দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস
মানব সভ্যতার ইতিহাসে এযাবৎকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ও বিপর্যয়কর সংঘাতের নাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। জার্মানির নাৎসি বাহিনীর আক্রমণে ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকা মহাদেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এ যুদ্ধ। এতে ৭ কোটির বেশি মানুষ ও সেনাসদস্যের প্রাণহানি ঘটে। ইতিহাসের আয়নায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত কালপঞ্জি এখানে তুলে ধরা হল।
৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৩৮ : মিউনিখ চুক্তি
১৯৩৮ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নেভিলি চেম্বারলেইন ইউরোপকে যুদ্ধমুক্ত রাখার উদ্যোগ নেন। ইউরোপে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর আগ্রাসন রুখতে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে জার্মানি অস্ট্রিয়া দখল করে নেয় এবং চেকোস্লোভাকিয়ার কাছ থেকে সুদাতেনল্যান্ড দাবি করে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মিউনিখ চুক্তি অনুসারে চেকোস্লোভাকিয়ার সুদাতেন অঞ্চল জার্মানিকে হস্তান্তর করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং তার বিনিময়ে হিটলার আর কোনো ভূমি দখল করবেন না বলে প্রতিশ্র“তি দেন।
কিন্তু সাতমাস পরে ১৯৩৯ সালের ১৫ মার্চ হিটলার সমগ্র চেকোস্লোভাকিয়া আক্রমণ করে দখল করেন।
১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ : পোল্যান্ড আক্রমণ
১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ১৫ লাখ জার্মান সেনা সীমান্তে অবস্থান নেয় ও ১৩০০ যুদ্ধবিমান পোল্যান্ডে বোমা ফেলে পুরো দেশকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে।
৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ : ব্রিটেন ও ফ্রান্সের যুদ্ধ ঘোষণা
১৯১৮ সালের ভার্সাই চুক্তি অনুসারে পোল্যান্ডকে রক্ষার জন্য ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তবে হিটলারের শক্তিশালী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তারা কিছুই করতে পারেনি।
১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ : রাশিয়ার হামলা
হিটলার সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করতে পারে এই আশংকায় ১৭ সেপ্টেম্বর পূর্ব দিক থেকে পোল্যান্ডে হামলা করে রুশ বাহিনী।
৩০ নভেম্বর ১৯৩৯ : সোভিয়েত-ফিনল্যান্ড যুদ্ধ
সোভিয়েত ইউনিয়ন সৈন্যরা লিথুনিয়া, লাটভিয়া ও এস্তোনিয়ায় প্রবেশ করার পর ফিনল্যান্ড দখলের উদ্যোগ নিলে ফিনল্যান্ড প্রচণ্ডভাবে রুখে দাঁড়ায়। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৩০ নভেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন ফিনল্যান্ড আক্রমণ করার ভেতর দিয়ে এ বিশ্বযুদ্ধ নতুন মোড় নেয়।
৯ এপ্রিল ১৯৪০ : নরওয়ে ও ডেনমার্ক আক্রমণ
নরওয়ে ও ডেনমার্কে আগ্রাসন চালিয়ে জার্মান বাহঘিনী নারভিকসহ গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও বিমানবন্দর দখল করে নেয়।
১০ মে ১৯৪০ : জার্মানির
ফ্রান্স আক্রমণ
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চেম্বারলেইনের সংযতকরণ নীতি ব্যর্থ হলে ১৯৪০ সালের ১০ মে পদত্যাগ করেন এবং ক্ষমতায় আসেন উইনস্টন চার্চিল। এদিন জার্মানি ফ্রান্স আক্রমণ করে বসে।
১০ জুলাই ১৯৪০ : ব্রিটেনে যুদ্ধ
হিটলার এবার ব্রিটেন আক্রমণ করে। স্থল হামলার আগে ব্রিটিশ রয়্যাল বিমান বাহিনীকে বিধ্বস্ত করে ফেলে। নিহত হয় প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ। মাত্র ২৪ রাতে ৫৩০০ টন উচ্চ বোমা ফেলা হয় লন্ডনে।
২২ জুন ১৯৪১ : জার্মানির সোভিয়েত আক্রমণ
১৯৪১ সালের ২২ জুন সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করেন হিটলার। ইতালি, রোমানিয়া ও ফিনল্যান্ডের সহায়তায় প্রায় ৩০ লাখ জার্মান সেনা রাশিয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। লক্ষাধিক ইহুদিকে হত্যা করে।
৭ ডিসেম্বর ১৯৪১ : পার্ল হারবার আক্রমণ
জার্মানির মিত্র জাপান হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মার্কিন নৌঘাঁটি পার্ল হারবারে বোমা নিক্ষেপ করে। এর প্রতিশোধে বিশ্বযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র।
২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ : স্টালিনগার্ডে জার্মানির আত্মসমর্পণ
১৯৪২ সালে রাশিয়ার স্টালিনগার্ডে জার্মানির একটি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
৬ জুন ১৯৪৪ : ডি ডে
দক্ষিণ ফ্রান্স থেকে ডেনমার্ক এলাকায় জার্মান বাহিনীকে বিস্মিত করে আতর্কিত হামলা চালায় ব্রিটেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথবাহিনী। এর মাধ্যমে ফ্রান্সকে পুনরায় স্বাধীন করা হয়।
৮ মে ১৯৪৫ : জার্মানি পরাজিত
দুনিয়া দখলের হিটলারি স্বপ্ন চুরমার হয়ে ১৯৪৫ সালের ৮ মে জার্মানি চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়।
৬-৯ আগস্ট : পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ
পার্ল হারবারে হামলার প্রতিশোধে ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা ও ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে দুটো পারমাণবিক বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। এতে শহর দুটি ধ্বংস হয়ে যায়।
১৪ আগস্ট ১৯৪৫ : যুদ্ধ শেষ
অবশেষে ১৯৪৫ সালের ১৪ আগস্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।
৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৩৮ : মিউনিখ চুক্তি
১৯৩৮ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নেভিলি চেম্বারলেইন ইউরোপকে যুদ্ধমুক্ত রাখার উদ্যোগ নেন। ইউরোপে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর আগ্রাসন রুখতে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে জার্মানি অস্ট্রিয়া দখল করে নেয় এবং চেকোস্লোভাকিয়ার কাছ থেকে সুদাতেনল্যান্ড দাবি করে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মিউনিখ চুক্তি অনুসারে চেকোস্লোভাকিয়ার সুদাতেন অঞ্চল জার্মানিকে হস্তান্তর করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং তার বিনিময়ে হিটলার আর কোনো ভূমি দখল করবেন না বলে প্রতিশ্র“তি দেন।
কিন্তু সাতমাস পরে ১৯৩৯ সালের ১৫ মার্চ হিটলার সমগ্র চেকোস্লোভাকিয়া আক্রমণ করে দখল করেন।
১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ : পোল্যান্ড আক্রমণ
১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ১৫ লাখ জার্মান সেনা সীমান্তে অবস্থান নেয় ও ১৩০০ যুদ্ধবিমান পোল্যান্ডে বোমা ফেলে পুরো দেশকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে।
৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ : ব্রিটেন ও ফ্রান্সের যুদ্ধ ঘোষণা
১৯১৮ সালের ভার্সাই চুক্তি অনুসারে পোল্যান্ডকে রক্ষার জন্য ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তবে হিটলারের শক্তিশালী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তারা কিছুই করতে পারেনি।
১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ : রাশিয়ার হামলা
হিটলার সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করতে পারে এই আশংকায় ১৭ সেপ্টেম্বর পূর্ব দিক থেকে পোল্যান্ডে হামলা করে রুশ বাহিনী।
৩০ নভেম্বর ১৯৩৯ : সোভিয়েত-ফিনল্যান্ড যুদ্ধ
সোভিয়েত ইউনিয়ন সৈন্যরা লিথুনিয়া, লাটভিয়া ও এস্তোনিয়ায় প্রবেশ করার পর ফিনল্যান্ড দখলের উদ্যোগ নিলে ফিনল্যান্ড প্রচণ্ডভাবে রুখে দাঁড়ায়। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৩০ নভেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন ফিনল্যান্ড আক্রমণ করার ভেতর দিয়ে এ বিশ্বযুদ্ধ নতুন মোড় নেয়।
৯ এপ্রিল ১৯৪০ : নরওয়ে ও ডেনমার্ক আক্রমণ
নরওয়ে ও ডেনমার্কে আগ্রাসন চালিয়ে জার্মান বাহঘিনী নারভিকসহ গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও বিমানবন্দর দখল করে নেয়।
১০ মে ১৯৪০ : জার্মানির
ফ্রান্স আক্রমণ
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চেম্বারলেইনের সংযতকরণ নীতি ব্যর্থ হলে ১৯৪০ সালের ১০ মে পদত্যাগ করেন এবং ক্ষমতায় আসেন উইনস্টন চার্চিল। এদিন জার্মানি ফ্রান্স আক্রমণ করে বসে।
১০ জুলাই ১৯৪০ : ব্রিটেনে যুদ্ধ
হিটলার এবার ব্রিটেন আক্রমণ করে। স্থল হামলার আগে ব্রিটিশ রয়্যাল বিমান বাহিনীকে বিধ্বস্ত করে ফেলে। নিহত হয় প্রায় ৪৩ হাজার মানুষ। মাত্র ২৪ রাতে ৫৩০০ টন উচ্চ বোমা ফেলা হয় লন্ডনে।
২২ জুন ১৯৪১ : জার্মানির সোভিয়েত আক্রমণ
১৯৪১ সালের ২২ জুন সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করেন হিটলার। ইতালি, রোমানিয়া ও ফিনল্যান্ডের সহায়তায় প্রায় ৩০ লাখ জার্মান সেনা রাশিয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। লক্ষাধিক ইহুদিকে হত্যা করে।
৭ ডিসেম্বর ১৯৪১ : পার্ল হারবার আক্রমণ
জার্মানির মিত্র জাপান হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মার্কিন নৌঘাঁটি পার্ল হারবারে বোমা নিক্ষেপ করে। এর প্রতিশোধে বিশ্বযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র।
২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ : স্টালিনগার্ডে জার্মানির আত্মসমর্পণ
১৯৪২ সালে রাশিয়ার স্টালিনগার্ডে জার্মানির একটি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
৬ জুন ১৯৪৪ : ডি ডে
দক্ষিণ ফ্রান্স থেকে ডেনমার্ক এলাকায় জার্মান বাহিনীকে বিস্মিত করে আতর্কিত হামলা চালায় ব্রিটেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথবাহিনী। এর মাধ্যমে ফ্রান্সকে পুনরায় স্বাধীন করা হয়।
৮ মে ১৯৪৫ : জার্মানি পরাজিত
দুনিয়া দখলের হিটলারি স্বপ্ন চুরমার হয়ে ১৯৪৫ সালের ৮ মে জার্মানি চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়।
৬-৯ আগস্ট : পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ
পার্ল হারবারে হামলার প্রতিশোধে ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা ও ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে দুটো পারমাণবিক বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। এতে শহর দুটি ধ্বংস হয়ে যায়।
১৪ আগস্ট ১৯৪৫ : যুদ্ধ শেষ
অবশেষে ১৯৪৫ সালের ১৪ আগস্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।
No comments