টেন্ডুলকারকে টপকে ভিভের পাশে মুমিনুল

খুলনা টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি করে শচীন টেন্ডুলকারের পাশে বসেছিলেন মুমিনুল হক। মিরপুর টেস্টে শচীনকে টপকে ভিভ রিচার্ডসের পাশে বসলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। তার সামনে এখন শুধু এবি ডি ভিলিয়ার্স। এ নিয়ে টানা ১১ টেস্টে ৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেললেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভ রিচার্ডস ছাড়াও ১১ টেস্টে ৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংস আছে ভারতের বীরেন্দর সেহওয়াগ ও গৌতম গম্ভীরের। সর্বোচ্চ ১২ ম্যাচে ৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংস রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ডি ভিলিয়ার্সের। শনিবার মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিন টানা একাদশ ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেন মুমিনুল। এই ম্যাচগুলো তিনি খেলেন ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে। শনিবার ছয়টি চারের সাহায্যে ৮৩ বলে অর্ধশতক করেন এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটা তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। খুলনায় প্রথম টেস্টে অর্ধশতক করে ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার ও ইংল্যান্ডের জন এডরিচের পাশে বসেছিলেন মুমিনুল।
ওই ইনিংসে তিনি করেন ৮০ রান। টেস্ট ক্রিকেটে টানা সর্বোচ্চ হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান ডি ভিলিয়ার্সের। ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ১২ ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। কাল ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুমিনুল। ইয়াসির শাহ’র বলে আউট হওয়ার আগে ১০২ বলে নয় চারের সাহায্যে ৬৪ রান করেন তিনি। সব মিলিয়ে এটি তার ১৩তম পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারে ১৪ টেস্টের একটি ম্যাচেই শুধু হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। ওই ম্যাচটি ছিল তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট। হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচের দুই ইনিংসে ২৩ ও ২৯ রান করেন মুমিনুল। এরপর প্রতি ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। ২৭ ইনিংসে ব্যাট করে ৬০.০০ গড়ে মুমিনুলের রান ১৩৮০। ক্যারিয়ারে তার সর্বোচ্চ ১৮১ রানের ইনিংস চট্টগ্রামে ২০১৩ সালে নিউজ্যিলান্ডের বিপক্ষে।

No comments

Powered by Blogger.