মনজুরের বাসায় নাছির, পরস্পরকে ‘বেয়াই’ সম্বোধন
সদ্য বিদায়ী মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের বাসায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। যাওয়ার সময় তিনি মনজুরের জন্য ফুল নিয়ে যান। ছবি: সৌরভ দাশ |
পরস্পরকে মিষ্টিমুখ করান তাঁরা। ছবি: সৌরভ দাশ |
মনজুর আলমের বাসায় ৪০ মিনিট কাটান নাছির। তাঁরা একে অন্যকে ‘বেয়াই’ বলে সম্বোধন করেন। ছবি: সৌরভ দাশ |
নগর পরিচালনায় সাবেক মেয়রের কাছে সাহায্য চান নতুন মেয়র। সাবেক মেয়রও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ছবি: সৌরভ দাশ |
সদ্য
বিদায়ী মেয়র ও নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ মনজুর আলমের
বাসায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের
নবনির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এ সময় তাঁরা একে অন্যকে ‘বেয়াই’
বলে সম্বোধন করেন। পরস্পরকে মিষ্টিমুখ করান ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। আজ
রোববার মনজুর আলমের বাসায় যান নাছির। সেখানে প্রায় ৪০ মিনিট কাটান তিনি।
বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে নগরের সিটি গেট এলাকায় অবস্থিত মনজুর আলমের বাসা মোস্তফা-হাকিম ভবনে যান নাছির। মনজুর আলমের দুই ছেলে নিজামুল আলম ও সাইফুল আলম আ জ ম নাছিরকে স্বাগত জানান। পরে তিনি মনজুর আলমের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় দুজনকেই হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে।
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আ জ ম নাছির ও মনজুর আলম। দায়িত্ব পালনকালে সাবেক মেয়রের সহযোগিতা নেবেন কি না জানতে চাইলে আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘অবশ্যই সাবেক মেয়রের সহযোগিতা চাইব। ওনার আগে দায়িত্ব পালনকারী মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীরও সহযোগিতা ও পরামর্শ নেব। নগর পরিচালনায় ওঁনাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেব।’
নতুন এই মেয়র বলেন, ‘এখন করপোরেশনের সামগ্রিক বিষয়ে অবহিত হওয়ার চেষ্টা করছি। যখন যেখানে প্রয়োজন নির্দ্বিধায় সাবেক মেয়রদের পরামর্শ নেওয়া হবে। চট্টগ্রাম নগর ও ৬০ লাখ নগরবাসীর জন্য এ সহযোগিতা নেওয়া হবে।’
মেয়রের দায়িত্ব কখন নিচ্ছেন জানতে চাইলে আ জ ম নাছির বলেন, এখানে ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনো বিষয় নেই। এ ব্যাপারে আইনি জটিলতা রয়েছে। যেহেতু আগের কাউন্সিলরদের মেয়াদ ২৫ জুলাই শেষ হবে, তাই সে পর্যন্ত তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে। এ ব্যাপারে তাঁর কোনো তাড়াহুড়া নেই বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছেন বলেও নাছির জানান।
বিদায়ী মেয়র মনজুর আলম বলেন, ‘গতবার নির্বাচিত হওয়ার একদিন পরেই সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় গিয়েছিলাম। এবার নাছির সাহেব আমার বাসায় এসেছেন। এই রীতি প্রচলন থাকলে আমাদের দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’
বর্তমান মেয়রকে সহযোগিতা করা প্রসঙ্গে মনজুর আলম বলেন, ‘নাছির সাহেব যদি প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে আমার পক্ষ থেকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করা হবে। করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমে আমার প্রায় দুই কোটি টাকার সরঞ্জাম রয়েছে। এগুলো ফেরত আনলে নাছির সাহেব অসুবিধায় পড়তে পারেন। নগরের উন্নয়নে বর্তমান মেয়রকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
সাবেক ও বর্তমান মেয়রের সৌজন্য সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এম এ লতিফ ও দিদারুল আলম, করপোরেশনের ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ, শ্রমিক নেতা সফর আলী প্রমুখ।
বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে নগরের সিটি গেট এলাকায় অবস্থিত মনজুর আলমের বাসা মোস্তফা-হাকিম ভবনে যান নাছির। মনজুর আলমের দুই ছেলে নিজামুল আলম ও সাইফুল আলম আ জ ম নাছিরকে স্বাগত জানান। পরে তিনি মনজুর আলমের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় দুজনকেই হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে।
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আ জ ম নাছির ও মনজুর আলম। দায়িত্ব পালনকালে সাবেক মেয়রের সহযোগিতা নেবেন কি না জানতে চাইলে আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘অবশ্যই সাবেক মেয়রের সহযোগিতা চাইব। ওনার আগে দায়িত্ব পালনকারী মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীরও সহযোগিতা ও পরামর্শ নেব। নগর পরিচালনায় ওঁনাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেব।’
নতুন এই মেয়র বলেন, ‘এখন করপোরেশনের সামগ্রিক বিষয়ে অবহিত হওয়ার চেষ্টা করছি। যখন যেখানে প্রয়োজন নির্দ্বিধায় সাবেক মেয়রদের পরামর্শ নেওয়া হবে। চট্টগ্রাম নগর ও ৬০ লাখ নগরবাসীর জন্য এ সহযোগিতা নেওয়া হবে।’
মেয়রের দায়িত্ব কখন নিচ্ছেন জানতে চাইলে আ জ ম নাছির বলেন, এখানে ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনো বিষয় নেই। এ ব্যাপারে আইনি জটিলতা রয়েছে। যেহেতু আগের কাউন্সিলরদের মেয়াদ ২৫ জুলাই শেষ হবে, তাই সে পর্যন্ত তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে। এ ব্যাপারে তাঁর কোনো তাড়াহুড়া নেই বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছেন বলেও নাছির জানান।
বিদায়ী মেয়র মনজুর আলম বলেন, ‘গতবার নির্বাচিত হওয়ার একদিন পরেই সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় গিয়েছিলাম। এবার নাছির সাহেব আমার বাসায় এসেছেন। এই রীতি প্রচলন থাকলে আমাদের দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’
বর্তমান মেয়রকে সহযোগিতা করা প্রসঙ্গে মনজুর আলম বলেন, ‘নাছির সাহেব যদি প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে আমার পক্ষ থেকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করা হবে। করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমে আমার প্রায় দুই কোটি টাকার সরঞ্জাম রয়েছে। এগুলো ফেরত আনলে নাছির সাহেব অসুবিধায় পড়তে পারেন। নগরের উন্নয়নে বর্তমান মেয়রকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
সাবেক ও বর্তমান মেয়রের সৌজন্য সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এম এ লতিফ ও দিদারুল আলম, করপোরেশনের ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ, শ্রমিক নেতা সফর আলী প্রমুখ।
No comments