নিয়ে যে স্ববিরোধী
সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে জনমনে শঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।
অন্যদিকে, সবার জন্য সমতল মাঠ তৈরি করে দিতে তারা ন্যূনতম উদ্যোগ নিতেও ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, একটি দীর্ঘ সহিংস হরতাল–অবরোধের পটভূমিতে সমতল মাঠ করে দিতে হলে ইসির তরফে অনেক সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ডে বরাবরই ক্ষমতাসীনদের তোষণের মনোভাব লক্ষ করা গেছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়িবহর বিষয়ে তারা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনলেও তাঁর ওপর পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার বিষয়ে তারা রহস্যজনক কারণে নীরব থেকেছে। ভোটের দিনে ব্যতিক্রম বাদে অধিকাংশ কেন্দ্রে বিএনপিদলীয় নির্বাচনী এজেন্টরা অনুপস্থিত ছিলেন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রায় সর্বত্র সরকারদলীয় সমর্থকদের মহড়া ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
দায়দায়িত্ব যাঁরই কমবেশি হোক না কেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া থেকে বহু দূরে। নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সরকারি দলকেও এর দায় নিতে হবে। নির্বাচন বর্জন করার ডাক কিংবা যেকোনো মূল্যে জয়লাভের চেষ্টা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। অসুস্থ রাজনীতি ও অশিষ্ট নির্বাচনের এই ধারা থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই নির্বাচনে যে–ই জয়ী হোক না কেন পরাজিত হয়েছে গণতন্ত্র।
অন্যদিকে, সবার জন্য সমতল মাঠ তৈরি করে দিতে তারা ন্যূনতম উদ্যোগ নিতেও ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, একটি দীর্ঘ সহিংস হরতাল–অবরোধের পটভূমিতে সমতল মাঠ করে দিতে হলে ইসির তরফে অনেক সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ডে বরাবরই ক্ষমতাসীনদের তোষণের মনোভাব লক্ষ করা গেছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়িবহর বিষয়ে তারা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনলেও তাঁর ওপর পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার বিষয়ে তারা রহস্যজনক কারণে নীরব থেকেছে। ভোটের দিনে ব্যতিক্রম বাদে অধিকাংশ কেন্দ্রে বিএনপিদলীয় নির্বাচনী এজেন্টরা অনুপস্থিত ছিলেন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রায় সর্বত্র সরকারদলীয় সমর্থকদের মহড়া ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
দায়দায়িত্ব যাঁরই কমবেশি হোক না কেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া থেকে বহু দূরে। নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সরকারি দলকেও এর দায় নিতে হবে। নির্বাচন বর্জন করার ডাক কিংবা যেকোনো মূল্যে জয়লাভের চেষ্টা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। অসুস্থ রাজনীতি ও অশিষ্ট নির্বাচনের এই ধারা থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই নির্বাচনে যে–ই জয়ী হোক না কেন পরাজিত হয়েছে গণতন্ত্র।
No comments