চট্টগ্রামে দুই কোটি টাকার লোভে ব্যাংকের প্রহরী খুন by মহিউদ্দীন জুয়েল
চট্টগ্রামে
প্রহরীকে খুন করে আল আরাফাহ্ ব্যাংকের ভল্টে থাকা দুই কোটি টাকা লুট করার
পরিকল্পনা ছিল সন্ত্রাসীদের। শহরের মুরাদপুরের ব্যাংক ভবনের দ্বিতীয় তলার
পশ্চিম পাশের গ্রিল কেটে ডাকাতির জন্য ওই তিনজন ভেতরে ঢুকেছিল বলে
প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে জানিয়েছেন। কেবল তা-ই নয়,
সন্ত্রাসীরা ডাকাতি করার আগে ওই ব্যাংকে ১৫-২০ দিন ধরে আসা-যাওয়া করেছিল
বলে তাদের ধারণা। ঘটনার দিন রাতে তারা বেশ কয়েকবার ভল্ট ভাঙার চেষ্টা করে
ব্যর্থ হয়েছে। ঘটনার আলামত দেখে এমনি ধারণা করছেন পুলিশ সদস্যরা।
এ ঘটনায় গতকাল ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আলী নেওয়াজ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তবে সর্বশেষ কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানা গেছে। মামলায় ৪ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে আসামি করা হয়েছে।
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের মুরাদপুর শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা পেশাদার সন্ত্রাসী। বিশেষ করে গ্রিলকাটা চক্রের অন্যতম সদস্য। এ ঘটনায় আশেপাশের অনেক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মনে ভয় ঢুকে গেছে। প্রতিদিনের লেনদেনের জন্য ওই ব্যাংকের কোষাগারে দুই কোটি টাকার বেশি জমা ছিল। সরকারি ছুটির দিন হওয়াতে তাই টাকা লুটের জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই তারা এ ঘটনা ঘটায়।
মামলার বাদী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আলী নেওয়াজের ভাষ্য, ব্যাংকের ক্যাশ ভল্টে থাকা বিপুল পরিমাণ টাকা লুট করতে তারা ডাকাতি করতে এসেছিল। এই ঘটনায় সব কর্মকর্তা আতঙ্কে রয়েছেন।
আলামত দেখে বোঝা যায়, ওইদিন গভীর রাতেই মুরাদপুর মোড়ের ছয়তলা ভবন হোসেন টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় ব্যাংকটিতে হানা দেয় সন্ত্রাসীরা। এই সময় তারা নিরাপত্তাকর্মী ইব্রাহিম (৩৫)কে হত্যা করে। তবে হত্যার আগে তার মুখ বেঁধে ফেলে গামছা দিয়ে। এরপর ধারালো ছোরা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়।
ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জ শাহেদ হোসেন বলেন, অনেক চেষ্টা করেও ক্যাশ ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করতে না পারায় চলে যায় সন্ত্রাসীরা। আমরা ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার করেছি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, ঘটনাটি বর্তমানে পুলিশ, সিআইডি ও ডিবির একাধিক টিম তদন্ত করছে। ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া সন্ত্রাসীদের হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি বঁটি ও একটি ছুরি পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত রাতের ডিউটি ছিল খুন হওয়া ইব্রাহিমের।
কিন্তু ডিউটি শেষ করে তার কোন হদিস পাওয়া না যাওয়ায় ইব্রাহিমের স্ত্রী ব্যাংক ম্যানেজারকে ফোন করেন। এই সময় তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাওয়ায় সন্দেহ বাড়ে। পরে ব্যাংক ম্যানেজার ভবনের মালিককে ফোন দিয়ে ঘটনা জানতে পারেন। হত্যার পর ইব্রাহিমের মুখে লুঙ্গি, হাত শার্ট দিয়ে বাঁধা ও শরীর কাঁথাচাপা অবস্থায় দেখা যায়। ১৪ বছর ধরে তিনি রাতের বেলায় ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখায় এভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত বছর তিনি ওই শাখায় যোগদান করেন।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এস এম তানভীর আরাফাত মানবজমিনকে বলেন, ভল্টে থাকা কয়েক কোটি টাকার বেশি লুট করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। প্রতিদিনই ওই ব্যাংকে কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয় বলে এক কর্মকর্তা আমাদের জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনাটিকে ডাকাতি বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার বলেন, আমাদের কাছে যে আলামত রয়েছে তাতে রাত ২টা ২০ মিনিটে এই ঘটনাটি ঘটেছে। যারা এই ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত তারা বেশ কয়েকবার বিভিন্ন ছুঁতোয় ওই ব্যাংকে এসে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৩ জনের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। সিসি ক্যামেরায় যাদের দেখা গেছে তাদের স্পষ্ট বোঝা যায় গ্রিলকাটার বিষয়ে ওরা খুবই চতুর। শহরের দুর্ধর্ষ গ্রিলকাটা চক্রের বেশ কয়েকজনের তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে। তাদের কেউ এই ঘটনায় জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছি।
এ ঘটনায় গতকাল ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আলী নেওয়াজ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তবে সর্বশেষ কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানা গেছে। মামলায় ৪ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে আসামি করা হয়েছে।
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের মুরাদপুর শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা পেশাদার সন্ত্রাসী। বিশেষ করে গ্রিলকাটা চক্রের অন্যতম সদস্য। এ ঘটনায় আশেপাশের অনেক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মনে ভয় ঢুকে গেছে। প্রতিদিনের লেনদেনের জন্য ওই ব্যাংকের কোষাগারে দুই কোটি টাকার বেশি জমা ছিল। সরকারি ছুটির দিন হওয়াতে তাই টাকা লুটের জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই তারা এ ঘটনা ঘটায়।
মামলার বাদী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আলী নেওয়াজের ভাষ্য, ব্যাংকের ক্যাশ ভল্টে থাকা বিপুল পরিমাণ টাকা লুট করতে তারা ডাকাতি করতে এসেছিল। এই ঘটনায় সব কর্মকর্তা আতঙ্কে রয়েছেন।
আলামত দেখে বোঝা যায়, ওইদিন গভীর রাতেই মুরাদপুর মোড়ের ছয়তলা ভবন হোসেন টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় ব্যাংকটিতে হানা দেয় সন্ত্রাসীরা। এই সময় তারা নিরাপত্তাকর্মী ইব্রাহিম (৩৫)কে হত্যা করে। তবে হত্যার আগে তার মুখ বেঁধে ফেলে গামছা দিয়ে। এরপর ধারালো ছোরা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়।
ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জ শাহেদ হোসেন বলেন, অনেক চেষ্টা করেও ক্যাশ ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করতে না পারায় চলে যায় সন্ত্রাসীরা। আমরা ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার করেছি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, ঘটনাটি বর্তমানে পুলিশ, সিআইডি ও ডিবির একাধিক টিম তদন্ত করছে। ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া সন্ত্রাসীদের হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি বঁটি ও একটি ছুরি পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত রাতের ডিউটি ছিল খুন হওয়া ইব্রাহিমের।
কিন্তু ডিউটি শেষ করে তার কোন হদিস পাওয়া না যাওয়ায় ইব্রাহিমের স্ত্রী ব্যাংক ম্যানেজারকে ফোন করেন। এই সময় তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাওয়ায় সন্দেহ বাড়ে। পরে ব্যাংক ম্যানেজার ভবনের মালিককে ফোন দিয়ে ঘটনা জানতে পারেন। হত্যার পর ইব্রাহিমের মুখে লুঙ্গি, হাত শার্ট দিয়ে বাঁধা ও শরীর কাঁথাচাপা অবস্থায় দেখা যায়। ১৪ বছর ধরে তিনি রাতের বেলায় ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখায় এভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত বছর তিনি ওই শাখায় যোগদান করেন।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এস এম তানভীর আরাফাত মানবজমিনকে বলেন, ভল্টে থাকা কয়েক কোটি টাকার বেশি লুট করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। প্রতিদিনই ওই ব্যাংকে কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয় বলে এক কর্মকর্তা আমাদের জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনাটিকে ডাকাতি বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার বলেন, আমাদের কাছে যে আলামত রয়েছে তাতে রাত ২টা ২০ মিনিটে এই ঘটনাটি ঘটেছে। যারা এই ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত তারা বেশ কয়েকবার বিভিন্ন ছুঁতোয় ওই ব্যাংকে এসে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৩ জনের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। সিসি ক্যামেরায় যাদের দেখা গেছে তাদের স্পষ্ট বোঝা যায় গ্রিলকাটার বিষয়ে ওরা খুবই চতুর। শহরের দুর্ধর্ষ গ্রিলকাটা চক্রের বেশ কয়েকজনের তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে। তাদের কেউ এই ঘটনায় জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছি।
No comments