ভারত-পাকিস্তান সমানে সমান
বৃটেনে
বৃহস্পতিবারের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচিত ভারতীয় ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত
সংসদ সদস্যের সংখ্যা সমান! উভয় দেশেরই ১০ জন করে ‘প্রতিনিধি’ নির্বাচিত
হয়েছেন। এর আগে ৭ জন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বৃটিশ এমপি ছিলেন বৃটেনের
পার্লামেন্টে। অপরদিকে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সংখ্যা ছিল ১০ জন। এবার আরও
তিনজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এমপি নির্বাচিত হলে উভয় পক্ষের এমপির সংখ্যা হয়
সমান। কেননা, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এমপিদের সংখ্যায় কোন নড়চড় হয়নি। এর মধ্যে
কনজারভেটিভ দলের এমপি সাজিদ জাভিদ পড়েছেন উভয় পক্ষের ঘরে! কারণ, তার দাবি
অনুসারে, তার পিতা ভারতীয় ও মা পাকিস্তানি। এর আগের সরকারে সংস্কৃতি,
গণমাধ্যম ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন জাভিদ। নতুন
প্রশাসনেও একই দায়িত্ব পেতে পারেন তিনি। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ১০ জন এমপির
মধ্যে ৬ জনই লেবার দলের প্রার্থী ছিলেন। বাকি তিনজন কনজারভেটিভ দলের ও একজন
স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির। ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই ইংল্যান্ড থেকে
নির্বাচিত এমপি, অবশিষ্ট একজন স্কটল্যান্ড থেকে নির্বাচিত। এ ১০ জন এমপি
হলেন শাবানা মাহমুদ, খালিদ মাহমুদ, ইয়াসমিন কুরেশি, ইমরান হুসেইন, রেহমান
চিশতি, নুসরাত গনি, নাসিম শাহ, সাদিক খান, তাসমিনা আহমেদ শেখ। তবে সাবেক
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এমপি আনাস সারওয়ার হেরেছেন। তিনি তার পিতা মোহাম্মদ
সারওয়ারের আসন থেকে নির্বাচনে লড়েছিলেন। মোহাম্মদ সারওয়ার পরে পাকিস্তান
মুসলিম লীগের হয়ে দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর ছিলেন। তবে তিনি এরই
মধ্যে সেখান থেকেও পদত্যাগ করে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন দলে যোগ দিয়েছেন।
অপরদিকে ভারতীয়দের মধ্যে নিজের আসনে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন কিথ ভাজ,
ভ্যালেরি ভাজ, বীরেন্দ্র শর্মা, সীমা মালহোত্রা, লিসা ন্যান্দি, সাজিদ
জাভিদ, প্রীতি প্যাটেল, অলোক শর্মা ও শৈলেশ বরা। এর মধ্যে কিথ ভাজ ১৯৮৭ সাল
থেকে লিচেস্টার ইস্টের এমপি। তার বোন ভ্যালেরি ভাজও আছেন এ তালিকায়।
প্রীতি প্যাটেল গত সরকারে ছিলেন কনিষ্ঠ মন্ত্রী। ২০০৫ সাল থেকে নির্বাচিত
হতে থাকা শৈলেশ বরাও ছিলেন কনিষ্ঠ মন্ত্রী। তবে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে
পরাজিত হয়েছেন পল উপ্পাল। তবে প্রথমবারের মতো জয় পেয়ে সে শূন্যস্থান পূরণ
করে দিয়েছেন ঋষি সুনক।
No comments