ফলনের হাসি উবে গেল দামে by মামুন মুহাম্মদ
সাতকানিয়ার তেমুহানির বিলে বোরো ধান কাটছেন কৃষকেরা l প্রথম আলো |
বোরো
ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশির হাওয়া বইছিল সাতকানিয়ার কৃষক
পরিবারগুলোতে। তবে বাজারে ধানের দাম কমে যাওয়ায় চাষিরা সে হাসি উবে গেছে।
গত বছর চাতালগুলোতে ১০ কেজি (এক আড়ি) মোটা ধান বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০
টাকায় অথচ এ বছর িবক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় জানিয়েছে, সাতকানিয়া উপজেলায় এবার ৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। গত বছর বোরোর আবাদ হয়েছিল ৫ হাজার ৮৫০ হেক্টরে। তবে দাম না ওঠায় ভালো ফলনের উচ্ছ্বাস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। উপজেলার ধানকলগুলোয় যথেষ্ট পরিমাণ ধান মজুত থাকায় নতুন ধানের চাহিদা তেমন নেই। ধানের দাম পড়ে যাওয়ার এটাও একটা কারণ বলে জানাচ্ছেন ধানকলগুলোর মালিকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের আলমগীর গ্রাম, মাইঙ্গাপাড়া, কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহানি, জনার কেঁওচিয়া, কাঞ্চনা ইউনিয়নের মথুরা ডেঙ্গা, বকশিরখীল ও কাজীর বাড়ি এলাকায় চলছে বোরো ধান কাটা। ধান কেটে অাঁটি বেঁধে মাড়াইয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা। আলমগীর গ্রামের চাষি মো. নূর নবী (৫৮) জানান, এ বছর প্রায় পাঁচ কানি জমিতে হাইব্রিড জাতের বোরো ধান রোপণ করেছেন তিনি। ফলন প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে। প্রতি কানিতে ২০ মণ বা তার চেয়ে বেশি ধান উৎপন্ন হয়েছে। তবে ধানের দাম শুনে সব পরিশ্রমই মাটি হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে তাঁর। হতাশ এই কৃষক আরও বলেন, এবারের বোরো ধানের মৌসুমে চারা সংগ্রহ থেকে শুরু করে ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রতি কানিতে ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়েছে। কিন্তু বাজারে ধানের যা দাম, তাতে খরচ উঠবে কিনা সন্দেহ।
ধানের দাম কমে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেন ব্যবসায়ীরা। উপজেলার মৌলভীর দোকান এলাকার ধান ব্যবসায়ী নওশা মিয়া (৬০) বলেন, এবার বোরোর ফলন খুব ভালো হয়েছে। তবে ধানের দাম কম। মোটা ধানের প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকা পর্যন্ত।
উপজেলার ধানকলগুলোতে আগের বছরের প্রচুর ধান মজুত রয়ে গেছে বলে জানালেন মালিকেরা। এ জন্য ধান কেনায়ও কোনো তোড়জোড় নেই। মেসার্স বার আউলিয়া অটো রাইস মিলের মালিক মাহমুদুল হক বলেন, ‘চাষিদের কাছ থেকে এক আড়ি মোটা জাতের ধান ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় কিনছি আমরা। ধান যথেষ্ট মজুত থাকায় কেনা হচ্ছে কম।’
মেসার্স ইতু অটো রাইস মিলের আবদুর রহমান বলেন, ‘ধানকলগুলোতে ধান মজুত থাকায় ধান কেনায় ভাটা পড়েছে। এ জন্য ধানের দাম কমে গেছে। গত বছর ১০ কেজি অর্থাৎ এক আড়ি ধান বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। অথচ এবছ দাম উঠেছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, এ বছর প্রতি হেক্টরে ৪ দশমিক ৭ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন ফলন হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খাজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এবারের বোরো মৌসুমে ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানের কারণে চাষিদের ফলন বেড়েছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় জানিয়েছে, সাতকানিয়া উপজেলায় এবার ৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। গত বছর বোরোর আবাদ হয়েছিল ৫ হাজার ৮৫০ হেক্টরে। তবে দাম না ওঠায় ভালো ফলনের উচ্ছ্বাস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। উপজেলার ধানকলগুলোয় যথেষ্ট পরিমাণ ধান মজুত থাকায় নতুন ধানের চাহিদা তেমন নেই। ধানের দাম পড়ে যাওয়ার এটাও একটা কারণ বলে জানাচ্ছেন ধানকলগুলোর মালিকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের আলমগীর গ্রাম, মাইঙ্গাপাড়া, কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহানি, জনার কেঁওচিয়া, কাঞ্চনা ইউনিয়নের মথুরা ডেঙ্গা, বকশিরখীল ও কাজীর বাড়ি এলাকায় চলছে বোরো ধান কাটা। ধান কেটে অাঁটি বেঁধে মাড়াইয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা। আলমগীর গ্রামের চাষি মো. নূর নবী (৫৮) জানান, এ বছর প্রায় পাঁচ কানি জমিতে হাইব্রিড জাতের বোরো ধান রোপণ করেছেন তিনি। ফলন প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে। প্রতি কানিতে ২০ মণ বা তার চেয়ে বেশি ধান উৎপন্ন হয়েছে। তবে ধানের দাম শুনে সব পরিশ্রমই মাটি হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে তাঁর। হতাশ এই কৃষক আরও বলেন, এবারের বোরো ধানের মৌসুমে চারা সংগ্রহ থেকে শুরু করে ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রতি কানিতে ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়েছে। কিন্তু বাজারে ধানের যা দাম, তাতে খরচ উঠবে কিনা সন্দেহ।
ধানের দাম কমে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেন ব্যবসায়ীরা। উপজেলার মৌলভীর দোকান এলাকার ধান ব্যবসায়ী নওশা মিয়া (৬০) বলেন, এবার বোরোর ফলন খুব ভালো হয়েছে। তবে ধানের দাম কম। মোটা ধানের প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকা পর্যন্ত।
উপজেলার ধানকলগুলোতে আগের বছরের প্রচুর ধান মজুত রয়ে গেছে বলে জানালেন মালিকেরা। এ জন্য ধান কেনায়ও কোনো তোড়জোড় নেই। মেসার্স বার আউলিয়া অটো রাইস মিলের মালিক মাহমুদুল হক বলেন, ‘চাষিদের কাছ থেকে এক আড়ি মোটা জাতের ধান ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় কিনছি আমরা। ধান যথেষ্ট মজুত থাকায় কেনা হচ্ছে কম।’
মেসার্স ইতু অটো রাইস মিলের আবদুর রহমান বলেন, ‘ধানকলগুলোতে ধান মজুত থাকায় ধান কেনায় ভাটা পড়েছে। এ জন্য ধানের দাম কমে গেছে। গত বছর ১০ কেজি অর্থাৎ এক আড়ি ধান বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। অথচ এবছ দাম উঠেছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, এ বছর প্রতি হেক্টরে ৪ দশমিক ৭ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন ফলন হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খাজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এবারের বোরো মৌসুমে ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানের কারণে চাষিদের ফলন বেড়েছে।
No comments