‘কথা বললে গুলি করবো’ by সিদ্দিক আলম দয়াল
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসিসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে বাড়িতে ঢুকে নারীদের নির্যাতন, শীলতাহানী ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে মঙ্গলবার মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে গাইবান্ধার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৭শে মার্চ রাত ৮ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম, এসআই ফজলুর রহমান পুলিশ নিয়ে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের দিরাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের মুকুল মিয়ার বাড়িতে যান। এসময় মুকুল মিয়াসহ বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় বাড়ির বাসিন্দারা গেটে তালা লাগিয়ে ভেতরে প্রতিদিনের মতো কাজ করছিলেন। এসময় পুলিশ বাড়ির সামনে গিয়ে তাদের গেট খুলতে বলে। তারা গেট খুলতে রাজি না হওয়ায় এসআই ফজলুর রহমান পাশের বাড়ি থেকে লোহার শাবল নিয়ে এসে গেটের তালা ভেঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করে। মুকুল মিয়াকে না পেয়ে সেখানে তারা বাড়িতে থাকা নারীদের বেধড়ক মারপিট শুরু করে ।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, পুলিশ তার ভাতিজির পড়নের কাপড় ধরে টানা হেচড়া করে এবং তার ব্লাউজ ছিড়ে ফেলে। এসআই ফজলুর রহমান তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পুলিশ তার হাতে কামড়িয়ে দেয়। এসময় তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পুলিশের সঙ্গে তাদের তর্ক হয়। আশেপাশের লোকজন ঘটনার প্রতিবাদ করলে পুলিশ পিস্তল তাক করে গ্রামবাসীকে হুমকি দিয়ে বলে-কেউ কথা বললে গুলি করবো। এ ঘটনায় আজ মনোয়ারা বেগম আদালতে হাজির হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার আইনজীবী হিসাবে সহযোগিতা করেন চৌধুরী নারগিস আকতার ।
নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক অরুন কুমার সাহা মামলা গ্রহন করে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহসিনুল হককে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন বলে গাইবান্ধার পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট শফিউল আলম সফি সাংবাদিকদের জানান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৭শে মার্চ রাত ৮ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম, এসআই ফজলুর রহমান পুলিশ নিয়ে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের দিরাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের মুকুল মিয়ার বাড়িতে যান। এসময় মুকুল মিয়াসহ বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় বাড়ির বাসিন্দারা গেটে তালা লাগিয়ে ভেতরে প্রতিদিনের মতো কাজ করছিলেন। এসময় পুলিশ বাড়ির সামনে গিয়ে তাদের গেট খুলতে বলে। তারা গেট খুলতে রাজি না হওয়ায় এসআই ফজলুর রহমান পাশের বাড়ি থেকে লোহার শাবল নিয়ে এসে গেটের তালা ভেঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করে। মুকুল মিয়াকে না পেয়ে সেখানে তারা বাড়িতে থাকা নারীদের বেধড়ক মারপিট শুরু করে ।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, পুলিশ তার ভাতিজির পড়নের কাপড় ধরে টানা হেচড়া করে এবং তার ব্লাউজ ছিড়ে ফেলে। এসআই ফজলুর রহমান তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পুলিশ তার হাতে কামড়িয়ে দেয়। এসময় তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পুলিশের সঙ্গে তাদের তর্ক হয়। আশেপাশের লোকজন ঘটনার প্রতিবাদ করলে পুলিশ পিস্তল তাক করে গ্রামবাসীকে হুমকি দিয়ে বলে-কেউ কথা বললে গুলি করবো। এ ঘটনায় আজ মনোয়ারা বেগম আদালতে হাজির হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার আইনজীবী হিসাবে সহযোগিতা করেন চৌধুরী নারগিস আকতার ।
নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক অরুন কুমার সাহা মামলা গ্রহন করে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহসিনুল হককে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন বলে গাইবান্ধার পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট শফিউল আলম সফি সাংবাদিকদের জানান।
No comments