ব্যাকটেরিয়া দমনে হাজার বছরের পুরোনো দাওয়াই
অ্যান্টিবায়োটিকের
বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকতে সক্ষম জীবাণুকে ধ্বংসের প্রচেষ্টায় এবার
হাজার বছরের পুরোনো এক পদ্ধতি ব্যবহারের কথা ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। চোখের অসুখ
সারাতে নবম শতকে ইংল্যান্ডের অ্যাংলো-স্যাক্সন জনগোষ্ঠী পেঁয়াজ-রসুন,
ওয়াইন এবং গরুর পাকস্থলীর অংশ মিলিয়ে তৈরি করত কার্যকর মলম। খবর বিবিসির।
যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী বিস্ময়ের সঙ্গে আবিষ্কার করেছেন, প্রাচীন ওই
চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যবহার করলে এমআরএসএ নামে পরিচিত মেথিসিলিন প্রতিরোধী
স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস ব্যাকটেরিয়া প্রায় সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব
হচ্ছে। ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত ‘বল্ডস লিচবুক’ নামের পুরোনো একটি
ইংরেজি পাণ্ডুলিপিতে ওই চিকিৎসাপদ্ধতির বর্ণনা রয়েছে। জার্মান বংশোদ্ভূত
অ্যাংলো-স্যাক্সন জাতির মানুষ পঞ্চম শতকে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিল। ওই
জনগোষ্ঠী নিয়ে গবেষণা করছেন যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিনা লি। তিনি বল্ডস লিচবুক দেখে পেঁয়াজ-রসুন, ওয়াইন এবং
গরুর পিত্ত মিশিয়ে ‘চোখের মলম’ তৈরির কৌশল বের করেন। সেটি অনুসরণ করে একই
বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল অণুজীববিজ্ঞানী মলমটি তৈরি করেন। পরে তা গবেষণাগারে
উৎপাদিত এমআরএসএ ব্যাকটেরিয়ার ওপর প্রয়োগ করা হয়। এতে প্রায় ৯০ শতাংশ
ব্যাকটেরিয়া দমন করা সম্ভব হয়। তাঁদের এ গবেষণার প্রতিবেদন বার্মিংহামে
অনুষ্ঠেয় অণুজীববিজ্ঞান সমিতির বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে।
ক্রিস্টিনা লি বলেন, ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কারের বহু আগে থেকেই সম্ভবত এসব অণুজীব দমনের ব্যাপারে বিস্তারিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়েছিল। তাঁদের পরীক্ষায় এ রকমই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
ক্রিস্টিনা লি বলেন, ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কারের বহু আগে থেকেই সম্ভবত এসব অণুজীব দমনের ব্যাপারে বিস্তারিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়েছিল। তাঁদের পরীক্ষায় এ রকমই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
No comments